Ajker Patrika

আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ৩৫
আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে: মির্জা ফখরুল 

সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশে গণজাগরণ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চলমান এই আন্দোলন এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

আজ শনিবার বিএনপির কারাবন্দী স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। বনানীতে আমীর খসরুর বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। বিশ্বাস করি, জনগণের বিজয় অবশ্যই হবে। ছাত্রদের বিজয় অবশ্যই হবে।’ 

এ সময় শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নিজ দলের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে এই আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক নেতাদেরও যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সহযোগিতা শুধু নয়, তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি। আমরা আরও বেশি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে আমাদের শুধু সমর্থন নয়, সব রকমের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা তাদের সঙ্গে থাকবে। একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা আমরা পালন করছি এবং করতে থাকব। একই সঙ্গে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদেরও এই দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন একটা গণজাগরণ শুরু হয়ে গেছে। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছে। শুধু ছাত্ররা নেই এখন। অভিভাবক, চিকিৎসক, পেশাজীবী, সংস্কৃতি কর্মী, সাংবাদিক সব ধরনের মানুষ এখানে যুক্ত হয়েছেন। তারা যুক্ত হয়েছেন সব ভয়কে উপেক্ষা করে। এটাই এবারকার এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দিক যে-মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা সব সময় বলে আসছিলাম—তরুণদের জাগ্রত হওয়ার কথা, সেই তরুণেরা এবার জেগে উঠেছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এই কারণে যে, তরুণেরা যেখানে জেগে ওঠে, ছাত্ররা যেখানে জেগে ওঠে, যুবকেরা জেগে ওঠে, সেই আন্দোলনকে পরাজিত করা কারও পক্ষে সম্ভব না।’ 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আজকে ভয়াবহ দানবীয় যে ফ্যাসিস্ট সরকার, তারা যেভাবে হত্যা করেছে আমাদের সন্তানদের—এটা অবর্ণনীয়। শত শত ছাত্রকে তারা (সরকার) হত্যা করেছে। তাদের গণকবর দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’ 

আজ শনিবার সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব প্রথমে যান বনানী ডিওএইচএসে নজরুল ইসলাম খানের বাসায় তাঁর অসুস্থ স্ত্রী কান্তা ইসলামকে দেখতে। এই সময়ে নজরুল ইসলাম খানের ছেলে অনিক খান ও স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রাখি খান উপস্থিত ছিলেন। পরে বনানীতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর স্ত্রী তাহেরা খসরুর সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল। এ সময়ে তার ছেলে ইসরাফিল খসরু উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিব তাদের খোঁজখবর নেন।

বিএনপি নেতাদের কারাগারে থাকা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ যারা কারাগারে আছেন, তারা অমানবিক জীবন যাপন করছেন। তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নাই। যোগাযোগ করতে পারছেন না, কোনো কিছু পাঠাতে পারছেন না। টোটালি আইসোলেটেড বলা যায় যাকে। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা জেল কোডের বাইরেও বটে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খান ভাই এবং খসরু ভাই...তাঁরা দুজনই বয়স্ক মানুষ। তাদের অসুখ আছে। তাদের ওষুধ পাঠাতে পারছেন না।’ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই-এই মানবিক কাজগুলো এই মুহূর্তে করবেন না। অতীতে অনেক করেছেন। এখন দয়া করে এই অমানবিক কাজগুলো আপনারা করবেন না।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত