বাইডেনের উপদেষ্টা-কাণ্ড: বিএনপি নেতা ইশরাকের রিমান্ড শুনানি ২৩ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ২০: ৪১
Thumbnail image

বাইডেনের উপদেষ্টা-কাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি ২৩ জুলাই ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। ইশরাককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ইসরাকের আইনজীবী মহসিন মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে জানান, ইশরাকের রিমান্ড আবেদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিট আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় আছে। এ কারণে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি স্থগিত করা হোক। পরে আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন। ওই তারিখে ইশরাককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

ইশরাক হোসেনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগেও কয়েকটি তারিখে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ইশরাক অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির না করায় শুনানি হয়নি।

গত ২৫ মে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কবির হোসেন ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। গত ১৯ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই দিন আত্মসমর্পণ করে এই মামলায় জামিন আবেদন করেন ইশরাক। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার। মামলায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও মিয়া আরেফিকে সাজিয়ে আনা চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেন।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে আরেফী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত