নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গুম-খুনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে ‘অক্টোপাসের মতো দম বন্ধ’ করার পরিবেশ বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে পরাজিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার গুলশানের লেক শোর হোটেলে এক আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এই আহ্বান জানান। বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার ১০ বছর উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অধিকার নিয়ে মানুষ কথা বলার চেষ্টা করছে, বলতে পারছে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি যে, আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামীদিনে অবশ্যই সেই ধরনের একটা আন্দোলন তৈরি করতে সক্ষম হব, যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে ভয়াবহ দানব আমাদের ওপর চেপে বসে আছে, তাকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’
আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের দেশকে রক্ষা করবার জন্য, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবার জন্য, আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং গুম হয়ে যাওয়া সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করি, আন্দোলন করি। একটা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসি যেখানে জবাবদিহি থাকবে যেন এই ধরনের-কোনো মা কাঁদবে না, কোনো সন্তান তার বাবাকে খুঁজবে না-এই পরিবেশ আমরা তৈরি করি।’
‘ইলিয়াস আলীসহ সকল গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে গুম হয়ে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। ২০১৭ সালে ১৭ এপ্রিল বনানীর আমতলীর কাছ থেকে এম ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়ি চালক আনসার আলীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গুম হওয়া সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নাই, তাদের প্রতি কীভাবে আমরা সহানুভূতি প্রকাশ করব, তার ভাষাও আমাদের কাছে নাই। গুম করে নানা নির্যাতন করা এমনকি থানায় জিডি পর্যন্ত করতে দেয় নাই, আজকে কিন্তু এই বিষয়গুলো আর গোপন থাকে নাই। গুম হওয়া পরিবারে কান্নায় আমরা ভাষাহীন।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই কান্নার শেষ দেখতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তা করতে হলে এদেশের সকল গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক সকল জনগণ, ব্যক্তি, দলকে সরকার হটানোর ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে এদেশে কারও কান্না থামবে না।’
গুম হওয়াদের স্বজনদের উদ্দেশ করে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মাফ চেয়ে, যত মিনতি করেন, এরা (সরকার) আপনাদের হারানো স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। কারণ ওরা তো নিজেরাই নিয়ে গেছে এবং নিয়ে যে গেছে, এর পেছনে লক্ষ্য ছিল একটাই, তাদের রাজনীতি, তাদের দল, তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা।’
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল ও ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াসের সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ এবং বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা, সাইদুর রহমানের বাবা শফিকুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম রাসেলের ভাই মশিউর রহমান লোটাস, পারভেজ হোসেনের ছোট মেয়ে আদিবা হোসেন হৃদি, নুরুজ্জামান রনির স্ত্রী মনিসা, মনির হোসেনের ভাই ওবায়দুল্লাহ হোসেন তাদের মনবেদনা ও আকুতির কথা তুলে ধরেন।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ নেতা শাহজাহান ওমর, জয়নুল আবদিন ফারুক, শাহজাদা মিয়া, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, শ্যামা ওবায়েদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর হেলাল, ফরিদা ইয়াসমীন, আবেদ রাজাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাজ্য ও কানাডা দূতাবাসের কূটনীতিকরাও ছিলেন।
গুম-খুনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে ‘অক্টোপাসের মতো দম বন্ধ’ করার পরিবেশ বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে পরাজিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার গুলশানের লেক শোর হোটেলে এক আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এই আহ্বান জানান। বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার ১০ বছর উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অধিকার নিয়ে মানুষ কথা বলার চেষ্টা করছে, বলতে পারছে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি যে, আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামীদিনে অবশ্যই সেই ধরনের একটা আন্দোলন তৈরি করতে সক্ষম হব, যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে ভয়াবহ দানব আমাদের ওপর চেপে বসে আছে, তাকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’
আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের দেশকে রক্ষা করবার জন্য, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবার জন্য, আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং গুম হয়ে যাওয়া সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করি, আন্দোলন করি। একটা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসি যেখানে জবাবদিহি থাকবে যেন এই ধরনের-কোনো মা কাঁদবে না, কোনো সন্তান তার বাবাকে খুঁজবে না-এই পরিবেশ আমরা তৈরি করি।’
‘ইলিয়াস আলীসহ সকল গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে গুম হয়ে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। ২০১৭ সালে ১৭ এপ্রিল বনানীর আমতলীর কাছ থেকে এম ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়ি চালক আনসার আলীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গুম হওয়া সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নাই, তাদের প্রতি কীভাবে আমরা সহানুভূতি প্রকাশ করব, তার ভাষাও আমাদের কাছে নাই। গুম করে নানা নির্যাতন করা এমনকি থানায় জিডি পর্যন্ত করতে দেয় নাই, আজকে কিন্তু এই বিষয়গুলো আর গোপন থাকে নাই। গুম হওয়া পরিবারে কান্নায় আমরা ভাষাহীন।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই কান্নার শেষ দেখতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তা করতে হলে এদেশের সকল গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক সকল জনগণ, ব্যক্তি, দলকে সরকার হটানোর ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে এদেশে কারও কান্না থামবে না।’
গুম হওয়াদের স্বজনদের উদ্দেশ করে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মাফ চেয়ে, যত মিনতি করেন, এরা (সরকার) আপনাদের হারানো স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। কারণ ওরা তো নিজেরাই নিয়ে গেছে এবং নিয়ে যে গেছে, এর পেছনে লক্ষ্য ছিল একটাই, তাদের রাজনীতি, তাদের দল, তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা।’
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল ও ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াসের সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ এবং বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা, সাইদুর রহমানের বাবা শফিকুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম রাসেলের ভাই মশিউর রহমান লোটাস, পারভেজ হোসেনের ছোট মেয়ে আদিবা হোসেন হৃদি, নুরুজ্জামান রনির স্ত্রী মনিসা, মনির হোসেনের ভাই ওবায়দুল্লাহ হোসেন তাদের মনবেদনা ও আকুতির কথা তুলে ধরেন।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ নেতা শাহজাহান ওমর, জয়নুল আবদিন ফারুক, শাহজাদা মিয়া, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, শ্যামা ওবায়েদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর হেলাল, ফরিদা ইয়াসমীন, আবেদ রাজাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাজ্য ও কানাডা দূতাবাসের কূটনীতিকরাও ছিলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৫ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৭ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে