আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে ‘নিউ গ্লেন’ রকেট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণে সমর্থ হয়েছে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
সায়েন্স অ্যালার্ট জানিয়েছে, ব্লু অরিজিনের জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মিশন। কেননা তারা বর্তমানে মহাকাশ বাণিজ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে আগ্রহী। সফল উৎক্ষেপণে তাই খুশি প্রতিষ্ঠানটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ব্লু অরিজিনের পোস্টে বলা হয়, ‘উৎক্ষেপণ শুরু হলো! নিউ গ্লেন তার প্রথম মহাকাশ অভিযানে রওনা দিল।’
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নিউ গ্লেন কারমান রেখা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশসীমা অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া ব্লু রিং অ্যাডভান্সড স্পেসশিপ প্রোটোটাইপটি কক্ষপথে পৌঁছানোর পর ভালোভাবে কাজ করছে এবং প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করছে। তবে প্রথম স্তরের বুস্টারটি ফেরত আসতে সক্ষম হয়নি এবং এটি অবতরণের সময় হারিয়ে যায়।
ব্লু অরিজিনের সিইও ডেভ লিম্প বলেন, ‘প্রথম প্রচেষ্টাতেই নিউ গ্লেন কক্ষপথে পৌঁছানোয় আমি অত্যন্ত গর্বিত। প্রথমবারের মতো বুস্টারটি পুনরায় অক্ষত অবস্থায় নামানো একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য, তা আগেই জানতাম। তবে আজকের মিশন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখব এবং আগামী বসন্তে পরবর্তী উৎক্ষেপণের চেষ্টা করব।’
পরিকল্পনা ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের ৬২০ মাইল (১০০০ কিলোমিটার) দূরে বুস্টারটি একটি ড্রোন শিপে অবতরণ করানোর। তবে শেষ পর্যন্ত ওই পরিকল্পনা সফল হয়নি।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ব্লু অরিজিনের সফল উৎক্ষেপণের জন্য জেফ বেজোসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম প্রচেষ্টাতেই কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য অভিনন্দন।’
প্রায় ৩০ তলার সমান নিউ গ্লেন রকেটটি দুটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রথম অংশটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এতে সাতটি ইঞ্জিন রয়েছে। রকেটটি ভারী লোড বা যন্ত্রপাতি যেমন উপগ্রহ, মহাকাশযান বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি মহাকাশে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। নাসার মহাকাশচারী জন গ্লেনের নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম আমেরিকান নভোচারী ছিলেন তিনি।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। জেফ বেজোসের মিশনটি স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য এবং এর মাধ্যমে তিনি মাস্কের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। কারণ, মাস্কের স্পেসএক্স বর্তমানে মহাকাশ উৎক্ষেপণের বাজারে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে।
স্পেসএক্স তার বহুল ব্যবহৃত ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে রকেট উৎক্ষেপণের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এটি বাণিজ্যিক খাত, পেন্টাগন ও নাসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নিউ গ্লেন রকেটটি স্পেসএক্সের ২৩০ ফুট দীর্ঘ ফ্যালকন ৯ রকেটের চেয়ে বড় এবং এটি ভারী পে-লোড বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটির পে-লোডের ক্ষমতা ফ্যালকন ৯ ও ‘ফ্যালকন হেভির’ মাঝামাঝি। এটি ২০টি ট্রাকের সমান পে-লোড বহনে সক্ষম।
ব্লু অরিজিন ইতিমধ্যে নিউ গ্লেন রকেটের মাধ্যমে নাসার কাছ থেকে একটি কাজ পেয়েছে। এ ছাড়া রকেটটি প্রজেক্ট কুইপার নামের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কনস্টেলেশন চালুতে সহায়তা করবে, যা স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
মহাকাশ খাতে বর্তমানে স্পেসএক্সের পেছনে রয়েছে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স, অ্যারিয়েনস্পেস, রকেট ল্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সেক্টরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে জেফ বেজোসের। তবে এক জায়গায় ইলন মাস্ক ও বেজেসোর পার্থক্য রয়েছে। স্পেসএক্সের প্রধান যেখানে মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানে পৃথিবী রক্ষার জন্য ভারী শিল্পগুলোকে মহাকাশে ভাসমান প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করতে চান ব্লু অরিজিনের প্রধান।
প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে ‘নিউ গ্লেন’ রকেট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণে সমর্থ হয়েছে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
সায়েন্স অ্যালার্ট জানিয়েছে, ব্লু অরিজিনের জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মিশন। কেননা তারা বর্তমানে মহাকাশ বাণিজ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে আগ্রহী। সফল উৎক্ষেপণে তাই খুশি প্রতিষ্ঠানটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ব্লু অরিজিনের পোস্টে বলা হয়, ‘উৎক্ষেপণ শুরু হলো! নিউ গ্লেন তার প্রথম মহাকাশ অভিযানে রওনা দিল।’
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নিউ গ্লেন কারমান রেখা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশসীমা অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া ব্লু রিং অ্যাডভান্সড স্পেসশিপ প্রোটোটাইপটি কক্ষপথে পৌঁছানোর পর ভালোভাবে কাজ করছে এবং প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করছে। তবে প্রথম স্তরের বুস্টারটি ফেরত আসতে সক্ষম হয়নি এবং এটি অবতরণের সময় হারিয়ে যায়।
ব্লু অরিজিনের সিইও ডেভ লিম্প বলেন, ‘প্রথম প্রচেষ্টাতেই নিউ গ্লেন কক্ষপথে পৌঁছানোয় আমি অত্যন্ত গর্বিত। প্রথমবারের মতো বুস্টারটি পুনরায় অক্ষত অবস্থায় নামানো একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য, তা আগেই জানতাম। তবে আজকের মিশন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখব এবং আগামী বসন্তে পরবর্তী উৎক্ষেপণের চেষ্টা করব।’
পরিকল্পনা ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের ৬২০ মাইল (১০০০ কিলোমিটার) দূরে বুস্টারটি একটি ড্রোন শিপে অবতরণ করানোর। তবে শেষ পর্যন্ত ওই পরিকল্পনা সফল হয়নি।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ব্লু অরিজিনের সফল উৎক্ষেপণের জন্য জেফ বেজোসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম প্রচেষ্টাতেই কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য অভিনন্দন।’
প্রায় ৩০ তলার সমান নিউ গ্লেন রকেটটি দুটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রথম অংশটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এতে সাতটি ইঞ্জিন রয়েছে। রকেটটি ভারী লোড বা যন্ত্রপাতি যেমন উপগ্রহ, মহাকাশযান বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি মহাকাশে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। নাসার মহাকাশচারী জন গ্লেনের নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম আমেরিকান নভোচারী ছিলেন তিনি।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। জেফ বেজোসের মিশনটি স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য এবং এর মাধ্যমে তিনি মাস্কের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। কারণ, মাস্কের স্পেসএক্স বর্তমানে মহাকাশ উৎক্ষেপণের বাজারে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে।
স্পেসএক্স তার বহুল ব্যবহৃত ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে রকেট উৎক্ষেপণের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এটি বাণিজ্যিক খাত, পেন্টাগন ও নাসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নিউ গ্লেন রকেটটি স্পেসএক্সের ২৩০ ফুট দীর্ঘ ফ্যালকন ৯ রকেটের চেয়ে বড় এবং এটি ভারী পে-লোড বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটির পে-লোডের ক্ষমতা ফ্যালকন ৯ ও ‘ফ্যালকন হেভির’ মাঝামাঝি। এটি ২০টি ট্রাকের সমান পে-লোড বহনে সক্ষম।
ব্লু অরিজিন ইতিমধ্যে নিউ গ্লেন রকেটের মাধ্যমে নাসার কাছ থেকে একটি কাজ পেয়েছে। এ ছাড়া রকেটটি প্রজেক্ট কুইপার নামের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কনস্টেলেশন চালুতে সহায়তা করবে, যা স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
মহাকাশ খাতে বর্তমানে স্পেসএক্সের পেছনে রয়েছে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স, অ্যারিয়েনস্পেস, রকেট ল্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সেক্টরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে জেফ বেজোসের। তবে এক জায়গায় ইলন মাস্ক ও বেজেসোর পার্থক্য রয়েছে। স্পেসএক্সের প্রধান যেখানে মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানে পৃথিবী রক্ষার জন্য ভারী শিল্পগুলোকে মহাকাশে ভাসমান প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করতে চান ব্লু অরিজিনের প্রধান।
প্রথমবারের মতো নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উত্তর চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইট পাকিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, শহর পরিকল্পনা এবং কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
৩৪ মিনিট আগেএখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুর পর ক্রায়োপ্রিজারভেশনের মাধ্যমে আবারও বেঁচে উঠেছেন এমন নজির নেই। এমনকি এ রকম ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি রক্ষা করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কিংস কলেজ লন্ডনের নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ক্লাইভ কোয়েন এই ধারণাকে ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেজে-০৪১০-০১৩৯ নামের এই ব্ল্যাক হোলটির ভর সূর্যের ভরের প্রায় ৭০ কোটি গুণ। এটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্যতম প্রাচীন ব্ল্যাক হোল। নাসার চন্দ্র অবজারভেটরি এবং চিলির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন টেলিস্কোপের মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা হয়েছে। এটি শিশু মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুনভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
১ দিন আগেপ্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে ‘নিউ গ্লেন’ রকেটকে সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করেছে বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিন। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সকালে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ‘নিউ গ্লেন’ রকেটটি উৎক্ষেপিত হয়। এটি মহাকাশ বাণিজ্য নতুন দিগন্তের সূচনা করছে।
১ দিন আগে