নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার কাঁচাবাজারে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি ছিল। আমার গরিব-দুঃখী মানুষ তা কিনে খেতে পারত। এখন সেই ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৫০ টাকায় চলে গেল। এটাকে কমানো সম্ভব; যদি কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজিটা বন্ধ করতে পারি।’
আজ শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মিট দ্য প্রেসে এসব কথা বলেন সাঈদ খোকন। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র। ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক এই মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করেছে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
মিট দ্য প্রেসে ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তাঁর সময়কালে ডিএসসিসিতে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা ফের নগরবাসীর মাঝে তুলে ধরেন।
পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমার সংসদীয় এলাকার থানা-পুলিশ যখন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যায়, তখন চাঁদাবাজরা সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের একটা কাগজ (সিটি টোল) দেখায়। যে তাঁরা বৈধতা নিয়ে এই চাঁদাবাজিটা করছে। অর্থাৎ সিটি টোলের একটা প্রোটেকশন তাঁরা পায়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারের শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস কম দামে কিনতে পারবেন নগরবাসী।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন হচ্ছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এটি ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে রাজস্ব আহরণ করে জনগণকে সেবা দিতে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। আর সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা নিশ্চিত করার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সে কারণে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পার্থক্য আছে।’
সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদর্শ কর তফসিলে আছে। আমার সময়ে কিন্তু আমি সিটি টোল আরোপ করিনি। আজকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখবেন, লাঠি হাতে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, টেম্পু, বাস, ভ্যানগাড়ি থামিয়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমার সময় কর্তৃত্ব থাকা সত্ত্বেও আমি এই কাজটি করিনি, যাতে নাগরিকদের ভোগান্তি না হয়, বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়েন, অসহায় হয়ে না পড়েন।’
ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মনগড়া বক্তব্য দিয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি (মেয়র তাপস) কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে বলেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০ আর বাইরে ৪৯ হাজার। অন্যদিকে ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান। এই হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ৫৮ হাজার ১৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল।’
দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ইঙ্গিত করে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি দক্ষিণ সিটির মেয়র থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপকহারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করিনি।’
ঢাকার কাঁচাবাজারে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি ছিল। আমার গরিব-দুঃখী মানুষ তা কিনে খেতে পারত। এখন সেই ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৫০ টাকায় চলে গেল। এটাকে কমানো সম্ভব; যদি কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজিটা বন্ধ করতে পারি।’
আজ শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মিট দ্য প্রেসে এসব কথা বলেন সাঈদ খোকন। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র। ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক এই মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করেছে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
মিট দ্য প্রেসে ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তাঁর সময়কালে ডিএসসিসিতে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা ফের নগরবাসীর মাঝে তুলে ধরেন।
পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমার সংসদীয় এলাকার থানা-পুলিশ যখন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যায়, তখন চাঁদাবাজরা সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের একটা কাগজ (সিটি টোল) দেখায়। যে তাঁরা বৈধতা নিয়ে এই চাঁদাবাজিটা করছে। অর্থাৎ সিটি টোলের একটা প্রোটেকশন তাঁরা পায়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারের শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস কম দামে কিনতে পারবেন নগরবাসী।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন হচ্ছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এটি ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে রাজস্ব আহরণ করে জনগণকে সেবা দিতে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। আর সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা নিশ্চিত করার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সে কারণে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পার্থক্য আছে।’
সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদর্শ কর তফসিলে আছে। আমার সময়ে কিন্তু আমি সিটি টোল আরোপ করিনি। আজকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখবেন, লাঠি হাতে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, টেম্পু, বাস, ভ্যানগাড়ি থামিয়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমার সময় কর্তৃত্ব থাকা সত্ত্বেও আমি এই কাজটি করিনি, যাতে নাগরিকদের ভোগান্তি না হয়, বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়েন, অসহায় হয়ে না পড়েন।’
ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মনগড়া বক্তব্য দিয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি (মেয়র তাপস) কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে বলেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০ আর বাইরে ৪৯ হাজার। অন্যদিকে ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান। এই হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ৫৮ হাজার ১৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল।’
দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ইঙ্গিত করে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি দক্ষিণ সিটির মেয়র থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপকহারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করিনি।’
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১২ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১৫ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১৬ ঘণ্টা আগে