Ajker Patrika

ওয়াকার ইউনিসকে নিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের গুরুতর অভিযোগ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ওয়াকার ইউনিসকে নিয়ে উমর আকমলের গুরুতর অভিযোগ। ছবি: ক্রিকইনফো
ওয়াকার ইউনিসকে নিয়ে উমর আকমলের গুরুতর অভিযোগ। ছবি: ক্রিকইনফো

ব্যাটারদের জন্য আতঙ্ক ছিলেন ওয়াকার ইউনিস। গতির সঙ্গে সুইং, ইয়র্কারে ব্যাটারকে ভড়কে দিতে ছিলেন ওস্তাদ। কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। পাকিস্তানি এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ আনলেন উমর আকমল।

খেলোয়াড়ি জীবনে উমর আকমল বিভিন্ন কারণে আলোচনায় থাকতেন। এখনো তিনি কোনো না কোনোভাবে এসে যান পাদপ্রতীপের আলোয়। ওয়াকার যখন পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন, তখন বিভিন্ন কারণে বনিবনা হতো না উমর আকমলের। পাকিস্তানের স্থানীয় এক চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকমল বোমা ফাটালেন ওয়াকারকে নিয়ে। আকমল বলেন, ‘নিজের কানে আমি শুনেছি এটা। ওয়াকার ইউনিস বলেছেন, সব ক্রিকেট কি এই ভাইয়েরাই খেলবে? কোনো কোচের থেকে এমন মন্তব্য কীভাবে আসে?’ কামরান আকমল, উমর আকমল, আদনান আকমল-এই তিন ভাই এক দশকেরও বেশি সময় আগে একসঙ্গে খেলতেন পাকিস্তানের জার্সিতে।

আকমলের খেলার ধরনও ওয়াকারের পছন্দ হতো না বলে অভিযোগ শোনা গেছে। টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গেলেও সমালোচনা করা হতো আকমলকে নিয়ে। এমনকি যদি স্ট্রাইক রোটেট করে খেললেও ওয়াকারের আপত্তি ছিল বলে তিনি (আকমল) উল্লেখ করেছেন। আকমল বলেন, ‘তিনি বলতেন, তুমি কি টেস্টে টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করেছ? আবার স্ট্রাইক রোটেট করলে বলতেন, তুমি কি টেস্টে ওয়ানডে খেলছ?’

পাকিস্তানের স্থানীয় চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকমল বেশির ভাগ সময়ই ওয়াকারকে নিয়ে অভিযোগ করে গেছেন। আকমল বলেন, ‘তিনি (ওয়াকার) আমাকে বলতেন, তুমি এই গ্লাভসগুলো কেন পরছ? কেন এই মোজাগুলো পরেছ? আমার ক্রিকেটের দিকে মনোযোগ না দিয়ে এসব ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি।’

আকমলের তিন ভাইয়ের মধ্যে কামরানই দীর্ঘ সময় (১৫ বছর) খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পাকিস্তানের জার্সিতে ২০০২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৫৩ টেস্ট, ১৫৭ ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পাকিস্তানের ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন তিনি। লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ২৮ বলে ৩৭ রান করেছিলেন। আদনান পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ২৬ ম্যাচ (২১ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে)। উমরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ১০ বছর (২০০৯ থেকে ২০১৯)।

ওয়াকার প্রথম দফায় পাকিস্তানের প্রধান কোচ হয়েছিলেন ২০১০ সালের মার্চে। ইনতিখাব আলম বরখাস্ত হওয়ার পর সেই চেয়ারে বসেন ওয়াকার। ২০১১ সালের আগস্টে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওয়াকার প্রধান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর সময়েই ঘটে লর্ডসে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ঘটনা। ২০১৪ সালের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় ওয়াকার পাকিস্তানের প্রধান কোচ হয়েছিলেন। সেবার তাঁর মেয়াদ ২ বছর থাকলেও পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত