নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে মাঠে এসে শক্তির পরীক্ষা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপিকে নির্বাচনে এসে শক্তির পরীক্ষা দিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন ফখরুল।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে পদযাত্রাপূর্ব এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, “আসেন না নির্বাচনে, কার কত শক্তি দেখি।” আসেন না আপনারা মাঠে। ওই গদি ছেড়ে দিয়ে আসেন। পুলিশকে ছাড়া আসেন। একটা সত্যিকার অর্থে নির্বাচন হোক, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তখন দেখবেন কার কত শক্তি।’
নজিরবিহীন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই পদযাত্রার আয়োজন করে। পদযাত্রাটি গোপীবাগ সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানে মানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নইলে পালাবার পথটুকুও পাবেন না। এখন তো আবার আমেরিকা আপনাদের পালাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ দেশটা কারও বাবার নয়—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা আপনার আমার সবার দেশ। সবাই মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটাকে আমরা স্বাধীন করেছি। কিন্তু সেই দেশে কোনো কথা বলার অধিকার নেই। নিরাপত্তা নেই।’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্যের নিন্দা জানান ফখরুল। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কি চেয়েছিলেন বরিশালের মেয়র প্রার্থী মারা যাক? ধিক্কার জানাই তাঁর এমন কথায়। যারা স্থানীয় নির্বাচন ঠিকভাবে করতে পারে না, তারা আবার জাতীয় নির্বাচন করবে?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে এই সরকার আমাদের বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। এখন ঘরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে সরকার। আমাদের এমন নেতা নেই, যার বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা নেই।’
এই সরকারের একটাই মাত্র কাজ—জনগণের পকেট কাটা মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘গ্রামে, বাজারে দেখেন না, পকেট কাটা। বলেন না, পকেট কাটা ধর ধর। এখন সময় আসছে আসল পকেট কাটাকে ধরার। এমন একটা জিনিস নেই যেখান থেকে সরকার পকেট কাটে না। মোবাইল থেকে তারা পকেট কেটে নেয়। বিদ্যুতের কার্ডে টাকা ঢোকালে দেখবেন ৩০০ টাকা নেই। কেটে নিয়ে গেছে হাসিনা। এক বছরে আমাদের ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভিসা নীতি করায় সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে। তাই তারা পাচার করা টাকা আনছে। আবার সেই টাকায় আড়াই পার্সেন্ট ইনসেনটিভ দিতে হচ্ছে। এখন টাকা পাচারকারীদের পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন চুরি করেও পুরস্কার পাওয়া যায়।
প্রয়াত রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘সিরাজুল আলম খান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ তাঁকে মৃত্যুর পর সম্মান পর্যন্ত দিল না। একটি শোকবার্তা দেয়নি এই সরকার। কারণ, তিনি এদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। এদের তৈরি রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের মহানগরের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে এই সরকার। এরা আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানছে না। আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করলেও আন্দোলন বন্ধ হবে? হবে না। এ সরকারের লজ্জাও লাগে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অবস্থা বারোটা বাজিয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সালাম বলেন, ‘আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করলেও আন্দোলন থামবে না। গত ১৫ বছরে অনেক পাপ জমা হয়েছে। এখন একটু পাপমোচনের জন্য প্রার্থনা করেন। আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই।’
সরকারকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক গ্রেপ্তার করতে পারেন। কিন্তু বিএনপিকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। এখনো বলছি, সময় আছে, কাইটা পড়েন। পালাতে দেওয়া যাবে না। আজকে তাদের সিন্দুকে টাকা। এসব উদ্ধার করেই তাদের লাল দালানে পাঠাতে হবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে মাঠে এসে শক্তির পরীক্ষা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপিকে নির্বাচনে এসে শক্তির পরীক্ষা দিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন ফখরুল।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে পদযাত্রাপূর্ব এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, “আসেন না নির্বাচনে, কার কত শক্তি দেখি।” আসেন না আপনারা মাঠে। ওই গদি ছেড়ে দিয়ে আসেন। পুলিশকে ছাড়া আসেন। একটা সত্যিকার অর্থে নির্বাচন হোক, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তখন দেখবেন কার কত শক্তি।’
নজিরবিহীন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই পদযাত্রার আয়োজন করে। পদযাত্রাটি গোপীবাগ সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানে মানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নইলে পালাবার পথটুকুও পাবেন না। এখন তো আবার আমেরিকা আপনাদের পালাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ দেশটা কারও বাবার নয়—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা আপনার আমার সবার দেশ। সবাই মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটাকে আমরা স্বাধীন করেছি। কিন্তু সেই দেশে কোনো কথা বলার অধিকার নেই। নিরাপত্তা নেই।’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্যের নিন্দা জানান ফখরুল। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কি চেয়েছিলেন বরিশালের মেয়র প্রার্থী মারা যাক? ধিক্কার জানাই তাঁর এমন কথায়। যারা স্থানীয় নির্বাচন ঠিকভাবে করতে পারে না, তারা আবার জাতীয় নির্বাচন করবে?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে এই সরকার আমাদের বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। এখন ঘরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে সরকার। আমাদের এমন নেতা নেই, যার বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা নেই।’
এই সরকারের একটাই মাত্র কাজ—জনগণের পকেট কাটা মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘গ্রামে, বাজারে দেখেন না, পকেট কাটা। বলেন না, পকেট কাটা ধর ধর। এখন সময় আসছে আসল পকেট কাটাকে ধরার। এমন একটা জিনিস নেই যেখান থেকে সরকার পকেট কাটে না। মোবাইল থেকে তারা পকেট কেটে নেয়। বিদ্যুতের কার্ডে টাকা ঢোকালে দেখবেন ৩০০ টাকা নেই। কেটে নিয়ে গেছে হাসিনা। এক বছরে আমাদের ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভিসা নীতি করায় সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে। তাই তারা পাচার করা টাকা আনছে। আবার সেই টাকায় আড়াই পার্সেন্ট ইনসেনটিভ দিতে হচ্ছে। এখন টাকা পাচারকারীদের পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন চুরি করেও পুরস্কার পাওয়া যায়।
প্রয়াত রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘সিরাজুল আলম খান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ তাঁকে মৃত্যুর পর সম্মান পর্যন্ত দিল না। একটি শোকবার্তা দেয়নি এই সরকার। কারণ, তিনি এদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। এদের তৈরি রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের মহানগরের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে এই সরকার। এরা আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানছে না। আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করলেও আন্দোলন বন্ধ হবে? হবে না। এ সরকারের লজ্জাও লাগে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অবস্থা বারোটা বাজিয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সালাম বলেন, ‘আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করলেও আন্দোলন থামবে না। গত ১৫ বছরে অনেক পাপ জমা হয়েছে। এখন একটু পাপমোচনের জন্য প্রার্থনা করেন। আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই।’
সরকারকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক গ্রেপ্তার করতে পারেন। কিন্তু বিএনপিকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। এখনো বলছি, সময় আছে, কাইটা পড়েন। পালাতে দেওয়া যাবে না। আজকে তাদের সিন্দুকে টাকা। এসব উদ্ধার করেই তাদের লাল দালানে পাঠাতে হবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৫ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৭ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে