নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ও শিক্ষক-কর্মচারী হয়রানি-নির্যাতনের প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নেতা অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করেছে, যারা অন্যায় করেছে, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, যারা বিচারক হয়ে দলীয়ভাবে বিচার করছে, যে ব্যবসায়ী চুরি করছে, দুর্নীতি করছে—সবাই এখন আতঙ্কিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুখে।’
রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের সময় শেষ এবং কোনো কিছুতেই শেষ রক্ষা হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ডিগবাজি করে একবার বাইরে যাচ্ছে (সরকার), ওদিকে যাচ্ছে। ডিগবাজিতে কোনো লাভ হবে না। আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে সময় (সরকারের) হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক কষ্ট দিয়েছেন মানুষকে, অনেক হত্যা করেছেন আমাদের ভাইকে, অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন, অনেক মাকে পুত্রহারা করেছেন, অনেক সন্তানকে পিতা হারা করেছেন, অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। এখনো সময় আছে এখন আপনি মানে মানে দয়া করে বিদায় হোন, বিদায় হোন। আপনারা যে অপকর্ম করেছেন, এই অপকর্মের জবাবদিহি আপনাদের একসময় করতে হবে। এর আগে সসম্মানে যদি বিদায় হতে চান তাহলে এখনই সময়ে আপনি বিদায় হন।’
সরকার পতনে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্যাংশনের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। যা করার আমাদেরই করতে হবে।’
সরকার ভালো কথা শুনছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি, পদযাত্রা করছি, রোডমার্চ করছি, সমাবেশ করছি। চোর না শোনে ধর্মের কাহিনি। ওই জন্য এখন শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার তা-ই করতে হবে।’
বিদেশিরা কেউ বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা—গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, এটা বলতে হয় না, বোঝা যায়। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে এই সরকার তার প্রমাণ দিয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সমাবেশে আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ও শিক্ষক-কর্মচারী হয়রানি-নির্যাতনের প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নেতা অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করেছে, যারা অন্যায় করেছে, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, যারা বিচারক হয়ে দলীয়ভাবে বিচার করছে, যে ব্যবসায়ী চুরি করছে, দুর্নীতি করছে—সবাই এখন আতঙ্কিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুখে।’
রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের সময় শেষ এবং কোনো কিছুতেই শেষ রক্ষা হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ডিগবাজি করে একবার বাইরে যাচ্ছে (সরকার), ওদিকে যাচ্ছে। ডিগবাজিতে কোনো লাভ হবে না। আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে সময় (সরকারের) হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক কষ্ট দিয়েছেন মানুষকে, অনেক হত্যা করেছেন আমাদের ভাইকে, অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন, অনেক মাকে পুত্রহারা করেছেন, অনেক সন্তানকে পিতা হারা করেছেন, অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। এখনো সময় আছে এখন আপনি মানে মানে দয়া করে বিদায় হোন, বিদায় হোন। আপনারা যে অপকর্ম করেছেন, এই অপকর্মের জবাবদিহি আপনাদের একসময় করতে হবে। এর আগে সসম্মানে যদি বিদায় হতে চান তাহলে এখনই সময়ে আপনি বিদায় হন।’
সরকার পতনে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্যাংশনের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। যা করার আমাদেরই করতে হবে।’
সরকার ভালো কথা শুনছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি, পদযাত্রা করছি, রোডমার্চ করছি, সমাবেশ করছি। চোর না শোনে ধর্মের কাহিনি। ওই জন্য এখন শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার তা-ই করতে হবে।’
বিদেশিরা কেউ বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা—গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, এটা বলতে হয় না, বোঝা যায়। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে এই সরকার তার প্রমাণ দিয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সমাবেশে আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৭ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে