অনলাইন ডেস্ক
বাদুড়ের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্য কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর নেই। তা হলো এর প্যাটাজিয়াম নামক বিশেষ ঝিল্লি দিয়ে তৈরি ডানা। এ ঝিল্লি বাদুড়ের দেহের সঙ্গে এর আঙুল ও অন্যান্য প্রত্যঙ্গ যুক্ত রাখে।
বাদুড়ের ভ্রূণের ওপর একটি গবেষণা প্রতিবেদন বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী বিএমসি বায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, একসময় শুধুই স্থলচর ছিল বাদুড়। বিবর্তনের একপর্যায়ে এরা ওড়ার ক্ষমতা অর্জন করে। বাদুড়ের এ বিবর্তনে মানুষের ক্ষতিকর মিউটেশনের জন্য দায়ী জিন জড়িত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
অবশ্য এ তত্ত্ব প্রমাণ করার জন্য জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের প্রথম দিককার ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন বাদুড়ের জীবাশ্ম সংগ্রহ করতে হবে। ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাচীনতম বাদুড় প্রজাতির রূপান্তর দেখাতে পারে এমন জীবাশ্ম এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি। তবে বর্তমান বাদুড়ের ভ্রূণ বিকাশের মধ্যে প্রাচীন এ পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী ক্যারেন সিয়ার্স বলেন, বাদুড়ের ডানা হলো বিবর্তনের ফলে পাওয়া পরিবর্তিত এবং নতুন (উদ্ভূত) বেশ কয়েকটি শারীরিক উপাদানের সংমিশ্রণ। এর মধ্যে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, প্লাজিওপ্যাটাজিয়াম। এটি একটি বিশেষ ধরনের প্যাটাজিয়াম টিস্যু, যা দেহের পার্শ্ববর্তী অংশকে হাত ও পায়ের সঙ্গে যুক্ত করে।
ক্যারেন সিয়ার্স বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে টিস্যুটি বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে। খাদ্য হিসেবে ফলের ওপর নির্ভরশীল প্রজাতির মধ্যে এ টিস্যু বেশ প্রশস্ত হয় এবং পতঙ্গ শিকারি বাদুড়ের মধ্যে এটি সংকুচিত রূপে থাকে।
আকৃতির এ ভিন্নতা বিবর্তনের কারণে আসে, নাকি পূর্বপুরুষের ডানা থেকে বংশানুক্রমে আসে, তা জানতে সিয়ার্স ও তাঁর সহকর্মীরা বিভিন্ন জাতের বাদুড়ের ভ্রূণ ও এ টিস্যু বিকাশে দায়ী জিন নিয়ে গবেষণা করেন।
গবেষকেরা বলেন, বিকাশের সময় প্লাজিওপ্যাটাজিয়াম ভ্রূণদেহের পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে মিলিত হয়। বাদুড়ের সব প্রজাতির মধ্যেই এ বিন্যাস লক্ষ করা যায়, যার কারণে এদের আদি পুরুষ অভিন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রিপকে ৪ নামের একটি জিনের মিউটেশনের কারণে এ পরিবর্তন ঘটেছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
সিয়ার্স বলেন, ‘বিবর্তন মূলত অনিশ্চিত। বিবর্তনীয় বিকাশের ফল কী দাঁড়াবে, সেটি আগে থেকে অনুমান করা যায় না। মানুষ ও গবেষণাগারের ইঁদুরের মধ্যে রিপকে ৪ জিনের মিউটেশন ত্বককে রূপান্তর করে প্যাটাজিয়ামের মতো আকৃতি দেয় বা কাটা ঠোঁটের মতো বিকৃতি তৈরি হতে পারে। বিদ্যমান বাদুড় প্রজাতির প্রায় অর্ধেকের তালু কাটা। ধারণা করা হয়, এটি বাদুড়ের প্রতিধ্বনি তৈরি করে পথ খুঁজে নেওয়ার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী চার্লস ফেইগিন বলেন, এ গবেষণার ফলাফল বাদুড়ের ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ঝিল্লি গঠনে ত্বকের স্তরগুলো কীভাবে একীভূত হয়, তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই একীভবন বাদুড়ের ডানাকে দীর্ঘ পথ ওড়ার জন্য সক্ষম করে তোলে।
একইভাবে, বিবর্তনের শুরুর দিকে উড়তে পারা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ডানার ঝিল্লির টিস্যু যথেষ্ট শক্তিশালী না হওয়ায় তারা দীর্ঘ দূরত্বে উড়তে পারেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই বিশেষ জিনের বিবর্তনের কারণেই শেষ পর্যন্ত বাদুড় উঁচু আকাশে উড়তে সক্ষম হয়েছে এবং প্রজাতি রক্ষা করতে পেরেছে।
বাদুড়ের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্য কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর নেই। তা হলো এর প্যাটাজিয়াম নামক বিশেষ ঝিল্লি দিয়ে তৈরি ডানা। এ ঝিল্লি বাদুড়ের দেহের সঙ্গে এর আঙুল ও অন্যান্য প্রত্যঙ্গ যুক্ত রাখে।
বাদুড়ের ভ্রূণের ওপর একটি গবেষণা প্রতিবেদন বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী বিএমসি বায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, একসময় শুধুই স্থলচর ছিল বাদুড়। বিবর্তনের একপর্যায়ে এরা ওড়ার ক্ষমতা অর্জন করে। বাদুড়ের এ বিবর্তনে মানুষের ক্ষতিকর মিউটেশনের জন্য দায়ী জিন জড়িত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
অবশ্য এ তত্ত্ব প্রমাণ করার জন্য জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের প্রথম দিককার ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন বাদুড়ের জীবাশ্ম সংগ্রহ করতে হবে। ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাচীনতম বাদুড় প্রজাতির রূপান্তর দেখাতে পারে এমন জীবাশ্ম এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি। তবে বর্তমান বাদুড়ের ভ্রূণ বিকাশের মধ্যে প্রাচীন এ পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী ক্যারেন সিয়ার্স বলেন, বাদুড়ের ডানা হলো বিবর্তনের ফলে পাওয়া পরিবর্তিত এবং নতুন (উদ্ভূত) বেশ কয়েকটি শারীরিক উপাদানের সংমিশ্রণ। এর মধ্যে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, প্লাজিওপ্যাটাজিয়াম। এটি একটি বিশেষ ধরনের প্যাটাজিয়াম টিস্যু, যা দেহের পার্শ্ববর্তী অংশকে হাত ও পায়ের সঙ্গে যুক্ত করে।
ক্যারেন সিয়ার্স বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে টিস্যুটি বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে। খাদ্য হিসেবে ফলের ওপর নির্ভরশীল প্রজাতির মধ্যে এ টিস্যু বেশ প্রশস্ত হয় এবং পতঙ্গ শিকারি বাদুড়ের মধ্যে এটি সংকুচিত রূপে থাকে।
আকৃতির এ ভিন্নতা বিবর্তনের কারণে আসে, নাকি পূর্বপুরুষের ডানা থেকে বংশানুক্রমে আসে, তা জানতে সিয়ার্স ও তাঁর সহকর্মীরা বিভিন্ন জাতের বাদুড়ের ভ্রূণ ও এ টিস্যু বিকাশে দায়ী জিন নিয়ে গবেষণা করেন।
গবেষকেরা বলেন, বিকাশের সময় প্লাজিওপ্যাটাজিয়াম ভ্রূণদেহের পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে মিলিত হয়। বাদুড়ের সব প্রজাতির মধ্যেই এ বিন্যাস লক্ষ করা যায়, যার কারণে এদের আদি পুরুষ অভিন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রিপকে ৪ নামের একটি জিনের মিউটেশনের কারণে এ পরিবর্তন ঘটেছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
সিয়ার্স বলেন, ‘বিবর্তন মূলত অনিশ্চিত। বিবর্তনীয় বিকাশের ফল কী দাঁড়াবে, সেটি আগে থেকে অনুমান করা যায় না। মানুষ ও গবেষণাগারের ইঁদুরের মধ্যে রিপকে ৪ জিনের মিউটেশন ত্বককে রূপান্তর করে প্যাটাজিয়ামের মতো আকৃতি দেয় বা কাটা ঠোঁটের মতো বিকৃতি তৈরি হতে পারে। বিদ্যমান বাদুড় প্রজাতির প্রায় অর্ধেকের তালু কাটা। ধারণা করা হয়, এটি বাদুড়ের প্রতিধ্বনি তৈরি করে পথ খুঁজে নেওয়ার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী চার্লস ফেইগিন বলেন, এ গবেষণার ফলাফল বাদুড়ের ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ঝিল্লি গঠনে ত্বকের স্তরগুলো কীভাবে একীভূত হয়, তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই একীভবন বাদুড়ের ডানাকে দীর্ঘ পথ ওড়ার জন্য সক্ষম করে তোলে।
একইভাবে, বিবর্তনের শুরুর দিকে উড়তে পারা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ডানার ঝিল্লির টিস্যু যথেষ্ট শক্তিশালী না হওয়ায় তারা দীর্ঘ দূরত্বে উড়তে পারেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই বিশেষ জিনের বিবর্তনের কারণেই শেষ পর্যন্ত বাদুড় উঁচু আকাশে উড়তে সক্ষম হয়েছে এবং প্রজাতি রক্ষা করতে পেরেছে।
প্রথমবারের মতো নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উত্তর চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইট পাকিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, শহর পরিকল্পনা এবং কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে ‘নিউ গ্লেন’ রকেট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণে সমর্থ হয়েছে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেএখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুর পর ক্রায়োপ্রিজারভেশনের মাধ্যমে আবারও বেঁচে উঠেছেন এমন নজির নেই। এমনকি এ রকম ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি রক্ষা করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কিংস কলেজ লন্ডনের নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ক্লাইভ কোয়েন এই ধারণাকে ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগেজে-০৪১০-০১৩৯ নামের এই ব্ল্যাক হোলটির ভর সূর্যের ভরের প্রায় ৭০ কোটি গুণ। এটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্যতম প্রাচীন ব্ল্যাক হোল। নাসার চন্দ্র অবজারভেটরি এবং চিলির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন টেলিস্কোপের মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা হয়েছে। এটি শিশু মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুনভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
১ দিন আগে