Ajker Patrika

আইপিএলের মাঝেই ভারতীয় ক্রিকেটারের স্বজনদের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ৪৮
মোহাম্মদ শামির পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ শামির পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ শামি ব্যস্ত ২০২৫ আইপিএলে। ম্যাচের কারণে তাঁকে ভ্রমণ করতে হচ্ছে এক শহর থেকে আরেক শহর। টুর্নামেন্টের মাঝেই উত্তর প্রদেশের আমরোহা এলাকায় এক প্রতিষ্ঠানের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

জেলা পর্যায়ে তদন্তের পর মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিএনআরইজিএ) প্রতিষ্ঠানের অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে। এখানে শামির আত্মীয়-স্বজন জড়িত বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা গতকাল দাবি করেছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিধি গুপ্তা ভাটস গতকাল সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের আমরোহায় এমজিএনআরইজিএর টাকা-পয়সা বণ্টন নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত। নিধি বলেন, ‘স্থানীয় কর্মকর্তাদের তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে যে এমএনআরজিইএ প্রতিষ্ঠানে ১৮ ব্যক্তি কাজ না করেই টাকা তুলেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন শামির বোন সাবিনা, সাবিনার স্বামী গজনভি, সাবিনার শ্বশুরবাড়ির তিন ব্যক্তি আমির সুহেইলম নাসরুদ্দিন, শেখু এবং গ্রামপ্রধান গুল আয়েশার ছেলেমেয়েরা।’

গুল আয়েশা বর্তমানে আমরোহা গ্রামের প্রধান ও শামির বোনের শাশুড়ি। তিনিই এমএনআরইজিএ প্রতিষ্ঠানের অর্থ জালিয়াতিকাণ্ডের মধ্যমণি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিধি বলেন, ‘প্রতারকেরা ২০২১-এর জানুয়ারিতে এমজিএনআরইজিএর জব কার্ডে নাম নিবন্ধন করেছেন। কোনো কাজ না করেই ২০২৪-এর আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন।’ নয়ছয় হওয়া তহবিল পুনরুদ্ধার ও গ্রামপ্রধানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির আদেশ দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। জালিয়াতির সঙ্গে অভিযুক্তদের ছাঁটাইয়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক পুলিশি প্রতিবেদন ও ‘পঞ্চায়েত রাজ অ্যাক্ট’-এর অধীনে পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।

ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এমজিএনআরইজিএর অর্থ নয়ছয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরই তদন্ত করা হয়েছে। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৪-এর আগস্ট পর্যন্ত শামির বোন সাবিনা তুলেছেন ৭১০১৩ রুপি আর সাবিনার স্বামী গজনভি ব্যাংক থেকে ৬৫ হাজার রুপি উঠিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে গ্রাম উন্নয়ন কর্মকর্তা (ভিডিও), সহকারী প্রোগ্রাম কর্মকর্তা (এপিও), অপারেটর, গ্রামপ্রধান ও গ্রামপ্রধানের ঘনিষ্ঠজনদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। পরবর্তীতে আরও তদন্ত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মিডিয়া ছুটায় দেব, চেনো আমাদের’—সাংবাদিককে হুমকি কুড়িগ্রামের এসপির

মেঘনা আলম ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’, কারণ জানাল পুলিশ

তিন সুপারস্টারেও ফ্লপ, ৩৪ বছর আগে যে সর্বভারতীয় ছবি প্রযোজককে দেউলিয়া বানিয়েছিল

বান্দরবান, মণিপুর, মিজোরাম ও রাখাইন নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে: বজলুর রশীদ

ইসলামপুর বিএনপির সহসভাপতি যোগ দিলেন জামায়াতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত