আরপিও সংশোধন যুক্তি ও ন্যায়সংগত: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৫: ৪৫
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৬: ০০

নির্বাচন বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) যে সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে, তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত ও ন্যায়সংগত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে। এটা অত্যন্ত যুক্তিসংগত ও ন্যায়সংগত। নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে, দুইটা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে, এই এক-দুই কেন্দ্র বন্ধ হতে পারে। কিন্তু গোটা নির্বাচন কেন বন্ধ করতে হবে?’ 

আজ বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। 

গতকাল জাতীয় সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী বিল পাস হয়। এতে ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমানো হয়। বিশ্লেষকেরা একে অযৌক্তিক বলে দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা অযৌক্তিক, এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আছে? যারা বলে, তাদের আমি জিজ্ঞেস করতে চাই। এ আইনে সে বিষয়টাই স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশে এ রকম, আমরা কেন ভিন্ন কিছু করতে হবে?’ 

ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি এখনো দিবাস্বপ্ন দেখছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আর তিন-চার মাস বাকি। বিএনপি বিদেশিদের ওপর তাকিয়ে আছে কার ওপরে ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে। পত্র-পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি প্রতিনিধিদল আসছে। বিএনপি ভাবছে প্রতিনিধিদল এসেই সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, ভিসা নীতি দেবে। তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা এখনো নালিশের মধ্যে নিমগ্ন। নালিশটা পাবলিকের কাছে নয়, নালিশটা বিদেশিদের কাছে। 

কাদের আরও বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, তাদের কিছু বলার থাকলে আমাদের কাছে বলতে পারে, সেটা বন্ধুসুলভ আচরণ। এখানে কোনো প্রভুত্বের কিছু নেই। বিএনপি প্রভুদের কাছে নালিশ করে, বন্ধুদের কাছে নালিশ করে না। সব পরামর্শ আমাদের গ্রহণ করতে হবে এমন কোনো কথাও নেই।’ 

আওয়ামী লীগ কখনো বিরোধী দলে গেলে তখনকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানকে ফলো করে। সরকারে থাকলে অথবা বিরোধী দলে। চিরজীবন আমরা সরকারে ছিলামও না, অথবা না-ও থাকতে পারি। বিরোধী দলে গেলেও আমরা সংবিধান মেনে চলি।’ 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তরবিষয়ক সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত