সৌদি আরবে পাওয়া গেল ৪ হাজার বছর আগের প্রাচীরঘেরা নগর

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ২৯
Thumbnail image
প্রায় ২৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তাম্রযুগের প্রথম দিকে শহরটি নির্মিত হয়। ছবি: প্লস ওয়ান

চার হাজার বছরের পুরোনো প্রাচীরঘেরা শহরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমের এক সুন্দর মরূদ্যানে। প্রাচীন যুগে মানুষ কীভাবে যাযাবর জীবন থেকে শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়েছে, তা এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি তুলে ধরে। ধ্বংসাবশেষটি ‘আল-নাতাহ’ নামে পরিচিত। এটি খাইবারের প্রাচীরযুক্ত মরূদ্যানের ভেতরে দীর্ঘকাল ধরে লুকানো ছিল। শুকনো মরুভূমির মধ্যে একটি উর্বর অঞ্চল এই মরূদ্যান।

ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক গিলোম শার্লুর নেতৃত্বে একটি দল এই ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছে। এই প্রাচীন শহরের সঙ্গে ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীর রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে এই আবিষ্কারের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

সম্প্রতি ‘প্লস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এই প্রাচীরগুলো আবাসিক অঞ্চলের চারপাশে নির্মিত হয়েছিল, যা প্রাচীন মানুষের সংঘবদ্ধ বসবাসের বাস্তব প্রমাণ দেয়।

প্রায় ২৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তাম্রযুগের প্রথম দিকে শহরটি নির্মিত হয়। এতে প্রায় ৫০০ লোক বসবাস করত বলে মনে করা হয়। এই আবিষ্কার কেবল সেই সময়ের সামাজিক ও স্থাপত্য উন্নয়নের বিষয়ই নয়, বরং আরবের এই অংশে যাযাবর জীবন থেকে শহুরে জীবনে পরিবর্তনের দিককেও প্রতিফলিত করে।

এই জায়গার প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ এবং অনুসন্ধানে জানা যায় যে, এখানে একটি সুরক্ষিত ২ দশমিক ৬ হেক্টর শহরের অস্তিত্ব ছিল, যা প্রায় ২৪০০ থেকে ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। শহরটি অন্তত ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। নগরটি তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল: আবাসিক এলাকা, সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা এবং একটি কবরস্থান।

শহরের ছোট ঘরগুলো একটি নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী তৈরি হয়েছিল এবং এগুলো ছোট ছোট রাস্তার মাধ্যমে যুক্ত ছিল। শহরটির আশপাশে অন্যান্য মরূদ্যানের সঙ্গে তুলনা করে গবেষকেরা বলেন যে, তাম্রযুগে উত্তর-পশ্চিম আরবে প্রধানত যাযাবর গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য ছিল এবং এটি দীর্ঘ দূরত্বের বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখানে ছোট সুরক্ষিত শহরের চারপাশে প্রাচীরযুক্ত মরূদ্যানগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।

দক্ষিণ লেভান্টের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে গবেষকেরা দেখতে পান যে, উত্তর আরবির প্রত্নতাত্ত্বিক এই অঞ্চলে ‘ধীরগতির নগরায়ণ’ হয়।

এ ছাড়া তাম্রযুগের শুরু থেকে মধ্য তাম্রযুগের মধ্যে সামাজিক জটিলতা একটু একটু করে বাড়তে শুরু করে। মেসোপটেমিয়া বা মিশরের শহরগুলোর তুলনায় এই শহরগুলো ছোট ছিল এবং উত্তর-পশ্চিম আরবে এই বিশেষ শহরের উন্নয়ন ধীরগতির ছিল।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত