১০ জুলাই গণ অধিকার পরিষদের জাতীয় কাউন্সিলের ডাক 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩, ২৩: ০৮
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩, ০৯: ৪৩

নানামুখী টানাপোড়েনের মধ্যে আজ শনিবার হয়ে গেল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির বিশেষ জরুরি সভা। এই সভা ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। সভাপতিত্ব করার কথা ছিল তাঁরই। তিনি রওনা হয়েছিলেন নিজের বাসা থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঝপথেই ফিরে গেছেন সভায় যোগ না দিয়ে। 

দুপুরে রেজা কিবরিয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তিনি সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন, কিন্তু সদস্যসচিব নুরুল হক নুর একই সময়ে আরও তিনটি সভা ডেকেছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী ও বহিরাগত লোক এনে কার্যালয়ের আশপাশে জড়ো করেছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি জরুরি সভায় অংশ নিতে যাননি। 

রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতিতে সভায় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান। সভায় আগামী ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

দলটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সভা ডেকেছিলেন আহ্বায়ক। ঈদের ছুটিতে প্রতিকূল পরিস্থিতি ও যানবাহন সংকটের মধ্যে অন্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত হন। অনুপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক। এই অবস্থায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান। সভা সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। 

এতে দাবি করা হয়, রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ২৫ জুন আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদের বক্তব্য জানতে জরুরি সভাটি ডাকা হয়েছিল। সভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় তাঁকে আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাই দলের উচ্চতর পরিষদর বৈঠক ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। 

রেজা কিবরিয়া এর আগে আর্থিক অস্বচ্ছতা, সরকারের সঙ্গে আঁতাত ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগ আনেন নুরের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে নুরকে বহিষ্কার করেন তিনি। 

এরপর রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন নুর ও তাঁর সমর্থক নেতারা। 

ঢাকায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রমাদানের অভিযোগ অনুযায়ী মোসাদের এজেন্টদের সঙ্গে অন্তত তিনটি বৈঠক করেছেন নুর। অবশ্য নুর এই অভিযোগ নাকচ করে দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত