সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে থেকেই টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সেই অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার তাগিদ আছে প্রায় সব মহল থেকে। তবে আগামী নির্বাচন কেমন হবে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় রাজনৈতিক দলগুলো সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছে। দুই প্রধান দলের একটি বিএনপি মনে করছে, এবার দলের জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে আছে, এমনটা অনেকে মনে করলেও ক্ষমতাকেন্দ্রিক নানামুখী টানাপোড়েনের কারণে নির্বাচনের সময় ও ভোটের পর দলকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।
এ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য দলকে সাংগঠনিকভাবে তৈরি রাখার পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতিও সেরে রাখার দিকে মনোযোগী হয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপি কী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রশ্নটি তোলা হয় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক নেতার কাছে। তাঁরা বলছেন, আগামী নির্বাচন কখন হবে, ভোটের পর নতুন সরকারব্যবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো ভূমিকা রাখতে চাইবেন কি না, এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও আওয়ামী লীগ কী পদক্ষেপ নেবে, আর নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখন কী কৌশল নেয়, তার ওপর বিএনপির ভোটের কৌশল, প্রার্থী মনোনয়ন ও অন্যান্য প্রস্তুতি অনেকটা নির্ভর করবে।
এ বিষয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশ এলোমেলো অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লেও এর সুবিধাভোগীরা প্রশাসনে রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিনিধিত্বমূলক করাটা গুরুত্ব পাবে সবার কাছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছে, সেগুলো বিএনপির জন্যও চ্যালেঞ্জ।’
অন্তর্বর্তী সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছে, সেগুলো বিএনপির জন্যও চ্যালেঞ্জ।সেলিমা রহমানবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
অন্যদিকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ের দুর্নীতি ও টাকা পাচারের বিষয়গুলো সামনে আসতে থাকায় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিন্তাভাবনা বেশ আলোচিত বিষয় হওয়ায় সামনের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়েও সতর্ক থাকতে হবে, এমনটাই মনে করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ভালো হওয়া দরকার। তাঁরা জনগণের পাশে থাকেন কি না, সেটাও দেখা দরকার।
এর বাইরে নতুন রাজনৈতিক ঢেউয়ের সুযোগে অনেকে দলে ঢুকে বিএনপিতে ঝামেলা তৈরি করতে পারে, এমন ঝুঁকিও আছে, এমনটা মনে করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
বিএনপির কয়েক প্রবীণ নেতা বলেন, তাঁরা মনে করেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা দেশটির কাছে ততটা গুরুত্ব না-ও পেতে পারে। তবে ভারত চাইবে আগামী নির্বাচনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অংশ নিক। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোটে দলটি সুবিধা করতে পারবে না, এমনটা ধরে নিলেও তাঁরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ভোটে এলে বিএনপিসহ প্রায় সব দলের কৌশলে পরিবর্তন আনতে হতে পারে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না এলে এবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির ভোটের জোট বাঁধার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন দলের অধিকাংশ নেতা।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ও দল দাঁড় করাচ্ছে, তার ওপরও নজর রাখছেন বিএনপির ওপরের দিককার নেতারা। বিএনপির মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হলে স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি ও জনভিত্তি আছে এমন কোনো কোনো নেতাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারে, এমন আশঙ্কাও দেখছেন দলের নেতারা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির এক নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী কী ভূমিকা নেয়, তার ওপরও ভোটের পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করতে পারে।
এমন অবস্থায় দলকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে সারা দেশে তৃণমূল থেকে ওপরের দিকে সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে মনোযোগী হয়েছে বিএনপি। ঢাকা ছাড়া অন্য আটটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিভাগের অধীন মহানগর ও জেলাগুলোর সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ এসেছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। এসব সম্মেলন কীভাবে করতে হবে, সে বিষয়েও দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। গত ২৫ নভেম্বর থেকে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নামে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে।
এই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, জেলা ও মহানগর ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
প্রতিটি বিভাগের সম্মেলন ও কাউন্সিলের পুরো প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের জন্য দলের একজন করে ঊর্ধ্বতন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন সিলেট বিভাগে স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ফরিদপুর (রাজনৈতিক) বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, রংপুর বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরিশাল বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, কুমিল্লা (রাজনৈতিক) বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চট্টগ্রাম বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, রাজশাহী বিভাগে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, খুলনা বিভাগে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও ময়মনসিংহ বিভাগে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
এই ৯ নেতাকে তাঁদের দায়িত্বের আওতাধীন বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ক্ষেত্রভেদে মহানগর ও জেলার সভাপতি, আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক, সদস্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে অতিসত্বর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান রিপন গত বৃহস্পতিবার বলেন, স্থানীয় ইউনিটগুলোয় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তাঁরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন, যাতে কমিটিগুলো প্রতিনিধিত্বমূলক হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগে দায়িত্ব পাওয়া আহমেদ আজম খান গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, এ বৈঠকে আগামী ৮০ দিনের ভেতর ছয় জেলার তৃণমূল থেকে অর্থাৎ ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, ওয়ার্ড থেকে পৌরসভা, উপজেলা ও পৌরসভা থেকে জেলা কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে থেকেই টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সেই অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার তাগিদ আছে প্রায় সব মহল থেকে। তবে আগামী নির্বাচন কেমন হবে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় রাজনৈতিক দলগুলো সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছে। দুই প্রধান দলের একটি বিএনপি মনে করছে, এবার দলের জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে আছে, এমনটা অনেকে মনে করলেও ক্ষমতাকেন্দ্রিক নানামুখী টানাপোড়েনের কারণে নির্বাচনের সময় ও ভোটের পর দলকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।
এ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য দলকে সাংগঠনিকভাবে তৈরি রাখার পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতিও সেরে রাখার দিকে মনোযোগী হয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপি কী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রশ্নটি তোলা হয় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক নেতার কাছে। তাঁরা বলছেন, আগামী নির্বাচন কখন হবে, ভোটের পর নতুন সরকারব্যবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো ভূমিকা রাখতে চাইবেন কি না, এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও আওয়ামী লীগ কী পদক্ষেপ নেবে, আর নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখন কী কৌশল নেয়, তার ওপর বিএনপির ভোটের কৌশল, প্রার্থী মনোনয়ন ও অন্যান্য প্রস্তুতি অনেকটা নির্ভর করবে।
এ বিষয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশ এলোমেলো অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লেও এর সুবিধাভোগীরা প্রশাসনে রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিনিধিত্বমূলক করাটা গুরুত্ব পাবে সবার কাছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছে, সেগুলো বিএনপির জন্যও চ্যালেঞ্জ।’
অন্তর্বর্তী সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছে, সেগুলো বিএনপির জন্যও চ্যালেঞ্জ।সেলিমা রহমানবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
অন্যদিকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ের দুর্নীতি ও টাকা পাচারের বিষয়গুলো সামনে আসতে থাকায় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিন্তাভাবনা বেশ আলোচিত বিষয় হওয়ায় সামনের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়েও সতর্ক থাকতে হবে, এমনটাই মনে করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ভালো হওয়া দরকার। তাঁরা জনগণের পাশে থাকেন কি না, সেটাও দেখা দরকার।
এর বাইরে নতুন রাজনৈতিক ঢেউয়ের সুযোগে অনেকে দলে ঢুকে বিএনপিতে ঝামেলা তৈরি করতে পারে, এমন ঝুঁকিও আছে, এমনটা মনে করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
বিএনপির কয়েক প্রবীণ নেতা বলেন, তাঁরা মনে করেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা দেশটির কাছে ততটা গুরুত্ব না-ও পেতে পারে। তবে ভারত চাইবে আগামী নির্বাচনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অংশ নিক। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোটে দলটি সুবিধা করতে পারবে না, এমনটা ধরে নিলেও তাঁরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ভোটে এলে বিএনপিসহ প্রায় সব দলের কৌশলে পরিবর্তন আনতে হতে পারে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না এলে এবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির ভোটের জোট বাঁধার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন দলের অধিকাংশ নেতা।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ও দল দাঁড় করাচ্ছে, তার ওপরও নজর রাখছেন বিএনপির ওপরের দিককার নেতারা। বিএনপির মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হলে স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি ও জনভিত্তি আছে এমন কোনো কোনো নেতাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারে, এমন আশঙ্কাও দেখছেন দলের নেতারা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির এক নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী কী ভূমিকা নেয়, তার ওপরও ভোটের পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করতে পারে।
এমন অবস্থায় দলকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে সারা দেশে তৃণমূল থেকে ওপরের দিকে সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে মনোযোগী হয়েছে বিএনপি। ঢাকা ছাড়া অন্য আটটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিভাগের অধীন মহানগর ও জেলাগুলোর সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ এসেছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। এসব সম্মেলন কীভাবে করতে হবে, সে বিষয়েও দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। গত ২৫ নভেম্বর থেকে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নামে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে।
এই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, জেলা ও মহানগর ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
প্রতিটি বিভাগের সম্মেলন ও কাউন্সিলের পুরো প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের জন্য দলের একজন করে ঊর্ধ্বতন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন সিলেট বিভাগে স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ফরিদপুর (রাজনৈতিক) বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, রংপুর বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরিশাল বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, কুমিল্লা (রাজনৈতিক) বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চট্টগ্রাম বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, রাজশাহী বিভাগে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, খুলনা বিভাগে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও ময়মনসিংহ বিভাগে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
এই ৯ নেতাকে তাঁদের দায়িত্বের আওতাধীন বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ক্ষেত্রভেদে মহানগর ও জেলার সভাপতি, আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক, সদস্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে অতিসত্বর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান রিপন গত বৃহস্পতিবার বলেন, স্থানীয় ইউনিটগুলোয় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তাঁরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন, যাতে কমিটিগুলো প্রতিনিধিত্বমূলক হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগে দায়িত্ব পাওয়া আহমেদ আজম খান গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, এ বৈঠকে আগামী ৮০ দিনের ভেতর ছয় জেলার তৃণমূল থেকে অর্থাৎ ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, ওয়ার্ড থেকে পৌরসভা, উপজেলা ও পৌরসভা থেকে জেলা কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল আমি দেখলাম, এটি আমাকে বিস্মিত করেছে যে দেশপ্রেমী তারা আর সেনাবাহিনী।’
২৪ মিনিট আগেমির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে দুর্বৃত্তায়ন, তাদের যে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট এসব কিন্তু রাজনৈতিক তর্ক—বিতর্কের নিচে পড়ে যাচ্ছে। এরা এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে।’
৬ ঘণ্টা আগেজনগণের রায়ের মুখোমুখি হতে যারা ভয় পায়, তারাই নির্বাচন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ কোন রাজনৈতিক দলকে গ্রহণ করবে কিংবা বর্জন করবে, নির্বাচনের মাধ্যমে সে রায় দেবে জনগণের আদালত। যারা জনগণের আদালতের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় প
১ দিন আগেদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ ধ্বংস করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হলেও সেই আন্দোলন বিফল হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আবার নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। নব্য ফ্যাসিবাদ আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
১ দিন আগে