মামুনুল–কাসেমীরা সাহায্য ফান্ডের নামে টাকা এনে বিলাসিতা করেছেন: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২১, ২০: ৩৫

ঢাকা: শুধু মামুনুল হকের অ্যাকাউন্টেই এক বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নামে আসা ফান্ডের বিপুল টাকার হিসাব দিতে পারছেন না গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজত নেতারা। সঙ্গে আছে বছরের পর বছর বিদেশ থেকে পাওয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাহায্যের টাকা।

রোববার (৩০ মে) বিকেলে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি আরও বলেন, হেফাজতের টাকা মূলত এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে। এ টাকার কোনো হিসাব হেফাজত নেতাদের কাছে নেই। এতিমের জন্য আনা এসব টাকার বেশির ভাগ তাঁরা রাজনীতিতে এবং ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য আনা টাকারও নয়ছয় হয়েছে। হেফাজত নেতাদের আশপাশে থাকা লোকজনও বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন। এক নেতার খাদেমও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

হেফাজতের অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী গ্রেপ্তারের পর মূলত অর্থ নয়ছয়ের এসব বিষয় নজরে আসে গোয়েন্দা পুলিশের। হেফাজতের মূল টাকাটা তাঁর কাছেই আসত। তবে সব ফান্ড মিলিয়ে হেফাজতের অ্যাকাউন্টে মোট কতো টাকা এসেছে তার পরিষ্কার কোনো তথ্য এখনো মেলেনি বলে জানান মাহবুব।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, মামুনুল হকের অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। মানুষের টাকায় তাঁরা শান-শওকত বাড়িয়েছেন। বিলাসী বাড়ি, গাড়ি কিনেছেন। হেফাজত নেতারা নিজেরা যেমন টাকার মালিক হচ্ছেন, আবার সিন্ডিকেট গড়ে অন্যদের কোণঠাসা করছেন।

এ সিন্ডিকেটের কারণে ভালো আলেম ওলামারা হেফাজতের নেতৃত্বে আসতে পারছে না বলে মন্তব্য গোয়েন্দা পুলিশের। মাহবুব বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হলেও বেফাক ও হায়াতুল উলিয়া কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এই সংগঠনগুলো জিম্মি করে ব্যবহার করা হচ্ছে নিজেদের স্বার্থে।

হেফাজতের মামলার তদন্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, হেফাজতের ১৭টি মামলা ডিবি তদন্ত করেছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৪টি ও নতুন তিনটি মামলা রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের ফলে মামলাগুলোর তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুতই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত