নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: হেফাজতে ইসলাম শান্তি চায়, কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। সংগঠনটির নেতাদের এমন বক্তব্যে আস্থা নেই সরকারের। ২০১৩ সালের সহিংস ঘটনার পরে যখন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তখন তাঁরা একই কথা বলেছিল। কিন্তু পরে কথা রাখেনি।
এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের অন্তত দুজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাঁরা বলছেন, ২০১৩ সালের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সহিংস ঘটনার পরে সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করেন। পরে নানান কারণে তাঁদের ছাড়ও দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা কিছু দিন চুপ থাকলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যাননি।
ওই নেতারা বলছেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে অনুষ্ঠানে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে দেশব্যাপী সহিংসতা করেছে হেফাজত। সহিংসতার ঘটনায় সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এখন তারা বলছে, শান্তি চায়। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এমন কথা বলছে। আমরা তাদের এই সব কথা আর বিশ্বাস করছি না। তাদের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে কোনো মহল দেখা করতে চাইলে, দেখা করতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি দেখা করেছেন। কিন্তু তাতে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ব্যত্যয় হবে না। তারা যদি বলত এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ক্ষমা চায়, তাহলে একটা কথা হতো। কিন্তু তারা বৈঠকের পরেও মিথ্যাচার করছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি অপরাধ যারা করবেন রাষ্ট্র অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পন্থায় অগ্রসর হবে। কোনোভাবে অপরাধীদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
২০১২ সালের নারীনীতিবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মাঠ গরম করে হেফাজতে ইসলাম। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে সংগঠনটির বিরুদ্ধে। সেই সময় বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিও সমর্থন দেয় তাদের। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিরুদ্ধে সংগঠনটির নেতারা প্রচার চালান। সেটা ভোটে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
এরপর সরকার অরাজনৈতিক দাবি করা সংগঠনটির সঙ্গে সখ্য তৈরি করার চেষ্টা করে। হেফাজতকে সরকারের আস্থায় আনতে কাজ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ওই কর্মকর্তার শিক্ষাজীবনের শুরুতে কওমি মাদ্রাসায় পড়েছিলেন। যার কারণে হেফাজতে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রামের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। একইভাবে সুসম্পর্ক ছিল হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর সঙ্গেও। তাঁর মাধ্যমেই সরকার হেফাজতের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়। সর্বশেষ গত মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে দেশব্যাপী সহিংস প্রতিবাদ জানায় সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এসব সহিংসতায় সরকারি হিসাবে ১৭ জন নিহত হয়।
সংগঠনটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করা, এসি ল্যান্ডের অফিস, রেলস্টেশন, সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই সরকার হেফাজতের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যায়। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করে। তাঁদের অনেককে ২০১৩ সালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়াও গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭৭টি মামলা হয়েছে। তাতে আসামি ৪৯ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৫০ জনের বেশি হেফাজতের নেতা–কর্মীকে।
মামলা ও গ্রেপ্তারের পরে নড়েচড়ে বসে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী রোববার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, হেফাজত শান্তি চায়, কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়।
হেফাজতের হঠাৎ এমন অবস্থান পরিবর্তনকে সংগঠনটির গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতন্ত্র একটা চলমান প্রক্রিয়া। সেখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজ করতে হয়। তবে হেফাজতের অতীতের কর্মকাণ্ডে, তাদের কথার ওপর ভরসা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। তারপরও আলোচনা তো করতে হবে। আলোচনা বন্ধ করে দিলে তো সংঘাত বাড়বেই।’
ঢাকা: হেফাজতে ইসলাম শান্তি চায়, কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। সংগঠনটির নেতাদের এমন বক্তব্যে আস্থা নেই সরকারের। ২০১৩ সালের সহিংস ঘটনার পরে যখন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তখন তাঁরা একই কথা বলেছিল। কিন্তু পরে কথা রাখেনি।
এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের অন্তত দুজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাঁরা বলছেন, ২০১৩ সালের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সহিংস ঘটনার পরে সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করেন। পরে নানান কারণে তাঁদের ছাড়ও দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা কিছু দিন চুপ থাকলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যাননি।
ওই নেতারা বলছেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে অনুষ্ঠানে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে দেশব্যাপী সহিংসতা করেছে হেফাজত। সহিংসতার ঘটনায় সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এখন তারা বলছে, শান্তি চায়। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এমন কথা বলছে। আমরা তাদের এই সব কথা আর বিশ্বাস করছি না। তাদের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে কোনো মহল দেখা করতে চাইলে, দেখা করতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি দেখা করেছেন। কিন্তু তাতে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ব্যত্যয় হবে না। তারা যদি বলত এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ক্ষমা চায়, তাহলে একটা কথা হতো। কিন্তু তারা বৈঠকের পরেও মিথ্যাচার করছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি অপরাধ যারা করবেন রাষ্ট্র অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পন্থায় অগ্রসর হবে। কোনোভাবে অপরাধীদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
২০১২ সালের নারীনীতিবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মাঠ গরম করে হেফাজতে ইসলাম। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে সংগঠনটির বিরুদ্ধে। সেই সময় বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিও সমর্থন দেয় তাদের। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিরুদ্ধে সংগঠনটির নেতারা প্রচার চালান। সেটা ভোটে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
এরপর সরকার অরাজনৈতিক দাবি করা সংগঠনটির সঙ্গে সখ্য তৈরি করার চেষ্টা করে। হেফাজতকে সরকারের আস্থায় আনতে কাজ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ওই কর্মকর্তার শিক্ষাজীবনের শুরুতে কওমি মাদ্রাসায় পড়েছিলেন। যার কারণে হেফাজতে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রামের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। একইভাবে সুসম্পর্ক ছিল হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর সঙ্গেও। তাঁর মাধ্যমেই সরকার হেফাজতের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়। সর্বশেষ গত মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে দেশব্যাপী সহিংস প্রতিবাদ জানায় সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এসব সহিংসতায় সরকারি হিসাবে ১৭ জন নিহত হয়।
সংগঠনটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করা, এসি ল্যান্ডের অফিস, রেলস্টেশন, সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই সরকার হেফাজতের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যায়। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করে। তাঁদের অনেককে ২০১৩ সালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়াও গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭৭টি মামলা হয়েছে। তাতে আসামি ৪৯ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৫০ জনের বেশি হেফাজতের নেতা–কর্মীকে।
মামলা ও গ্রেপ্তারের পরে নড়েচড়ে বসে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী রোববার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, হেফাজত শান্তি চায়, কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়।
হেফাজতের হঠাৎ এমন অবস্থান পরিবর্তনকে সংগঠনটির গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতন্ত্র একটা চলমান প্রক্রিয়া। সেখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজ করতে হয়। তবে হেফাজতের অতীতের কর্মকাণ্ডে, তাদের কথার ওপর ভরসা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। তারপরও আলোচনা তো করতে হবে। আলোচনা বন্ধ করে দিলে তো সংঘাত বাড়বেই।’
সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভারত ও অন্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১ দিন আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১ দিন আগে