নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে একসঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে চান্দগাঁও থানাধীন অদুরপাড়ার মাজার গলির রাঙ্গুনিয়া বিল্ডিং নামে একটি ভবনের বাসায় গোপন বৈঠক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার ১৯ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) আবু বক্কর সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে জানান, ওই বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামীর রুকন ও চান্দগাঁও উত্তর ইউনিটের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ ইয়াসিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও সহকারী বায়তুল মাল সম্পাদক এস্কান্দারসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু বই ও চাঁদা আদায়ের রসিদ জব্দ করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতে একটা বাসায় জামায়াত-শিবিরের লোকজন গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। এ ধরনের তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। বৈঠকে তাঁরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। নগরীর কয়েকটি জায়গায় দুয়েক দিনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূলত লকডাউন ঘিরে তাঁরা নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। সরকারের কঠোর লকডাউন বানচালের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার–চট্টগ্রাম বা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ বলেন, এত দিন নিষ্ক্রিয় থাকলেও মূলত লকডাউন ঘিরে দলটি সক্রিয় হওয়া শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তাদের গোপনে তৎপরতা চালানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে; বিশেষ করে ওয়ার্ডভিত্তিক সাংগঠনিক কার্যক্রম সক্রিয় করা হচ্ছে।
চান্দগাঁও থেকে গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা হলেন মো. ইসহাক (৭৫), জামায়াতে ইসলামীর অদুরপাড়া ইউনিটের বায়তুল মাল সম্পাদক আবু হোসেন এরশাদ (৩৬), মো. মুজিবুল হক জাবেদ (৩২), মো. মোর্শেদুল আলম (৩২), আবুল কাশেম (২৭), মিরাজ (১৯), শওকত হোসেন (৪০), আলী আজগর (২৯), শহীদুল ইসলাম বেলাল (৩৫), আবুল সালেহ মো. রিফাত (১৮), আবু বক্কর ছিদ্দিক মমিন (২৩), আনোয়ার খালেদ (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩৮), মো. ফরহাদুল ইসলাম (৩৩), জাকির হোসেন (৪৮) ও শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৫২)।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় আরও ১৫ জন কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আব্দুল কাদের মোল্লাসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার ফাঁসি দেওয়া ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অন্যান্য নেতার জেলে আটক রাখার প্রতিবাদে নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রকাশিত বই ‘আমরা কী চাই, কেন চাই, কীভাবে চাই,’ গোলাম আযম সম্পাদিত ‘ইসলামী ঐক্য ও ইসলামী আন্দোলন’, ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদীর লেখা ‘সত্যের সাক্ষ্য’ ও জামায়াতে ইসলামী প্রকাশিত দুটি বই পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রসিদ পাওয়া গেছে।
একসময়কার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জামায়াত-শিবির। গত ১০ বছরে চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে কোনো মিছিল-মিটিং কিংবা সভা-সমাবেশ করতে পারেনি দলটি। এমনকি ঘরোয়া বৈঠকের খবর পেলেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের আটক করেছে।
চট্টগ্রামে একসঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে চান্দগাঁও থানাধীন অদুরপাড়ার মাজার গলির রাঙ্গুনিয়া বিল্ডিং নামে একটি ভবনের বাসায় গোপন বৈঠক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার ১৯ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) আবু বক্কর সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে জানান, ওই বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামীর রুকন ও চান্দগাঁও উত্তর ইউনিটের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ ইয়াসিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও সহকারী বায়তুল মাল সম্পাদক এস্কান্দারসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু বই ও চাঁদা আদায়ের রসিদ জব্দ করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতে একটা বাসায় জামায়াত-শিবিরের লোকজন গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। এ ধরনের তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। বৈঠকে তাঁরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। নগরীর কয়েকটি জায়গায় দুয়েক দিনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূলত লকডাউন ঘিরে তাঁরা নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। সরকারের কঠোর লকডাউন বানচালের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার–চট্টগ্রাম বা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ বলেন, এত দিন নিষ্ক্রিয় থাকলেও মূলত লকডাউন ঘিরে দলটি সক্রিয় হওয়া শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তাদের গোপনে তৎপরতা চালানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে; বিশেষ করে ওয়ার্ডভিত্তিক সাংগঠনিক কার্যক্রম সক্রিয় করা হচ্ছে।
চান্দগাঁও থেকে গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা হলেন মো. ইসহাক (৭৫), জামায়াতে ইসলামীর অদুরপাড়া ইউনিটের বায়তুল মাল সম্পাদক আবু হোসেন এরশাদ (৩৬), মো. মুজিবুল হক জাবেদ (৩২), মো. মোর্শেদুল আলম (৩২), আবুল কাশেম (২৭), মিরাজ (১৯), শওকত হোসেন (৪০), আলী আজগর (২৯), শহীদুল ইসলাম বেলাল (৩৫), আবুল সালেহ মো. রিফাত (১৮), আবু বক্কর ছিদ্দিক মমিন (২৩), আনোয়ার খালেদ (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩৮), মো. ফরহাদুল ইসলাম (৩৩), জাকির হোসেন (৪৮) ও শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৫২)।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় আরও ১৫ জন কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আব্দুল কাদের মোল্লাসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার ফাঁসি দেওয়া ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অন্যান্য নেতার জেলে আটক রাখার প্রতিবাদে নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রকাশিত বই ‘আমরা কী চাই, কেন চাই, কীভাবে চাই,’ গোলাম আযম সম্পাদিত ‘ইসলামী ঐক্য ও ইসলামী আন্দোলন’, ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদীর লেখা ‘সত্যের সাক্ষ্য’ ও জামায়াতে ইসলামী প্রকাশিত দুটি বই পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রসিদ পাওয়া গেছে।
একসময়কার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জামায়াত-শিবির। গত ১০ বছরে চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে কোনো মিছিল-মিটিং কিংবা সভা-সমাবেশ করতে পারেনি দলটি। এমনকি ঘরোয়া বৈঠকের খবর পেলেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের আটক করেছে।
সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যারা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভারত ও অন্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।
৩ ঘণ্টা আগেনতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১ দিন আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১ দিন আগে