রেজা করিম, ঢাকা
ঝিমিয়ে পড়া সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙা করতে আবারও ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারতের সঙ্গে চুক্তি, দুর্নীতির প্রতিবাদসহ চলমান নানা ইস্যুতে এসব কর্মসূচি পালিত হবে। এর মধ্য দিয়ে আগামী তিন মাসে রাজধানীসহ দেশব্যাপী আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে দিতে চায় বিরোধী দলটি। চলতি সপ্তাহেই এসব কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে যাওয়ার আগে নেতা-কর্মীদের চাঙা করার পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করাই এসব কর্মসূচি পালনের লক্ষ্য। শরিক দলগুলোর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সোমবার (আজ) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে যুগপৎভাবেও বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।
এর আগেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক দফা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওই সব কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার ঘোষণা দেয় তারা। কিন্তু গত বছরের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে তাতে ছেদ পড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ছয় মাস পরেও মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। বিএনপি ও যুগপতের শরিকেরা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর বদলে রাজপথ দখলে রেখেছেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। কোটা সংস্কার ও পেনশন স্কিম নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল। এই আন্দোলন থাকতে থাকতেই ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন একাধিক নেতা জানান, আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণে গত শনিবার দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যও অংশ নেন। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন তারেক রহমান। আলোচনায় খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির বিষয়টিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি, দুর্নীতি, কোটা ও পেনশন স্কিম নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ মানুষের ভোগান্তির বিষয়গুলোও গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী দিনের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণমিছিল, কালো পতাকা মিছিল, লিফলেট বিতরণ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী যখন যে কর্মসূচি দরকার, তখন তা পালন করা হবে।
এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিটির সদস্যরা। বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে যে সংকটগুলো রয়েছে, গণতন্ত্রহীনতার সংকট, দুর্নীতি-অনাচারে দেশ ছেয়ে গেছে। এসব সংকটের সমাধান করতে আমরা যে এক দফার লড়াই করছি, সেই লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়নে আমরা আলোচনা করছি।’
ঝিমিয়ে পড়া সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙা করতে আবারও ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারতের সঙ্গে চুক্তি, দুর্নীতির প্রতিবাদসহ চলমান নানা ইস্যুতে এসব কর্মসূচি পালিত হবে। এর মধ্য দিয়ে আগামী তিন মাসে রাজধানীসহ দেশব্যাপী আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে দিতে চায় বিরোধী দলটি। চলতি সপ্তাহেই এসব কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে যাওয়ার আগে নেতা-কর্মীদের চাঙা করার পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করাই এসব কর্মসূচি পালনের লক্ষ্য। শরিক দলগুলোর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সোমবার (আজ) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে যুগপৎভাবেও বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।
এর আগেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক দফা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওই সব কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার ঘোষণা দেয় তারা। কিন্তু গত বছরের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে তাতে ছেদ পড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ছয় মাস পরেও মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। বিএনপি ও যুগপতের শরিকেরা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর বদলে রাজপথ দখলে রেখেছেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। কোটা সংস্কার ও পেনশন স্কিম নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল। এই আন্দোলন থাকতে থাকতেই ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন একাধিক নেতা জানান, আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণে গত শনিবার দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যও অংশ নেন। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন তারেক রহমান। আলোচনায় খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির বিষয়টিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি, দুর্নীতি, কোটা ও পেনশন স্কিম নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ মানুষের ভোগান্তির বিষয়গুলোও গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী দিনের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণমিছিল, কালো পতাকা মিছিল, লিফলেট বিতরণ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী যখন যে কর্মসূচি দরকার, তখন তা পালন করা হবে।
এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিটির সদস্যরা। বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে যে সংকটগুলো রয়েছে, গণতন্ত্রহীনতার সংকট, দুর্নীতি-অনাচারে দেশ ছেয়ে গেছে। এসব সংকটের সমাধান করতে আমরা যে এক দফার লড়াই করছি, সেই লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়নে আমরা আলোচনা করছি।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৭ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৯ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে