নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন নিয়ে দুই দলের সংলাপে আইনি কোনো বাধা নেই। তবে সেই সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। এ ধরনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীনদের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার অসাংবিধানিকভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। সে জন্যই এদের মুখে রাম নাম শোভা পায় না। ভূতের মুখে রাম নাম শোভা পায় না।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার প্রশ্ন আওয়ামী লীগের কাছে যে আপনারা কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? এটা প্রমাণ করতে হবে আপনাদের। সংবিধান পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আপনারা ক্ষমতা দখল করে আছেন।’
এ সময় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল—এটা প্রাথমিক রায়, সম্পূর্ণ নয়। দেশের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। ১৬ মাস পরে সেই রায় পূর্ণাঙ্গ রায় হিসেবে বেরিয়েছে। সেই রায় ভিন্ন ছিল। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ আইনটা পাস করে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতে হবে—এ সরকার শুধু ভোট চোর নয়, তারা অবৈধ।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সমাবেশ সরকারের জন্য স্পষ্ট বার্তা—তোমার আর সময় নাই। সকলে একযোগে তোমাদের বিরুদ্ধে নেমেছে। আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে। বিএনপির ৪৩ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এই ৪৩ লাখ নেতা-কর্মী ঢাকামুখী হলে এই সরকারের খবর থাকবে না। প্রয়োজনে আমরা তাই করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত আমাদের আত্মতৃপ্তির কোনো কারণ নাই। খালেদা জিয়ার বিদায়ের আগেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আন্দোলনের কোনো ব্যাকরণ নেই। আওয়ামী লীগ আমাদের মরণ কামড় দেবে আমরা জানি। এই মরণ কামড় প্রতিহত করতে হবে। মরতে হলে মরব, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনব।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কথা একটাই, আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। অনেক মা-সন্তান হারিয়েছেন। আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ঘরে ফিরলে কোনো যুবক চাকরি পাবেন না, এমনকি শান্তিতেও থাকতে পারবেন না।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে। অন্যদিকে বিচারালয় ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় দণ্ড দেওয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসনের সদস্যদের ইচ্ছা না থাকার পরও জোর করে তাঁদের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করছে সরকার। আর যে বিচারকেরা মিথ্যা মামলায় সাজা দিচ্ছেন, তাঁদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন নিয়ে দুই দলের সংলাপে আইনি কোনো বাধা নেই। তবে সেই সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। এ ধরনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীনদের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার অসাংবিধানিকভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। সে জন্যই এদের মুখে রাম নাম শোভা পায় না। ভূতের মুখে রাম নাম শোভা পায় না।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার প্রশ্ন আওয়ামী লীগের কাছে যে আপনারা কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? এটা প্রমাণ করতে হবে আপনাদের। সংবিধান পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আপনারা ক্ষমতা দখল করে আছেন।’
এ সময় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল—এটা প্রাথমিক রায়, সম্পূর্ণ নয়। দেশের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। ১৬ মাস পরে সেই রায় পূর্ণাঙ্গ রায় হিসেবে বেরিয়েছে। সেই রায় ভিন্ন ছিল। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ আইনটা পাস করে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতে হবে—এ সরকার শুধু ভোট চোর নয়, তারা অবৈধ।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সমাবেশ সরকারের জন্য স্পষ্ট বার্তা—তোমার আর সময় নাই। সকলে একযোগে তোমাদের বিরুদ্ধে নেমেছে। আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে। বিএনপির ৪৩ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এই ৪৩ লাখ নেতা-কর্মী ঢাকামুখী হলে এই সরকারের খবর থাকবে না। প্রয়োজনে আমরা তাই করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত আমাদের আত্মতৃপ্তির কোনো কারণ নাই। খালেদা জিয়ার বিদায়ের আগেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আন্দোলনের কোনো ব্যাকরণ নেই। আওয়ামী লীগ আমাদের মরণ কামড় দেবে আমরা জানি। এই মরণ কামড় প্রতিহত করতে হবে। মরতে হলে মরব, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনব।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কথা একটাই, আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। অনেক মা-সন্তান হারিয়েছেন। আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ঘরে ফিরলে কোনো যুবক চাকরি পাবেন না, এমনকি শান্তিতেও থাকতে পারবেন না।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে। অন্যদিকে বিচারালয় ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় দণ্ড দেওয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসনের সদস্যদের ইচ্ছা না থাকার পরও জোর করে তাঁদের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করছে সরকার। আর যে বিচারকেরা মিথ্যা মামলায় সাজা দিচ্ছেন, তাঁদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৫ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে