অনলাইন ডেস্ক
বরফের বিশাল স্তরের নিচে এক বিশাল ও অজানা মহাদেশ হিসেবে পরিচিত অ্যান্টার্কটিকা। তবে তুষারে ঢাকা এই ভূখণ্ডের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল। নতুন এই ম্যাপের নাম ‘বেডম্যাপ ৩’।
নতুন মানচিত্রটি অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাদরের নিচের ভূখণ্ডের এমন এক বিশদ চিত্র উপস্থাপন করেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। বরফ ও তুষারে ঢাকা অংশের নিচে ভূখণ্ডগুলো কীভাবে রয়েছে, তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উচ্চ রেজল্যুশনের মানচিত্রটিতে দেখা যায়। ভবিষ্যতে এই মহাদেশে কি পরিবর্তন হতে পারে , সে সম্পর্কে পূর্বানুমান করতে সাহায্য করবে এই মানচিত্র। বিশেষত, দ্রুত গরম হতে থাকা জলবায়ুর প্রভাবে অ্যান্টার্কটিকা কেমন আচরণ করতে পারে, তা বুঝতে সাহায্য করবে।
এই ম্যাপ তৈরিতে বিজ্ঞানীদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)। গত ১০ মার্চ সায়েন্টেফিক ডেটা জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গ্লেসিওলজিস্ট এবং নতুন গবেষণার প্রধান লেখক হ্যামিশ প্রিচার্ড বলেন, মনে করুন, আপনি একটি রক কেকের (এক ধরনের বিস্কুট) ওপর সিরাপ ঢালছেন—যতগুলো উঁচু-নিচু জায়গা রয়েছে, সেগুলোই নির্ধারণ করবে সিরাপ কোথায় যাবে এবং কত দ্রুত যাবে। অ্যান্টার্কটিকায় যদি বরফের বড় একটি অংশ গলে যায়, তবে একই প্রক্রিয়া ঘটবে। কিছু পাহাড়ি অংশ বরফের প্রবাহ আটকে রাখবে আর যে উন্মুক্ত ও মসৃণ স্থানগুলো থাকবে, সেখানে বরফ দ্রুত গলে যাবে।’
বেডম্যাপ ৩: একটি যুগান্তকারী মানচিত্র
এই মানচিত্র বিগত দুটি গবেষণা বেডম্যাপ-১ ও বেডম্যাপ-২-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। নতুন মানচিত্রটিতে একযোগে প্রায় ৫২ মিলিয়ন নতুন ডেটা পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যা আগের গবেষণাগুলোর ফলাফলকে আরও নির্ভুল করেছে। এই মানচিত্র তৈরি করতে ছয় দশকব্যাপী বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে বিমান, স্যাটেলাইট, জাহাজ, এমনকি কুকুর দিয়ে টানা স্লেজের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এক বিবৃতিতে গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘মোট মিলিয়ে ছয় দশকের বেশি সময়ের তথ্য সংগ্রহ করে বেডম্যাপ-৩ তৈরি করা হয়েছে। এটি সেই মৌলিক তথ্য, যা আমাদের কম্পিউটার মডেলগুলোর ভিত্তি। তাপমাত্রা বাড়লে কীভাবে বরফ মহাদেশজুড়ে প্রবাহিত হবে, তাই এসব মডেল গবেষণা করতে সাহায্য করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, নতুন মানচিত্রটি রঙিন কোডে সাজানো, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে অ্যান্টার্কটিকার বেডরকের (পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত শক্ত, স্থায়ী শিলার স্তর) উচ্চতা প্রদর্শন করে এবং মহাদেশটির সবচেয়ে উঁচু পর্বত ও গভীর উপত্যকাগুলোর ওপর আলোকপাত করে। এই মানচিত্রে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলোর সবচেয়ে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো উন্মোচিত হয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ মেরুর চারপাশের অঞ্চলগুলোর সম্পর্কে নতুন তথ্য দিয়েছে।
গবেষকেরা বেডরক ম্যাপ করার জন্য রেডিও তরঙ্গ, ভূকম্পন ও মাধ্যাকর্ষণ পরিমাপ করেছে। এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বরফের চাদরের পুরুত্ব অনুমান করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যে, অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে পুরু বরফের স্তরটি পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার উইলকস ল্যান্ডে একটি অজ্ঞাত উপত্যকায় অবস্থিত।
আগের জরিপে অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে পুরু বরফটি অ্যাস্ট্রোলাবে বেসিনে (আডেলি ল্যান্ড) অবস্থান করেছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে দুটি অঞ্চলের মধ্যে বরফের পুরুত্বের পার্থক্য খুবই কম। অ্যাস্ট্রোলাবে বেসিনের বরফের পুরুত্ব প্রায় ২ দশমিক ৯ মাইল (৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার) আর উইলকস ল্যান্ডের বরফের পুরুত্ব প্রায় ৩ মাইল (৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার)।
এ দিকে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের প্রান্তে ভেসে থাকা বরফের শিট ও বরফখণ্ডগুলো আকৃতি সম্পর্কেও নতুন তথ্য জানা গেছে গবেষণাটিতে।
এক বিবৃতিতে গবেষণার সহলেখক এবং ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (বিএএস) মানচিত্র বিশেষজ্ঞ পিটার ফ্রেটওয়েল বলেন, ‘সাধারণভাবে এটি পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, অ্যান্টার্কটিকা অনেক বেশি পুরু বরফের চাদরে ঢাকা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত বেডরকে আরও বেশি পরিমাণ বরফ রয়েছে।
ফ্রেটওয়েল বলেছেন, বরফের পুরুত্ব কোনো সমস্যা নয়। তবে এটা উদ্বেগজনক যে, অনেক অংশই সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত। আর সাগরের উষ্ণ পানি তুলনামূলকভাবে বরফের দিকে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে বরফের দ্রুত গলে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বেডম্যাপ-৩ যা আমাদের দেখাচ্ছে তা হলো—অ্যান্টার্কটিকা আমাদের আগের ধারণার চেয়ে কিছুটা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
বরফের বিশাল স্তরের নিচে এক বিশাল ও অজানা মহাদেশ হিসেবে পরিচিত অ্যান্টার্কটিকা। তবে তুষারে ঢাকা এই ভূখণ্ডের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল। নতুন এই ম্যাপের নাম ‘বেডম্যাপ ৩’।
নতুন মানচিত্রটি অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাদরের নিচের ভূখণ্ডের এমন এক বিশদ চিত্র উপস্থাপন করেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। বরফ ও তুষারে ঢাকা অংশের নিচে ভূখণ্ডগুলো কীভাবে রয়েছে, তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উচ্চ রেজল্যুশনের মানচিত্রটিতে দেখা যায়। ভবিষ্যতে এই মহাদেশে কি পরিবর্তন হতে পারে , সে সম্পর্কে পূর্বানুমান করতে সাহায্য করবে এই মানচিত্র। বিশেষত, দ্রুত গরম হতে থাকা জলবায়ুর প্রভাবে অ্যান্টার্কটিকা কেমন আচরণ করতে পারে, তা বুঝতে সাহায্য করবে।
এই ম্যাপ তৈরিতে বিজ্ঞানীদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)। গত ১০ মার্চ সায়েন্টেফিক ডেটা জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গ্লেসিওলজিস্ট এবং নতুন গবেষণার প্রধান লেখক হ্যামিশ প্রিচার্ড বলেন, মনে করুন, আপনি একটি রক কেকের (এক ধরনের বিস্কুট) ওপর সিরাপ ঢালছেন—যতগুলো উঁচু-নিচু জায়গা রয়েছে, সেগুলোই নির্ধারণ করবে সিরাপ কোথায় যাবে এবং কত দ্রুত যাবে। অ্যান্টার্কটিকায় যদি বরফের বড় একটি অংশ গলে যায়, তবে একই প্রক্রিয়া ঘটবে। কিছু পাহাড়ি অংশ বরফের প্রবাহ আটকে রাখবে আর যে উন্মুক্ত ও মসৃণ স্থানগুলো থাকবে, সেখানে বরফ দ্রুত গলে যাবে।’
বেডম্যাপ ৩: একটি যুগান্তকারী মানচিত্র
এই মানচিত্র বিগত দুটি গবেষণা বেডম্যাপ-১ ও বেডম্যাপ-২-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। নতুন মানচিত্রটিতে একযোগে প্রায় ৫২ মিলিয়ন নতুন ডেটা পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যা আগের গবেষণাগুলোর ফলাফলকে আরও নির্ভুল করেছে। এই মানচিত্র তৈরি করতে ছয় দশকব্যাপী বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে বিমান, স্যাটেলাইট, জাহাজ, এমনকি কুকুর দিয়ে টানা স্লেজের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এক বিবৃতিতে গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘মোট মিলিয়ে ছয় দশকের বেশি সময়ের তথ্য সংগ্রহ করে বেডম্যাপ-৩ তৈরি করা হয়েছে। এটি সেই মৌলিক তথ্য, যা আমাদের কম্পিউটার মডেলগুলোর ভিত্তি। তাপমাত্রা বাড়লে কীভাবে বরফ মহাদেশজুড়ে প্রবাহিত হবে, তাই এসব মডেল গবেষণা করতে সাহায্য করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, নতুন মানচিত্রটি রঙিন কোডে সাজানো, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে অ্যান্টার্কটিকার বেডরকের (পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত শক্ত, স্থায়ী শিলার স্তর) উচ্চতা প্রদর্শন করে এবং মহাদেশটির সবচেয়ে উঁচু পর্বত ও গভীর উপত্যকাগুলোর ওপর আলোকপাত করে। এই মানচিত্রে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলোর সবচেয়ে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো উন্মোচিত হয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ মেরুর চারপাশের অঞ্চলগুলোর সম্পর্কে নতুন তথ্য দিয়েছে।
গবেষকেরা বেডরক ম্যাপ করার জন্য রেডিও তরঙ্গ, ভূকম্পন ও মাধ্যাকর্ষণ পরিমাপ করেছে। এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বরফের চাদরের পুরুত্ব অনুমান করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যে, অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে পুরু বরফের স্তরটি পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার উইলকস ল্যান্ডে একটি অজ্ঞাত উপত্যকায় অবস্থিত।
আগের জরিপে অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে পুরু বরফটি অ্যাস্ট্রোলাবে বেসিনে (আডেলি ল্যান্ড) অবস্থান করেছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে দুটি অঞ্চলের মধ্যে বরফের পুরুত্বের পার্থক্য খুবই কম। অ্যাস্ট্রোলাবে বেসিনের বরফের পুরুত্ব প্রায় ২ দশমিক ৯ মাইল (৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার) আর উইলকস ল্যান্ডের বরফের পুরুত্ব প্রায় ৩ মাইল (৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার)।
এ দিকে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের প্রান্তে ভেসে থাকা বরফের শিট ও বরফখণ্ডগুলো আকৃতি সম্পর্কেও নতুন তথ্য জানা গেছে গবেষণাটিতে।
এক বিবৃতিতে গবেষণার সহলেখক এবং ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (বিএএস) মানচিত্র বিশেষজ্ঞ পিটার ফ্রেটওয়েল বলেন, ‘সাধারণভাবে এটি পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, অ্যান্টার্কটিকা অনেক বেশি পুরু বরফের চাদরে ঢাকা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত বেডরকে আরও বেশি পরিমাণ বরফ রয়েছে।
ফ্রেটওয়েল বলেছেন, বরফের পুরুত্ব কোনো সমস্যা নয়। তবে এটা উদ্বেগজনক যে, অনেক অংশই সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত। আর সাগরের উষ্ণ পানি তুলনামূলকভাবে বরফের দিকে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে বরফের দ্রুত গলে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বেডম্যাপ-৩ যা আমাদের দেখাচ্ছে তা হলো—অ্যান্টার্কটিকা আমাদের আগের ধারণার চেয়ে কিছুটা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
আট দিনের মিশনে মহাকাশে গিয়েছিলেন; কিন্তু কাটাতে হলো দীর্ঘ ৯ মাস। অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন নাসার দুই মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। মহাকাশে ২৮৬ দিন কাটিয়ে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুল। মহাশূন্যে কেটেছে এতগুলো দিন।
১ ঘণ্টা আগেনভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে এলেও তাঁদের দেহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ কিছু মাস সময় লাগে। প্রথম সপ্তাহে ভারসাম্যহীনতা ও মাথা ঘোরা অনুভূত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুনরুদ্ধার হয়, এক মাসের মধ্যে মাংসপেশি শক্তিশালী হতে শুরু করে, তবে হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিক হতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
২ দিন আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্কের ফ্যালকন ৯ রকেট মহাকাশে পাঠিয়েছিল নাসা। এই রকেটে যুক্ত ছিল ড্রাগন ক্যাপসুল। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টা ৫৭ মিনিটে (জিএমটি ২১টা ৫৭ মিনিট) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার
২ দিন আগেদীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
৩ দিন আগে