Ajker Patrika

তৃণমূল বিএনপির হাল ধরলেন নাজমুল হুদার মেয়ে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৃণমূল বিএনপির হাল ধরলেন নাজমুল হুদার মেয়ে 

তৃণমূল বিএনপির হাল ধরলেন প্রয়াত নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। পরবর্তি কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে শাইনপুকুর স্যুটসের সিগনেচার হলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হুদার স্ত্রী তৃণমূল বিএনপির উপদেষ্টা সিগমা হুদাসহ দলের মহাসচিব শেখ হাবিবুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আক্কাস আলী খান উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার মৃত্যুর পর তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যানের পদটি ফাঁকা ছিল। ৭৬ দিন পর নতুন নেতার নাম ঘোষণা হল। 
বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য নাজমুল হুদা ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি গঠন করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে দলটি ইসির নিবন্ধন পায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিগমা হুদা বলেন, দলের সাধারণ সভায় অন্তরা সেলিমা হুদাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, তার নেতৃত্বে নাজমুল হুদার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে তৃণমূল বিএনপিকে সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

সিগমা হুদা বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সারাদেশে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও পার্টি ফান্ড ও নির্বাচনী ফান্ড সংগ্রহ করা হবে। জাতীয় নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের ৩০০টি আসনে দলের প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে অন্তুরা হুদা বলেন, ‘যদি পরিবেশ হয়, নির্বাচনে অবশ্যই আমরা যাব।’ 

সেই নির্বাচনে কি জোটবদ্ধ হয়ে না এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন—জানতে চাইলে সিগমা হুদা বলেন, ‘সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে। আমরা সবেমাত্র যাত্রা শুরু করলাম।’

অন্তুরা বলেন, ‘আমার বাবার স্বপ্ন ও অসমাপ্ত কাজগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমি এই দায়িত্ব পালনে সম্মত হই। আজকে আমি দলের সকল সদস্য ও দেশের জনগণকে নিয়ে যেন দেশের জন্য ও দেশের জনগণের জন্য এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে পারি, এজন্য আমি আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা ও দোয়া চাই।’ 

১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করলে দলটির প্রথম স্থায়ী কমিটিতে সদস্য ছিলেন নাজমুল হুদা। জিয়ার মৃত্যুর পর স্থায়ী কমিটি পূনর্গঠিত হলে তিনি বাদ পড়েন। খালেদা জিয়ার সময়ে তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুই দফায় তিনি তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। মাঝে একবার বহিষ্কৃত হলেও পরে দলে ফেরানো হয় তাকে। ওয়ান-ইলেভেনে পট পরিবর্তনের পর দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে যেতে হয় নাজমুল হুদাকে। জামিনে মুক্ত হয়ে ২০১০ সালে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য রাখলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে আবার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল বিএনপির সদস্যপদ ফিরে পান তিনি।

২০১২ সালের ৬ জুন হুদা নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেন। ওই বছরই নাজমুল হুদা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ গঠন করেন। পরে সেখান থেকেও বহিস্কৃত হয়ে ২০১৪ সালের ৭ মে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স-বিএনএ’এবং ওই বছরের ২১ নভেম্বর ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি-বিএমপি’ গঠন করেন। এরপর তিনি ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর গঠন করেন ‘তৃণমূল বিএনপি’। নতুন এই দলটির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে আবেদন করেন তিনি। নিবন্ধন না পেয়ে তিনি আদালতে যান। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিতে রায় দেয়। এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক-‘সোনালী আঁশ’ এবং দলীয় স্লোগান হচ্ছে-‘সুস্থ রাজনীতি, সুশাসনের ভিত্তি’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছাড়েন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা

সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতেই মডেল মেঘনা কারাগারে

মডেল মেঘনার পরিবারের মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করেছিল পুলিশ

৯ টুকরো লাশ: সবুজকে হেমায়েতপুর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন পলাশ-তৃষা

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি জানা যাবে মাত্র ৮০০ টাকার রক্ত পরীক্ষায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত