ফজলে আলম নিপুন
ঢাকা: মগবাজার ওয়্যারলেসে আড়ংয়ের আউটলেটের সামনে প্রতিদিন বিভিন্ন পত্রিকা নিয়ে বসেন মোহাম্মদ আবদুল গফুর। মানুষের কাছে নিত্যকার খবর পৌঁছে দেওয়ার এই কাজ করেই চলে ষাটোর্ধ্ব এই মানুষটির জীবন। শুধু নিজের জীবন নয়, সংসারও চলে এই আয় দিয়েই। গতকাল রোববার যখন ঠিক উল্টোদিকের ভবনে বিস্ফোরণ হয়, তখন তিনি সেখানেই ছিলেন। চোখের সামনেই দেখেছেন ভয়াবহভাবে চারপাশকে বিধ্বস্ত হয়ে যেতে। নিজে আহত না হলেও চলতি পথে থাকা বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচলতি মানুষকে দেখেছেন আহত হতে। মগবাজারের এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৭। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও এক ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এই সবকিছু ছাপিয়ে আবদুল গফুরের মন এখনো দখল করে আছে সেই মুহূর্তটি। তাঁর ভাষায়—‘শব্দে মনে হইলো সাক্ষাৎ গজব।’
মগবাজারের এই বিস্ফোরণের কারণ এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। নানা জল্পনা রয়েছে। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটিও। এই সবই এখন সবাই জানে। কিন্তু সেই মুহূর্তটি কেমন ছিল, তা জানেন আবদুল গফুরের মতো মানুষেরা, যারা সে সময় সেই স্থানটিতে ছিলেন।
কেমন ছিল সেই মুহূর্তটি? শোনা যাক আবদুল গফুরের ভাষ্যেই—‘মনে হইতাছিল সব যেন মাটির নিচে ঢুইকা যাইব। যে যেমনে পারতাছে (পারছে) জানের মায়ায় দৌড়াইতাছে (দৌড়াচ্ছে)। আমি কিছু চিন্তা না কইরা গলির ভিতরে ঢুইকা গেছি। কানে আইতাছিল (আসছিল) মাইনসের (মানুষের) চিল্লাচিল্লি (চিৎকার) আর কাচ ভাঙার শব্দ। কালকের (গতকাল রোববার) ঘটনায় আমি বাঁইচা আছি এইডাই (এটাই) বেশি। কারণ, শব্দে মনে হইলো যেন সাক্ষাৎ গজব নাইমা আইছে।’
ঠিক ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সাধন কুমার দাস। মগবাজার ওয়্যারলেসে আড়ংয়ের আউটলেটের পাশেই বিশাল সেন্টার মার্কেটে শাহীন মেডিকেল হল নামের ওষুধের দোকানের মালিক। নিজেই বসেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি দোকানেই ছিলেন। তাঁর বয়ানে পাওয়া গেল আরও কিছু দৃশ্য—‘আমি দোকানে বসেই ওষুধ কোম্পানির এক লোকের সঙ্গে গল্প করছিলাম। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে সবকিছু যেন ভেঙে পড়ছে বলে মনে হলো। ভয়ানক ঝাঁকিতে মনে হলো—ভূমিকম্প হচ্ছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। ঝরঝর করে কাচ ভাঙার শব্দ। যেহেতু সব ভাঙা শুরু হয়ে গেছে, তবে তো আমার বিল্ডিংও ভেঙে পড়বে। মনে হলো আমি নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে। অন্য কোনো কিছুই মাথায় আসছিল না। মনে হচ্ছিল ভয়াবহ কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসেছে। নিজেকে শক্ত করে একটু পর বের হলাম। শুনলাম মানুষের চিৎকার। মানুষ জীবন বাঁচাতে এলোমেলো ছুটছে। রাস্তায় একজনকে দেখলাম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ওপর থেকে আড়ংয়ের বিল্ডিংয়ের কাচ ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন তিনি। দুজন তাঁকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। একটু সামনে এগোতেই দেখলাম ভাঙা কাচের আঘাতে অনেকই আহত হয়েছেন।’
এমন অভিজ্ঞতা সাধন কুমারের মনে বেশ প্রভাব ফেলেছে। বলছেন, ‘হয়তো বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু আতঙ্ক থেকে এখনো বের হতে পারছি না।’
‘মাত্র মাগরিবের নামাজ পইড়া দোকানে আইসা বইছি। একটু পরই বিশাল আওয়াজে সব কাঁইপা (কেঁপে) উঠল’, বলছিলেন বিশাল সেন্টারের রেঙ্গুলি ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপক শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার ছাদ যেন ভাইঙ্গা (ভেঙে) পড়ব। চারদিক অন্ধকার। কই যাব, বুঝতে পারতেছি না। হঠাৎ শব্দ পাইলাম, চেয়ারের পিছনের কাচটা ভাইঙ্গা গেল। আমার ভাগ্য ভালো; শইলে কাচ লাগে নাই। আল্লাহ বাঁচাইয়া দিসে। আমার জীবনে এই রকম শব্দ শুনি নাই। যারা এই ঘটনা না দেখছে, তাগো এইডা বইলা বুঝানো যাইব না। মার্কেটের পুরা (পুরো) বিল্ডিংয়ের কাচ ভাইঙ্গা গেছে। আশপাশের চারটা বিল্ডিংয়ের একই অবস্থা। আমার শো–রুমের দারোয়ান বেশ আহত হইসে। তারে হাসপাতালে পাঠাইয়া দিছি। এত বড় ক্ষতি জীবনে দেখি নাই। ওই সময় মনে হইতাছিল যেন দোজখে আছি। আল্লাহ যেন এই অবস্থায় আমারে আর না ফেলে।’
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া ভবনটির কাছেই ক্যালকাটা ড্রাই ক্লিনারস। প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ আবদুল ওয়াজিদ বলেন, ‘আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। তিনজন দোকানে বসে আছি। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দের সঙ্গে ব্যাপক শক ওয়েভের ধাক্কা এল। আমাদের ভবনও কেঁপে উঠল। চারদিক থেকে ঝরঝর করে কাচ ভাঙার শব্দ এল। বের হয়ে দেখি দুজনের রক্তাক্ত লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় তখন ছোটাছুটি করছে। ভয়াবহ ছিল সেই মুহূর্ত। ভাবলে এখনো আতঙ্ক লাগে।
প্রসঙ্গত, মগবাজারের ওয়্যারলেসে একটি ভবনে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। আর ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৬৬ জন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭, মনোয়ারা হাসপাতালে ছয়, আদ–দ্বীন হাসপাতালে তিন ও হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে দুজন চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে এরই মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ঢাকা: মগবাজার ওয়্যারলেসে আড়ংয়ের আউটলেটের সামনে প্রতিদিন বিভিন্ন পত্রিকা নিয়ে বসেন মোহাম্মদ আবদুল গফুর। মানুষের কাছে নিত্যকার খবর পৌঁছে দেওয়ার এই কাজ করেই চলে ষাটোর্ধ্ব এই মানুষটির জীবন। শুধু নিজের জীবন নয়, সংসারও চলে এই আয় দিয়েই। গতকাল রোববার যখন ঠিক উল্টোদিকের ভবনে বিস্ফোরণ হয়, তখন তিনি সেখানেই ছিলেন। চোখের সামনেই দেখেছেন ভয়াবহভাবে চারপাশকে বিধ্বস্ত হয়ে যেতে। নিজে আহত না হলেও চলতি পথে থাকা বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচলতি মানুষকে দেখেছেন আহত হতে। মগবাজারের এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৭। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও এক ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এই সবকিছু ছাপিয়ে আবদুল গফুরের মন এখনো দখল করে আছে সেই মুহূর্তটি। তাঁর ভাষায়—‘শব্দে মনে হইলো সাক্ষাৎ গজব।’
মগবাজারের এই বিস্ফোরণের কারণ এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। নানা জল্পনা রয়েছে। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটিও। এই সবই এখন সবাই জানে। কিন্তু সেই মুহূর্তটি কেমন ছিল, তা জানেন আবদুল গফুরের মতো মানুষেরা, যারা সে সময় সেই স্থানটিতে ছিলেন।
কেমন ছিল সেই মুহূর্তটি? শোনা যাক আবদুল গফুরের ভাষ্যেই—‘মনে হইতাছিল সব যেন মাটির নিচে ঢুইকা যাইব। যে যেমনে পারতাছে (পারছে) জানের মায়ায় দৌড়াইতাছে (দৌড়াচ্ছে)। আমি কিছু চিন্তা না কইরা গলির ভিতরে ঢুইকা গেছি। কানে আইতাছিল (আসছিল) মাইনসের (মানুষের) চিল্লাচিল্লি (চিৎকার) আর কাচ ভাঙার শব্দ। কালকের (গতকাল রোববার) ঘটনায় আমি বাঁইচা আছি এইডাই (এটাই) বেশি। কারণ, শব্দে মনে হইলো যেন সাক্ষাৎ গজব নাইমা আইছে।’
ঠিক ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সাধন কুমার দাস। মগবাজার ওয়্যারলেসে আড়ংয়ের আউটলেটের পাশেই বিশাল সেন্টার মার্কেটে শাহীন মেডিকেল হল নামের ওষুধের দোকানের মালিক। নিজেই বসেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি দোকানেই ছিলেন। তাঁর বয়ানে পাওয়া গেল আরও কিছু দৃশ্য—‘আমি দোকানে বসেই ওষুধ কোম্পানির এক লোকের সঙ্গে গল্প করছিলাম। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে সবকিছু যেন ভেঙে পড়ছে বলে মনে হলো। ভয়ানক ঝাঁকিতে মনে হলো—ভূমিকম্প হচ্ছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। ঝরঝর করে কাচ ভাঙার শব্দ। যেহেতু সব ভাঙা শুরু হয়ে গেছে, তবে তো আমার বিল্ডিংও ভেঙে পড়বে। মনে হলো আমি নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে। অন্য কোনো কিছুই মাথায় আসছিল না। মনে হচ্ছিল ভয়াবহ কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসেছে। নিজেকে শক্ত করে একটু পর বের হলাম। শুনলাম মানুষের চিৎকার। মানুষ জীবন বাঁচাতে এলোমেলো ছুটছে। রাস্তায় একজনকে দেখলাম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ওপর থেকে আড়ংয়ের বিল্ডিংয়ের কাচ ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন তিনি। দুজন তাঁকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। একটু সামনে এগোতেই দেখলাম ভাঙা কাচের আঘাতে অনেকই আহত হয়েছেন।’
এমন অভিজ্ঞতা সাধন কুমারের মনে বেশ প্রভাব ফেলেছে। বলছেন, ‘হয়তো বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু আতঙ্ক থেকে এখনো বের হতে পারছি না।’
‘মাত্র মাগরিবের নামাজ পইড়া দোকানে আইসা বইছি। একটু পরই বিশাল আওয়াজে সব কাঁইপা (কেঁপে) উঠল’, বলছিলেন বিশাল সেন্টারের রেঙ্গুলি ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপক শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার ছাদ যেন ভাইঙ্গা (ভেঙে) পড়ব। চারদিক অন্ধকার। কই যাব, বুঝতে পারতেছি না। হঠাৎ শব্দ পাইলাম, চেয়ারের পিছনের কাচটা ভাইঙ্গা গেল। আমার ভাগ্য ভালো; শইলে কাচ লাগে নাই। আল্লাহ বাঁচাইয়া দিসে। আমার জীবনে এই রকম শব্দ শুনি নাই। যারা এই ঘটনা না দেখছে, তাগো এইডা বইলা বুঝানো যাইব না। মার্কেটের পুরা (পুরো) বিল্ডিংয়ের কাচ ভাইঙ্গা গেছে। আশপাশের চারটা বিল্ডিংয়ের একই অবস্থা। আমার শো–রুমের দারোয়ান বেশ আহত হইসে। তারে হাসপাতালে পাঠাইয়া দিছি। এত বড় ক্ষতি জীবনে দেখি নাই। ওই সময় মনে হইতাছিল যেন দোজখে আছি। আল্লাহ যেন এই অবস্থায় আমারে আর না ফেলে।’
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া ভবনটির কাছেই ক্যালকাটা ড্রাই ক্লিনারস। প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ আবদুল ওয়াজিদ বলেন, ‘আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। তিনজন দোকানে বসে আছি। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দের সঙ্গে ব্যাপক শক ওয়েভের ধাক্কা এল। আমাদের ভবনও কেঁপে উঠল। চারদিক থেকে ঝরঝর করে কাচ ভাঙার শব্দ এল। বের হয়ে দেখি দুজনের রক্তাক্ত লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় তখন ছোটাছুটি করছে। ভয়াবহ ছিল সেই মুহূর্ত। ভাবলে এখনো আতঙ্ক লাগে।
প্রসঙ্গত, মগবাজারের ওয়্যারলেসে একটি ভবনে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। আর ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৬৬ জন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭, মনোয়ারা হাসপাতালে ছয়, আদ–দ্বীন হাসপাতালে তিন ও হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে দুজন চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে এরই মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪