নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রেপ্তার, মামলা ও সাজা কোনো কিছুই সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে শান্ত হন। এখনো বুঝতে পারছেন না, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এই দেশে ইয়াহিয়া পারেননি, এরশাদ পারেননি। আপনারাও পারবেন না।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজকে তাঁর জীবনের ওপর যদি কোনো হুমকি আসে, এ দেশের মানুষ কখনো এই ঘৃণ্য সরকারকে ক্ষমা করবে না।
ফখরুল বলেন, সরকার আজকে এত ভীত-সন্ত্রস্ত যে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যারা নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, সাজা দিচ্ছে। এরা মনে করেছে এসব সাজা দিয়ে বিএনপিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন একেকটা সাজা, গ্রেপ্তার হাজার-হাজার নতুন সৈনিক তৈরি করছে। ভেবেছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাজা দিয়ে আমাদের রুখে দেওয়া যাবে না। বিএনপি এখন জেগে উঠেছে এবং সরকারের পতনের জন্য মরণপণ আন্দোলন করছে। সরকারকে পরাজিত না করা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সৈনিকেরা ক্ষান্ত হবেন না।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকার মানবিক নয়। তারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে, এটা আশা করা যায় না। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তিলে তিলে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরাতে হবে। খালেদা জিয়াকে রক্ষা করতে হবে।’
চলমান আন্দোলনকে জোরাল করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের অনেক ভাই জেলে গেছেন, আরও অনেকে জেলে যাবেন। জেলে যাওয়া ও গুলি খাওয়ার মানসিকতা নিয়ে আজকে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা একটা অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছি। আমাদের কান্না, মানুষের চিৎকার কোনো কিছুই কাজে আসবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা সর্বোপরি দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার বিকল্প কোনো পথ নেই। শেখ হাসিনাকে সরাতে হলে ডু অর ডাই নীতিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই সরকার সহ্য করতে পারে না। যে কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। সরকারকে বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়াকে এই সরকার আটকে রাখতে পারবে না। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁকে মুক্ত করে আনব, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের বুকে আগুন জ্বলছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে আগুন দাউ দাউ করে হাসিনার সরকারকে তছনছ করে দেবে।’ শক্তিশালী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে না। আন্দোলন করে তাঁর মুক্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়ার আহ্বান জানান সেলিমা রহমান।
গ্রেপ্তার, মামলা ও সাজা কোনো কিছুই সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে শান্ত হন। এখনো বুঝতে পারছেন না, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এই দেশে ইয়াহিয়া পারেননি, এরশাদ পারেননি। আপনারাও পারবেন না।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজকে তাঁর জীবনের ওপর যদি কোনো হুমকি আসে, এ দেশের মানুষ কখনো এই ঘৃণ্য সরকারকে ক্ষমা করবে না।
ফখরুল বলেন, সরকার আজকে এত ভীত-সন্ত্রস্ত যে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যারা নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, সাজা দিচ্ছে। এরা মনে করেছে এসব সাজা দিয়ে বিএনপিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন একেকটা সাজা, গ্রেপ্তার হাজার-হাজার নতুন সৈনিক তৈরি করছে। ভেবেছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাজা দিয়ে আমাদের রুখে দেওয়া যাবে না। বিএনপি এখন জেগে উঠেছে এবং সরকারের পতনের জন্য মরণপণ আন্দোলন করছে। সরকারকে পরাজিত না করা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সৈনিকেরা ক্ষান্ত হবেন না।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকার মানবিক নয়। তারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে, এটা আশা করা যায় না। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তিলে তিলে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরাতে হবে। খালেদা জিয়াকে রক্ষা করতে হবে।’
চলমান আন্দোলনকে জোরাল করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের অনেক ভাই জেলে গেছেন, আরও অনেকে জেলে যাবেন। জেলে যাওয়া ও গুলি খাওয়ার মানসিকতা নিয়ে আজকে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা একটা অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছি। আমাদের কান্না, মানুষের চিৎকার কোনো কিছুই কাজে আসবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা সর্বোপরি দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার বিকল্প কোনো পথ নেই। শেখ হাসিনাকে সরাতে হলে ডু অর ডাই নীতিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই সরকার সহ্য করতে পারে না। যে কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। সরকারকে বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়াকে এই সরকার আটকে রাখতে পারবে না। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁকে মুক্ত করে আনব, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের বুকে আগুন জ্বলছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে আগুন দাউ দাউ করে হাসিনার সরকারকে তছনছ করে দেবে।’ শক্তিশালী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে না। আন্দোলন করে তাঁর মুক্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়ার আহ্বান জানান সেলিমা রহমান।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৭ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে