নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনলে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক অনলাইন ওয়েবিনারে আজ বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন।
অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘রাজনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ব্যাহত হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা ঘটছে। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনলে এই গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যাবে। বাংলাদেশে গুম-খুনের ঘটনা বন্ধে রাজনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি অতীতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনাও জরুরি।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বলেন, ‘অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যেভাবে বলা হচ্ছে, শুধু বিরোধী দল বা মতকে নিপীড়নের লক্ষ্যে করা হচ্ছে, আমি কিন্তু ততটুকু মানতে রাজি না। একেবারেই (মানতে রাজি) ‘না’ আমি কিন্তু তা বলছি না। কিন্তু ১৯৭৫ এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে বিরোধী দল নিষ্পেষণের ঘটনা নিন্দনীয়। এগুলো নিয়ে সাফাই গাওয়ার কারণ নেই।’
সরকারের পক্ষ থেকে এত দিন ধরেই বলা হচ্ছে, দেশে কোনো গুম ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটছে না। সর্বশেষ ‘গুমের তালিকার অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে’ এবং ‘অনেকেই নানা কারণে আত্মগোপন করে থাকে, সেগুলোকে গুম বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে কেউ গুম হয় না’—পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বলেন, ‘এই যে ভূমধ্যসাগরে মানুষ পার হচ্ছে, তারা কীভাবে পার হচ্ছে? ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে যারা সলিলসমাধি হয়েছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের চক্র জড়িত আছে। এটা আমেরিকা বা লিবিয়া থেকে কেউ এসে করছে না। আমাদের সমাজের মানুষই এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত। বাইরের মানুষ বা ইতালির মানুষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। আমাদের সবাইকে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে হবে। তবে মন্ত্রী মহোদয়ের মুখ থেকে এই কথাগুলো কখনো কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। এটার পক্ষে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই।’
এ সময় নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ নিয়ে অসীম কুমার বলেন, ‘মায়ের ডাক হবে কেন? এটা দেশের ডাক হবে। মায়ের ওপর দায় চাপিয়ে আমরা কি নিজেদের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি? এটা শুধু মায়ের ডাক না হয়ে আমাদের সবার ডাক হবে।’ এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ বাবুকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন গুম করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেন, পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন গুমের বিষয়টি অস্বীকার করেন, তার চেয়ে কষ্টের কী হতে পারে? যারা গুমের শিকার হচ্ছে, তারা আইনের আশ্রয়লাভের সুযোগ পাচ্ছে না। দায়িত্বশীলদের জবাবদিহির ঘাটতি রাজনীতিতে ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে যদি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হতো, তাহলে এসব ঘটনা বন্ধ হয়ে যেত। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা, তারা দায় নিচ্ছেন না। মেজর সিনহার মতো সবার ক্ষেত্রে বিচার হলে যারা গুম করে তারা ভয় পেত। এর ফলে গুম বন্ধ হয়ে যেত। গুম বিষয়ে তদন্তে জাতিসংঘ থেকে প্রতিনিধিদল আসতে চাইলেও সরকার তা অস্বীকার করেছে। এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মহাসচিব মো. নুর খান বলেন, ‘গুমের সংখ্যা কিন্তু অনেক। যেগুলো পত্রপত্রিকায় আসছে, আমরা শুধু সেগুলো নিয়েই কথা বলছি। তাদের বক্তব্যে গুম বিষয়ে অস্বীকারের মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। গুমের ঘটনায় মামলা তো নয়ই, জিডিও করতে দেওয়া না। মামলা নিলেও সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত—এ রকম কিছুই লিখতে দেওয়া হয় না। বিরোধী মত, জঙ্গি তকমা লাগিয়ে এসব কাজ করা হচ্ছে। আপনারা যে ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে এবং পালিয়ে আছে বলছেন, তার মানে আপনাদের কাছে তথ্য আছে। রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব হলো এগুলো খুঁজে বের করা। যখন মামলা এমনকি জিডি পর্যন্ত নেওয়া হয় না, তখন আমার মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, এটি (গুম) রাষ্ট্রের কৌশলগত কারণ হতে পারে। রাষ্ট্র যদি সহযোগিতা করত, তাহলে সব বিচার সম্ভব হতো।’
নুর খান আরও বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। কেন আজ শূন্যের কাছে? তার মানে, যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাঁরা চাইলে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোটায় থাকবে আর না চাইলে এসব ঘটনা ঘটবে।’
অনুষ্ঠানে বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্রিটিশ আইনে এখনো আমাদের পুলিশ চলে। ব্রিটিশরা কি জনগণের জন্য সেই আইন করেছে? ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য বিএনপি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারপর ১৪ ও ১৮ সালের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সেই গ্রহণযোগ্যতা যে হারায়নি তা বলা যাবে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির না হয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যেন আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনী হয়।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘আজকে হোক বা ১০ বছর পরে হোক, বাংলাদেশেও গুমের ঘটনার বিচার হবে। যাঁরা এগুলো অস্বীকার করছেন, তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হবেন। বিচার একদিন হতেই হবে। আজকে যাঁরা গুমের মতো ঘটনায় জড়িত আছেন, তাঁদেরও বিচার হবে এবং হতেই হবে। নইলে আমরা লিবিয়া বা সিরিয়া হয়ে যাব।’
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঘুম-খুন সবই রাজনৈতিক না। দুর্নীতির কারণেও গুম হয়েছে। মানুষের মধ্যে ভয় দেখানোর জন্য ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আগে বেশি গুম-খুন হয়েছে। কারণ নির্বাচনে লোকজন যেন না দাঁড়ায়। অনেকেই মনে করে নিষেধাজ্ঞা এলেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আমরা নিজেরা এটা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।
এ সময় তিনি জাতীয় স্বার্থে শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন গঠনের অনুরোধ জানান। একটা কমিশন গঠন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনলে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক অনলাইন ওয়েবিনারে আজ বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন।
অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘রাজনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ব্যাহত হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা ঘটছে। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনলে এই গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যাবে। বাংলাদেশে গুম-খুনের ঘটনা বন্ধে রাজনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি অতীতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনাও জরুরি।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বলেন, ‘অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যেভাবে বলা হচ্ছে, শুধু বিরোধী দল বা মতকে নিপীড়নের লক্ষ্যে করা হচ্ছে, আমি কিন্তু ততটুকু মানতে রাজি না। একেবারেই (মানতে রাজি) ‘না’ আমি কিন্তু তা বলছি না। কিন্তু ১৯৭৫ এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে বিরোধী দল নিষ্পেষণের ঘটনা নিন্দনীয়। এগুলো নিয়ে সাফাই গাওয়ার কারণ নেই।’
সরকারের পক্ষ থেকে এত দিন ধরেই বলা হচ্ছে, দেশে কোনো গুম ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটছে না। সর্বশেষ ‘গুমের তালিকার অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে’ এবং ‘অনেকেই নানা কারণে আত্মগোপন করে থাকে, সেগুলোকে গুম বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে কেউ গুম হয় না’—পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বলেন, ‘এই যে ভূমধ্যসাগরে মানুষ পার হচ্ছে, তারা কীভাবে পার হচ্ছে? ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে যারা সলিলসমাধি হয়েছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের চক্র জড়িত আছে। এটা আমেরিকা বা লিবিয়া থেকে কেউ এসে করছে না। আমাদের সমাজের মানুষই এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত। বাইরের মানুষ বা ইতালির মানুষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। আমাদের সবাইকে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে হবে। তবে মন্ত্রী মহোদয়ের মুখ থেকে এই কথাগুলো কখনো কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। এটার পক্ষে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই।’
এ সময় নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ নিয়ে অসীম কুমার বলেন, ‘মায়ের ডাক হবে কেন? এটা দেশের ডাক হবে। মায়ের ওপর দায় চাপিয়ে আমরা কি নিজেদের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি? এটা শুধু মায়ের ডাক না হয়ে আমাদের সবার ডাক হবে।’ এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ বাবুকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন গুম করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেন, পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন গুমের বিষয়টি অস্বীকার করেন, তার চেয়ে কষ্টের কী হতে পারে? যারা গুমের শিকার হচ্ছে, তারা আইনের আশ্রয়লাভের সুযোগ পাচ্ছে না। দায়িত্বশীলদের জবাবদিহির ঘাটতি রাজনীতিতে ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে যদি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হতো, তাহলে এসব ঘটনা বন্ধ হয়ে যেত। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা, তারা দায় নিচ্ছেন না। মেজর সিনহার মতো সবার ক্ষেত্রে বিচার হলে যারা গুম করে তারা ভয় পেত। এর ফলে গুম বন্ধ হয়ে যেত। গুম বিষয়ে তদন্তে জাতিসংঘ থেকে প্রতিনিধিদল আসতে চাইলেও সরকার তা অস্বীকার করেছে। এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মহাসচিব মো. নুর খান বলেন, ‘গুমের সংখ্যা কিন্তু অনেক। যেগুলো পত্রপত্রিকায় আসছে, আমরা শুধু সেগুলো নিয়েই কথা বলছি। তাদের বক্তব্যে গুম বিষয়ে অস্বীকারের মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। গুমের ঘটনায় মামলা তো নয়ই, জিডিও করতে দেওয়া না। মামলা নিলেও সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত—এ রকম কিছুই লিখতে দেওয়া হয় না। বিরোধী মত, জঙ্গি তকমা লাগিয়ে এসব কাজ করা হচ্ছে। আপনারা যে ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে এবং পালিয়ে আছে বলছেন, তার মানে আপনাদের কাছে তথ্য আছে। রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব হলো এগুলো খুঁজে বের করা। যখন মামলা এমনকি জিডি পর্যন্ত নেওয়া হয় না, তখন আমার মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, এটি (গুম) রাষ্ট্রের কৌশলগত কারণ হতে পারে। রাষ্ট্র যদি সহযোগিতা করত, তাহলে সব বিচার সম্ভব হতো।’
নুর খান আরও বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। কেন আজ শূন্যের কাছে? তার মানে, যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাঁরা চাইলে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোটায় থাকবে আর না চাইলে এসব ঘটনা ঘটবে।’
অনুষ্ঠানে বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্রিটিশ আইনে এখনো আমাদের পুলিশ চলে। ব্রিটিশরা কি জনগণের জন্য সেই আইন করেছে? ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য বিএনপি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারপর ১৪ ও ১৮ সালের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সেই গ্রহণযোগ্যতা যে হারায়নি তা বলা যাবে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির না হয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যেন আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনী হয়।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘আজকে হোক বা ১০ বছর পরে হোক, বাংলাদেশেও গুমের ঘটনার বিচার হবে। যাঁরা এগুলো অস্বীকার করছেন, তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হবেন। বিচার একদিন হতেই হবে। আজকে যাঁরা গুমের মতো ঘটনায় জড়িত আছেন, তাঁদেরও বিচার হবে এবং হতেই হবে। নইলে আমরা লিবিয়া বা সিরিয়া হয়ে যাব।’
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঘুম-খুন সবই রাজনৈতিক না। দুর্নীতির কারণেও গুম হয়েছে। মানুষের মধ্যে ভয় দেখানোর জন্য ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আগে বেশি গুম-খুন হয়েছে। কারণ নির্বাচনে লোকজন যেন না দাঁড়ায়। অনেকেই মনে করে নিষেধাজ্ঞা এলেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আমরা নিজেরা এটা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।
এ সময় তিনি জাতীয় স্বার্থে শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন গঠনের অনুরোধ জানান। একটা কমিশন গঠন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৫ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৭ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে