কুষ্টিয়া-৪: স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিনা পয়সায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নৈশপ্রহরী 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ৩১

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মো. খাইরুল ইসলাম নামে এক সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী। দেশের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, অপরাধ দূর করাসহ মানুষকে টাকা-পয়সা ছাড়াই চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। 

খাইরুল ইসলামের বাড়ি কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নজর আলী শেখের ছেলে। 

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা প্রত্যাশী মো. খাইরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। আল্লাহর নির্দেশে ২০০৮ সাল থেকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। এবারই প্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি নির্বাচিত হয়ে দেশের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, অপরাধ দূর করব। মানুষকে পয়সা ছাড়াই চাকরি দেব।’ 
 
সরকারি চাকরিজীবী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায় কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী গেজেটে স্পষ্টভাবে কোনো চাকরিজীবীর কথা উল্লেখ নেই। সে জন্য আমি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।’ 

কুমারখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। যদি কেউ প্রার্থী হয়, তাহলে যাচাই বাছাইয়ে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।’ 

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৩ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ২ জন। 

নির্বাচন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ (স্বতন্ত্র), তৃণমূল বিএনপির আবু সামস খালেকুজ্জামান, তরিকত ফেডারেশনের আলতাফ হোসেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আইনুদ্দিন, নৈশপ্রহরী খাইরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রাশিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির ফারুক হোসেন, এনপিপির শহিদুল ইসলাম ও বিএনএফর হারুনার রশিদ। 
 
কুমারখালী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। কোনো ত্রুটি থাকলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত