অনলাইন ডেস্ক
নতুন নতুন রোগ যেমন আসছে, তেমনি আসছে নতুন নানা প্রযুক্তি। এসব উদ্ভাবনের জন্য প্রতিনিয়তই প্রয়োজন হয় বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অণুর। কোনোটির ক্ষেত্রে যদি দীর্ঘস্থায়ীত্বের প্রয়োজন হয়, কোনোটির ক্ষেত্রে আবার স্থিতিস্থাপকতার দরকার পড়ে। আর এই নতুন সব বৈশিষ্ট্যের চাহিদা মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বিজ্ঞানীদের। কারণ, নতুন অণু তৈরি কোনো সহজ কাজ নয়। আর এই কঠিন কাজটি সহজ করার কৌশল উদ্ভাবন করেই এবার রসায়নে নোবেল জিতেছেন দুই বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান।
নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি নতুন ধরনের প্রভাবকই এই নতুন কৌশলের মূলে। এই জৈব প্রভাবক উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাঁরা একসঙ্গে দুটি কাজ করেছেন। প্রথম কাজ তো শুরুতেই বলা হলো। নতুন অণু তৈরির প্রক্রিয়াকে সহজ করা। আর দ্বিতীয় কাজটি হলো এই নতুন প্রভাবকটি জৈব এবং সেই সূত্রে পরিবেশবান্ধব। ফলে বিশেষত ওষুধ শিল্পে এর রয়েছে বড় ভূমিকা।
প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রই রসায়নবিদদের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। নতুন নতুন অণু তৈরি করে স্থিতিস্থাপকতা বা দীর্ঘস্থায়ীত্ব বা কোনো বিশেষ রোগের গতিরোধ কিংবা শক্তি সঞ্চয়ের মতো বিভিন্ন চাহিদার জোগানের জন্য সংশ্লিষ্ট খাত তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অণু তৈরি মুখের কথা নয়। এই অণু তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যা প্রয়োজন, তা হলো প্রভাবক।
প্রভাবকের কাজ কী? যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি হ্রাস বা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণ করে নিজের ধর্মকে অক্ষুণ্ন রাখাই এর মূল কাজ। বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করলেও সে নিজে বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না। এটি নানা কিছু হতে পারে। কিন্তু যেকোনো একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য যথার্থ প্রভাবকটি খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। ধরা যাক গাড়ির কথা। যেকোনো ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে জ্বালানি পুড়ে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তা দিয়েই গাড়িটি চলে। জ্বালানি পুড়ে শুধু শক্তিই উৎপন্ন হয় না। এর সঙ্গে উৎপন্ন হয় ক্ষতিকর ধোঁয়াও। এ ক্ষেত্রে প্রভাবকের কাজ হলো এই ক্ষতিকর ধোঁয়াকে নিরাপদ অণুতে বদলে দেওয়া। মানুষের শরীরেও রয়েছে হাজারটা প্রভাবক, যেগুলোকে বলা হয় এনজাইম।
সব মিলিয়ে যেকোনো রসায়নবিদের জন্যই যথাযথ প্রভাবক খুঁজে পাওয়াটা ভীষণ ঝক্কির ব্যাপার। এত দিন পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিল, দুনিয়ায় দুই ধরনের প্রভাবক রয়েছে—এনজাইম ও ধাতু। এ ক্ষেত্রেই ধারণা বদলে দেওয়ার কাজটি করেছেন বেনজামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০০ সালে তাঁরা পৃথকভাবে তৃতীয় এক ধরনের প্রভাবক তৈরি করেন। ছোট ছোট জৈব অণুর সমন্বয়ে গঠিত এই অসম জৈব প্রভাবক বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে।
রসায়নে নোবেল কমিটির প্রধান জোহান অ্যাকভিস্ট বলেন, ‘জৈব প্রভাবক মূলত কার্বন পরমাণুর এক স্থিতিশীল কাঠামো, যার সঙ্গে অনেক বেশি সক্রিয় রাসায়নিক গোষ্ঠী যুক্ত হতে পারে। এটি প্রভাবনের সীমাটি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। কিন্তু এত দিন এই পথে কেউ ভাবতেই পারেনি।’
এই প্রভাবক অণুর ভেতরে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও সালফার পরমাণু থাকতে পারে। কিন্তু সব মিলিয়ে এটি পরিবেশবান্ধব। একই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও কম। ফলে ওষুধসহ জরুরি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ব্যয় অনেক কমে আসে এই প্রভাবকের কল্যাণে।
এবার এই প্রভাবক উদ্ভাবনের কারণেই নোবেল জয় করলেন জার্মান বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাকমিলান। লিস্ট ১৯৬৮ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে জন্মগ্রহণ করেন। ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক ১৯৯৭ সালে জার্মানির গ্যাটে ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। আর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ম্যাকমিলানের জন্ম ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্যের বেলশিলে।
নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার) তাঁদের দুজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
নতুন নতুন রোগ যেমন আসছে, তেমনি আসছে নতুন নানা প্রযুক্তি। এসব উদ্ভাবনের জন্য প্রতিনিয়তই প্রয়োজন হয় বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অণুর। কোনোটির ক্ষেত্রে যদি দীর্ঘস্থায়ীত্বের প্রয়োজন হয়, কোনোটির ক্ষেত্রে আবার স্থিতিস্থাপকতার দরকার পড়ে। আর এই নতুন সব বৈশিষ্ট্যের চাহিদা মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বিজ্ঞানীদের। কারণ, নতুন অণু তৈরি কোনো সহজ কাজ নয়। আর এই কঠিন কাজটি সহজ করার কৌশল উদ্ভাবন করেই এবার রসায়নে নোবেল জিতেছেন দুই বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান।
নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি নতুন ধরনের প্রভাবকই এই নতুন কৌশলের মূলে। এই জৈব প্রভাবক উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাঁরা একসঙ্গে দুটি কাজ করেছেন। প্রথম কাজ তো শুরুতেই বলা হলো। নতুন অণু তৈরির প্রক্রিয়াকে সহজ করা। আর দ্বিতীয় কাজটি হলো এই নতুন প্রভাবকটি জৈব এবং সেই সূত্রে পরিবেশবান্ধব। ফলে বিশেষত ওষুধ শিল্পে এর রয়েছে বড় ভূমিকা।
প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রই রসায়নবিদদের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। নতুন নতুন অণু তৈরি করে স্থিতিস্থাপকতা বা দীর্ঘস্থায়ীত্ব বা কোনো বিশেষ রোগের গতিরোধ কিংবা শক্তি সঞ্চয়ের মতো বিভিন্ন চাহিদার জোগানের জন্য সংশ্লিষ্ট খাত তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অণু তৈরি মুখের কথা নয়। এই অণু তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যা প্রয়োজন, তা হলো প্রভাবক।
প্রভাবকের কাজ কী? যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি হ্রাস বা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণ করে নিজের ধর্মকে অক্ষুণ্ন রাখাই এর মূল কাজ। বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করলেও সে নিজে বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না। এটি নানা কিছু হতে পারে। কিন্তু যেকোনো একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য যথার্থ প্রভাবকটি খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। ধরা যাক গাড়ির কথা। যেকোনো ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে জ্বালানি পুড়ে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তা দিয়েই গাড়িটি চলে। জ্বালানি পুড়ে শুধু শক্তিই উৎপন্ন হয় না। এর সঙ্গে উৎপন্ন হয় ক্ষতিকর ধোঁয়াও। এ ক্ষেত্রে প্রভাবকের কাজ হলো এই ক্ষতিকর ধোঁয়াকে নিরাপদ অণুতে বদলে দেওয়া। মানুষের শরীরেও রয়েছে হাজারটা প্রভাবক, যেগুলোকে বলা হয় এনজাইম।
সব মিলিয়ে যেকোনো রসায়নবিদের জন্যই যথাযথ প্রভাবক খুঁজে পাওয়াটা ভীষণ ঝক্কির ব্যাপার। এত দিন পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিল, দুনিয়ায় দুই ধরনের প্রভাবক রয়েছে—এনজাইম ও ধাতু। এ ক্ষেত্রেই ধারণা বদলে দেওয়ার কাজটি করেছেন বেনজামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০০ সালে তাঁরা পৃথকভাবে তৃতীয় এক ধরনের প্রভাবক তৈরি করেন। ছোট ছোট জৈব অণুর সমন্বয়ে গঠিত এই অসম জৈব প্রভাবক বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে।
রসায়নে নোবেল কমিটির প্রধান জোহান অ্যাকভিস্ট বলেন, ‘জৈব প্রভাবক মূলত কার্বন পরমাণুর এক স্থিতিশীল কাঠামো, যার সঙ্গে অনেক বেশি সক্রিয় রাসায়নিক গোষ্ঠী যুক্ত হতে পারে। এটি প্রভাবনের সীমাটি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। কিন্তু এত দিন এই পথে কেউ ভাবতেই পারেনি।’
এই প্রভাবক অণুর ভেতরে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও সালফার পরমাণু থাকতে পারে। কিন্তু সব মিলিয়ে এটি পরিবেশবান্ধব। একই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও কম। ফলে ওষুধসহ জরুরি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ব্যয় অনেক কমে আসে এই প্রভাবকের কল্যাণে।
এবার এই প্রভাবক উদ্ভাবনের কারণেই নোবেল জয় করলেন জার্মান বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাকমিলান। লিস্ট ১৯৬৮ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে জন্মগ্রহণ করেন। ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক ১৯৯৭ সালে জার্মানির গ্যাটে ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। আর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ম্যাকমিলানের জন্ম ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্যের বেলশিলে।
নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার) তাঁদের দুজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
৫ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে