অনলাইন ডেস্ক
স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে রকেট বিজ্ঞানী—বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গণিত সম্পর্কে আগ্রহীরা প্রতি বছর মার্চের ১৪ তারিখে উদ্যাপন করেন পাই দিবস। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর ১৪ মার্চকে সারা বিশ্বের গণিতবিদগণ পাই দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। আজ ১৪ মার্চও তাই এর ব্যতিক্রম নয়। সারা বিশ্বে অনেক মানুষ দিনটিকে এক টুকরো পাই বা মিষ্টি, এমনকি পিৎজা দিয়েও উদ্যাপন করে।
সহজ কথায়, পাই হলো একটি গাণিতিক ধ্রুবক যা একটি বৃত্তের পরিধি এবং ব্যাসের অনুপাত প্রকাশ করে। প্রাচীন মিশর, ব্যাবিলন এবং চীন থেকেও হাজার হাজার বছর আগের পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রকৌশল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অনেক সূত্রেরই অংশ এই ধ্রুবক।
১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ ল্যারি শ’ পাই (π) দিবসের ধারণার প্রবর্তন করেন। সান ফ্রান্সেসকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ’ এ দিবস পালনের উদ্যোক্তা বলে তাকে ‘পাই-এর রাজপুত্র’ বলা হয়। ২০০৯ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই (π) দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। আর এই দিনটি আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিনও।
পাই কী
অঙ্কের একটি বিশেষ চিহ্ন হলো ‘পাই’—যা বৃত্তের একটি বিশেষ অনুপাত। যেকোনো বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দিয়ে ভাগ করলে প্রতি ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে একটি ধ্রুবক মান যা ৩.১৪ এর কাছাকাছি এবং এটি অসীমও, যার অর্থ এটি গাণিতিকভাবে অমূলদ। সুবিধার জন্য ৩.১৪-কেই বলা হয় ‘পাই’।
কম্পিউটার আবিষ্কারের অনেক আগে আইজ্যাক নিউটনের মতো বিজ্ঞানীরাও হাত দিয়ে দশমিক স্থান গণনা করতে অনেক ঘণ্টা কাটিয়েছেন। আজ অত্যাধুনিক কম্পিউটার ব্যবহার করে গবেষকেরা পাই এর জন্য ট্রিলিয়ন সংখ্যা পর্যন্ত গিয়েও দেখেছেন, এর শেষ নেই।
একে কেন পাই বলা হয়
১৭০৬ সাল পর্যন্ত ধ্রুবকটির কোনো নাম ছিল না। ওয়েলশ গণিতবিদ উইলিয়াম জোনস ধ্রুবকটির জন্য গ্রিক বর্ণ ব্যবহার শুরু করেছিলেন। তবে এই বর্ণ ব্যবহারের কারণ হচ্ছে—পাই হচ্ছে গ্রিক বর্ণমালার ষোলোতম অক্ষর যা পরিধির গ্রিক শব্দের সংক্ষিপ্তরূপের প্রথম বর্ণ। সাধারণত বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তা হলো পাই।
পাইয়ের ব্যবহারিক প্রয়োগ
শুধুমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রেই নয়; পরিসংখ্যান, ত্রিকোণমিতি, বিস্তার পরিমাপ, অর্থনীতিসহ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাইয়ের ব্যাপক ব্যবহার হয় যা একে করে তুলেছে সত্যিই অনন্য ও অসাধারণ। শোধনাগারের সরঞ্জামগুলোতে ব্যবহৃত বিশালাকার সিলিন্ডার থেকে শুরু করে প্রিন্টারে ব্যবহৃত কাগজের রোলের আকার পর্যন্ত সমস্ত কিছু বের করতেই কাজে লাগে এই অনন্য সংখ্যা।
বিভিন্ন আকারের ভবন গরম না ঠান্ডা রাখতে ব্যবহৃত এয়ার কন্ডিশনারের জন্য ট্যাংকের প্রয়োজনীয় মাপ নির্ধারণ করতেও দরকার হয় পাই।
প্রতিদিনের কাজেই পাই ব্যবহার করে নাসা। গ্রহ-উপগ্রহের কক্ষপথ এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তুর অবস্থান, রকেট চালনা, মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ এমনকি সঠিকভাবে প্যারাস্যুট পরিচালনায় জন্যও কাজে লাগে পাই। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে বা অন্য কোনো গ্রহে মহাকাশযানের নির্ভুল অবতরণের জন্যও এই অনন্য সংখ্যাটির ব্যবহার রয়েছে।
পাই-এর মাত্র নয়টি সংখ্যা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, এটি পৃথিবীর পরিধি এতটাই নির্ভুলভাবে গণনা করতে পারে যে, প্রতি ২৫,০০০ মাইলের (প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার) জন্য এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ (০.৬ সেন্টিমিটার) এদিক–সেদিক হতে পারে।
কেবলই গণিত নয়
প্রতি বছর সান ফ্রান্সেসকোর বিজ্ঞান জাদুঘর দিনটি উদ্যাপন করে। একটি বৃত্তাকার ফলকের চারপাশে ৩.১৪ বার প্রদক্ষিণ করা হয়। সে সঙ্গে অবশ্যই থাকে প্রচুর ‘পাই’ বা কেক। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ফ্লোরিডার নোভা সাউথইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ‘মেন্টাল ম্যাথ বিঙ্গো’ নামে একটি ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজন করে। সেখানে থাকে বিনা মূল্যের পিৎজা। এ ছাড়া থাকে একাধিক কার্যক্রম।
নাসার বার্ষিক ‘পাই ডে চ্যালেঞ্জে’ অনলাইনে আয়োজন করা হয় প্রচুর গেমস এবং ধাঁধা।
এবং আইনস্টাইন
সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ১৪ মার্চ, ১৮৭৯ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার অনেক যুগান্তকারী তত্ত্বে অসীম সংখ্যকবার পাই ব্যবহার করা হয়েছে।
পৃথিবী জোড়া বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান। তবুও, পাই কোনো নিখুঁত সংখ্যা নয়। এ প্রসঙ্গেই স্টিফেন হকিং একবার বলেছিলেন, ‘মহাবিশ্বের মৌলিক নিয়মগুলোর মধ্যে একটি হলো—এর কিছুই নিখুঁত নয়। কোথাও পূর্ণতা নেই। আর অপূর্ণতা না থাকলে তুমি বা আমি কেউই থাকব না।’
স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে রকেট বিজ্ঞানী—বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গণিত সম্পর্কে আগ্রহীরা প্রতি বছর মার্চের ১৪ তারিখে উদ্যাপন করেন পাই দিবস। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর ১৪ মার্চকে সারা বিশ্বের গণিতবিদগণ পাই দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। আজ ১৪ মার্চও তাই এর ব্যতিক্রম নয়। সারা বিশ্বে অনেক মানুষ দিনটিকে এক টুকরো পাই বা মিষ্টি, এমনকি পিৎজা দিয়েও উদ্যাপন করে।
সহজ কথায়, পাই হলো একটি গাণিতিক ধ্রুবক যা একটি বৃত্তের পরিধি এবং ব্যাসের অনুপাত প্রকাশ করে। প্রাচীন মিশর, ব্যাবিলন এবং চীন থেকেও হাজার হাজার বছর আগের পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রকৌশল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অনেক সূত্রেরই অংশ এই ধ্রুবক।
১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ ল্যারি শ’ পাই (π) দিবসের ধারণার প্রবর্তন করেন। সান ফ্রান্সেসকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ’ এ দিবস পালনের উদ্যোক্তা বলে তাকে ‘পাই-এর রাজপুত্র’ বলা হয়। ২০০৯ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই (π) দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। আর এই দিনটি আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিনও।
পাই কী
অঙ্কের একটি বিশেষ চিহ্ন হলো ‘পাই’—যা বৃত্তের একটি বিশেষ অনুপাত। যেকোনো বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দিয়ে ভাগ করলে প্রতি ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে একটি ধ্রুবক মান যা ৩.১৪ এর কাছাকাছি এবং এটি অসীমও, যার অর্থ এটি গাণিতিকভাবে অমূলদ। সুবিধার জন্য ৩.১৪-কেই বলা হয় ‘পাই’।
কম্পিউটার আবিষ্কারের অনেক আগে আইজ্যাক নিউটনের মতো বিজ্ঞানীরাও হাত দিয়ে দশমিক স্থান গণনা করতে অনেক ঘণ্টা কাটিয়েছেন। আজ অত্যাধুনিক কম্পিউটার ব্যবহার করে গবেষকেরা পাই এর জন্য ট্রিলিয়ন সংখ্যা পর্যন্ত গিয়েও দেখেছেন, এর শেষ নেই।
একে কেন পাই বলা হয়
১৭০৬ সাল পর্যন্ত ধ্রুবকটির কোনো নাম ছিল না। ওয়েলশ গণিতবিদ উইলিয়াম জোনস ধ্রুবকটির জন্য গ্রিক বর্ণ ব্যবহার শুরু করেছিলেন। তবে এই বর্ণ ব্যবহারের কারণ হচ্ছে—পাই হচ্ছে গ্রিক বর্ণমালার ষোলোতম অক্ষর যা পরিধির গ্রিক শব্দের সংক্ষিপ্তরূপের প্রথম বর্ণ। সাধারণত বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তা হলো পাই।
পাইয়ের ব্যবহারিক প্রয়োগ
শুধুমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রেই নয়; পরিসংখ্যান, ত্রিকোণমিতি, বিস্তার পরিমাপ, অর্থনীতিসহ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাইয়ের ব্যাপক ব্যবহার হয় যা একে করে তুলেছে সত্যিই অনন্য ও অসাধারণ। শোধনাগারের সরঞ্জামগুলোতে ব্যবহৃত বিশালাকার সিলিন্ডার থেকে শুরু করে প্রিন্টারে ব্যবহৃত কাগজের রোলের আকার পর্যন্ত সমস্ত কিছু বের করতেই কাজে লাগে এই অনন্য সংখ্যা।
বিভিন্ন আকারের ভবন গরম না ঠান্ডা রাখতে ব্যবহৃত এয়ার কন্ডিশনারের জন্য ট্যাংকের প্রয়োজনীয় মাপ নির্ধারণ করতেও দরকার হয় পাই।
প্রতিদিনের কাজেই পাই ব্যবহার করে নাসা। গ্রহ-উপগ্রহের কক্ষপথ এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তুর অবস্থান, রকেট চালনা, মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ এমনকি সঠিকভাবে প্যারাস্যুট পরিচালনায় জন্যও কাজে লাগে পাই। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে বা অন্য কোনো গ্রহে মহাকাশযানের নির্ভুল অবতরণের জন্যও এই অনন্য সংখ্যাটির ব্যবহার রয়েছে।
পাই-এর মাত্র নয়টি সংখ্যা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, এটি পৃথিবীর পরিধি এতটাই নির্ভুলভাবে গণনা করতে পারে যে, প্রতি ২৫,০০০ মাইলের (প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার) জন্য এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ (০.৬ সেন্টিমিটার) এদিক–সেদিক হতে পারে।
কেবলই গণিত নয়
প্রতি বছর সান ফ্রান্সেসকোর বিজ্ঞান জাদুঘর দিনটি উদ্যাপন করে। একটি বৃত্তাকার ফলকের চারপাশে ৩.১৪ বার প্রদক্ষিণ করা হয়। সে সঙ্গে অবশ্যই থাকে প্রচুর ‘পাই’ বা কেক। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ফ্লোরিডার নোভা সাউথইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ‘মেন্টাল ম্যাথ বিঙ্গো’ নামে একটি ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজন করে। সেখানে থাকে বিনা মূল্যের পিৎজা। এ ছাড়া থাকে একাধিক কার্যক্রম।
নাসার বার্ষিক ‘পাই ডে চ্যালেঞ্জে’ অনলাইনে আয়োজন করা হয় প্রচুর গেমস এবং ধাঁধা।
এবং আইনস্টাইন
সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ১৪ মার্চ, ১৮৭৯ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার অনেক যুগান্তকারী তত্ত্বে অসীম সংখ্যকবার পাই ব্যবহার করা হয়েছে।
পৃথিবী জোড়া বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান। তবুও, পাই কোনো নিখুঁত সংখ্যা নয়। এ প্রসঙ্গেই স্টিফেন হকিং একবার বলেছিলেন, ‘মহাবিশ্বের মৌলিক নিয়মগুলোর মধ্যে একটি হলো—এর কিছুই নিখুঁত নয়। কোথাও পূর্ণতা নেই। আর অপূর্ণতা না থাকলে তুমি বা আমি কেউই থাকব না।’
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
১৬ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে