নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনগণের দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘অন্য কোনো দিকে দৌড়ে কোনো লাভ নাই। আপনাদের (সরকার) সময় হয়ে গেছে, ঘণ্টা বেজে গেছে। আজরাইল আপনাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়ে গেছে।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহালের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলতে চাই এখনো সময় আছে, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আপনারা (সরকার) এখনো জনগণের দাবি মেনে নেন, পদত্যাগ করেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এটাই এখন সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ, অন্য কোনো পথ নাই।’
দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে সরকারকে বলতে চাই, পরিষ্কার ভাষায় অনেক হয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে আমাদের ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আপনাদের কোনো বোধোদয় হচ্ছে না। এখনো সমানে মিথ্যা মামলা করছেন, গায়েবি মামলা করছেন, এখনো আমাদের ভাইবোনদের আটক করে রেখেছেন, এখনো আপনাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুলিশের প্রশ্রয়ে আপনারা সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছেন।’
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখ বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে, মাথা ফাটিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে এমনকি আমাদের জীবন পর্যন্ত নিয়ে আমাদের আটকে রাখতে পেরেছেন? ১৪ বছর ধরে আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি সত্যিকার অর্থে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। আমরা আন্দোলন করছি, আমাদের ভাইয়েরা প্রাণ দিয়েছে। তারা রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ৪০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, গুম করে দিয়েছে ছয় শর বেশি মানুষকে। প্রতিদিন অত্যাচার-নির্যাতন চলছে, গ্রেপ্তার চলছে এবং গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও কাউকে আটকে রাখা যায়নি। তীব্র গরমের মধ্যেও আজকে সবাই হাজির হয়েছে। আমি বলব—শেখ হাসিনা এখান থেকে শিক্ষা নিন। যত অত্যাচার-নির্যাতনই চালাবেন, জনগণ ত্যাগ স্বীকার করে এবার তাদের অধিকারকে অবশ্যই ফিরিয়ে আনবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে আশা করেছে যে বাজেট আসবে, সেই বাজেটে হয়তো সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা হবে। তারা (সরকার) যে বাজেট দিয়েছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, রিকশাশ্রমিক ভাইয়েরা এমনকি পা কাটা ভিক্ষুক, যাদের অন্য কোনো উপায় নেই, যে ভিক্ষা করছে, তাকে পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তাদেরকেও কর দিতে হবে। অর্থাৎ তারা (সরকার) একটা মশকরা করছে।’
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকালই (শুক্রবার) অর্থমন্ত্রী কী বলেছেন? এটা মশকরা ছাড়া আর কি হতে পারে? তিনি বলেছেন—গরিববান্ধব বাজেট, গরিবের জন্য বাজেট। এমন গরিবের বাজেট, যে আয়কর দিতে পারে না, তাকেও দুই হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অর্থনীতিবিদেরা বলছেন এই বাজেট অর্থনৈতিক সংকটকে চিহ্নিত করতে পারেনি, সমাধানের কোনো পথ দেখাতে পারেনি। উপরন্তু সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কোনো কথা এখানে নাই, চাল-ডাল, তেলের দাম কমানোর কথা নাই, কৃষকের সার দাম কমানোর কথা নাই, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার কথা নাই। বড় বড় মানুষদের, যারা আওয়ামী লীগের লোক, যারা আজকে চুরি করে, দুর্নীতি করে টাকা বানিয়েছে, তাদের কী করে সুবিধা দেওয়া যাবে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মার্কিন ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা গরম হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘একটা ব্যাপারে তাদের (সরকার) মাথা গরম হয়েছে, বেশ গরম হয়েছে। এটা হচ্ছে ভিসা নীতি। ভিসা নীতি যা দেওয়া হয়েছে—তা আমাদের জন্য মর্যাদাকর নয়। কারণ, আমরা এমন একটা দেশ তৈরি করেছি, এমন একটা জাতি তৈরি করেছি, এমন একটা ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ এখানে তৈরি করে দিয়েছে, যে ব্যবস্থায় মার্কিনিরা বলতে বাধ্য হচ্ছে যে তোমরা যদি একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন না করতে পারো, তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মধ্যে রাজনীতিবিদ আছে, প্রশাসন আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে এবং বিচারব্যবস্থাও রয়েছে। অর্থাৎ এ কথা আজ খুব পরিষ্কার শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, মানুষের অধিকার নেই, আইনের শাসন নেই।’
বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একইভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আজকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য ১৫-১৬ বছর আগের মামলা আবারও সচল করে সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া আবারও শুরু করা হয়েছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহালের রায় তারই একটা প্রতিফলন। এভাবে মামলা দিয়ে যদি রাজনীতিবিদদের সরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আসন্ন নির্বাচনে তারা (সরকার) একটা ফাঁকা মাঠ পেয়ে যাবে। তবে সে আশায় গুড়ে বালি, সেটা হবে না। এ দেশের মানুষ সেটা কখনই করতে দেবে না। আমান উল্লাহ আমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে সাজা দিয়ে গণতন্ত্রের যে আন্দোলন, জনগণের অধিকারের, ভোটের অধিকারের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
জনগণের দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘অন্য কোনো দিকে দৌড়ে কোনো লাভ নাই। আপনাদের (সরকার) সময় হয়ে গেছে, ঘণ্টা বেজে গেছে। আজরাইল আপনাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়ে গেছে।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহালের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলতে চাই এখনো সময় আছে, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আপনারা (সরকার) এখনো জনগণের দাবি মেনে নেন, পদত্যাগ করেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এটাই এখন সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ, অন্য কোনো পথ নাই।’
দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে সরকারকে বলতে চাই, পরিষ্কার ভাষায় অনেক হয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে আমাদের ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আপনাদের কোনো বোধোদয় হচ্ছে না। এখনো সমানে মিথ্যা মামলা করছেন, গায়েবি মামলা করছেন, এখনো আমাদের ভাইবোনদের আটক করে রেখেছেন, এখনো আপনাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুলিশের প্রশ্রয়ে আপনারা সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছেন।’
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখ বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে, মাথা ফাটিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে এমনকি আমাদের জীবন পর্যন্ত নিয়ে আমাদের আটকে রাখতে পেরেছেন? ১৪ বছর ধরে আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি সত্যিকার অর্থে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। আমরা আন্দোলন করছি, আমাদের ভাইয়েরা প্রাণ দিয়েছে। তারা রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ৪০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, গুম করে দিয়েছে ছয় শর বেশি মানুষকে। প্রতিদিন অত্যাচার-নির্যাতন চলছে, গ্রেপ্তার চলছে এবং গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও কাউকে আটকে রাখা যায়নি। তীব্র গরমের মধ্যেও আজকে সবাই হাজির হয়েছে। আমি বলব—শেখ হাসিনা এখান থেকে শিক্ষা নিন। যত অত্যাচার-নির্যাতনই চালাবেন, জনগণ ত্যাগ স্বীকার করে এবার তাদের অধিকারকে অবশ্যই ফিরিয়ে আনবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে আশা করেছে যে বাজেট আসবে, সেই বাজেটে হয়তো সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা হবে। তারা (সরকার) যে বাজেট দিয়েছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, রিকশাশ্রমিক ভাইয়েরা এমনকি পা কাটা ভিক্ষুক, যাদের অন্য কোনো উপায় নেই, যে ভিক্ষা করছে, তাকে পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তাদেরকেও কর দিতে হবে। অর্থাৎ তারা (সরকার) একটা মশকরা করছে।’
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকালই (শুক্রবার) অর্থমন্ত্রী কী বলেছেন? এটা মশকরা ছাড়া আর কি হতে পারে? তিনি বলেছেন—গরিববান্ধব বাজেট, গরিবের জন্য বাজেট। এমন গরিবের বাজেট, যে আয়কর দিতে পারে না, তাকেও দুই হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অর্থনীতিবিদেরা বলছেন এই বাজেট অর্থনৈতিক সংকটকে চিহ্নিত করতে পারেনি, সমাধানের কোনো পথ দেখাতে পারেনি। উপরন্তু সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কোনো কথা এখানে নাই, চাল-ডাল, তেলের দাম কমানোর কথা নাই, কৃষকের সার দাম কমানোর কথা নাই, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার কথা নাই। বড় বড় মানুষদের, যারা আওয়ামী লীগের লোক, যারা আজকে চুরি করে, দুর্নীতি করে টাকা বানিয়েছে, তাদের কী করে সুবিধা দেওয়া যাবে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মার্কিন ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা গরম হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘একটা ব্যাপারে তাদের (সরকার) মাথা গরম হয়েছে, বেশ গরম হয়েছে। এটা হচ্ছে ভিসা নীতি। ভিসা নীতি যা দেওয়া হয়েছে—তা আমাদের জন্য মর্যাদাকর নয়। কারণ, আমরা এমন একটা দেশ তৈরি করেছি, এমন একটা জাতি তৈরি করেছি, এমন একটা ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ এখানে তৈরি করে দিয়েছে, যে ব্যবস্থায় মার্কিনিরা বলতে বাধ্য হচ্ছে যে তোমরা যদি একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন না করতে পারো, তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মধ্যে রাজনীতিবিদ আছে, প্রশাসন আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে এবং বিচারব্যবস্থাও রয়েছে। অর্থাৎ এ কথা আজ খুব পরিষ্কার শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, মানুষের অধিকার নেই, আইনের শাসন নেই।’
বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একইভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আজকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য ১৫-১৬ বছর আগের মামলা আবারও সচল করে সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া আবারও শুরু করা হয়েছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহালের রায় তারই একটা প্রতিফলন। এভাবে মামলা দিয়ে যদি রাজনীতিবিদদের সরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আসন্ন নির্বাচনে তারা (সরকার) একটা ফাঁকা মাঠ পেয়ে যাবে। তবে সে আশায় গুড়ে বালি, সেটা হবে না। এ দেশের মানুষ সেটা কখনই করতে দেবে না। আমান উল্লাহ আমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে সাজা দিয়ে গণতন্ত্রের যে আন্দোলন, জনগণের অধিকারের, ভোটের অধিকারের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৭ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৯ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে