রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
দুবাই স্পোর্টস সিটির আইসিসি একাডেমি মাঠে গতকাল অনুশীলন শুরুর আগে লিটন দাসকে বেশ সময় নিয়ে কী যেন বোঝালেন রাসেল ডমিঙ্গো। নেটে অনুশীলন শুরুর পর মাহমুদউল্লাহর কাঁধে হাত দিয়ে ছোট একটা মিটিংই যেন সেরে নিলেন বাংলাদেশ কোচ। অধিনায়কের ওপর ডমিঙ্গোর আস্থা অনেক। কিন্তু নিজের পারফরম্যান্সকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
গত আগস্টে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো অবশ্য বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে মূল্যায়ন করতে তিনি আগ্রহী নন। গতকাল দুবাইয়ের সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান কোচিং স্টাফের পারফরম্যান্স তুলে ধরতেই হলো তাঁকে। সেখানে নিজেদের ভালো নম্বরই দিচ্ছেন ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ দলের এ প্রোটিয়া কোচ বলছেন, ‘জানি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি গত ১২ মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের জয়ের হার দেখেন, সেটা অসাধারণ। কয়েকটা বড় সিরিজ জিতেছি। দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা) কাছে দুটি ছোট ব্যবধানে হার দিয়ে এই দলকে বিচার করলে সেটা নির্দয় হয়ে যায়।’
বর্তমান কোচিং স্টাফের পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কদিন আগে খোলাখুলিই ফেসবুকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দলের কোচিং স্টাফ, বিশেষ করে ডমিঙ্গোকে। গতকাল ডমিঙ্গো অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরও খুব একটা পড়েন না বা দেখেন না। তবে চারদিক থেকে ধেয়ে আসা সমালোচনার তির যে তাঁকে বিদ্ধ করছে, সেটি অবশ্য তাঁর কথায় পরিষ্কার। পরিসংখ্যান-রেকর্ড তিনি সামনে এনেছেন সে কারণেই।
ডমিঙ্গো যে পরিসংখ্যানের কথা বলছেন, সেটি অবশ্য উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। গত ১২ মাসে বাংলাদেশ ২২ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে ১১টিতে। গত এক বছরে এই সংস্করণে জয়ের সংখ্যায় বাংলাদেশ এখনো সেরা পাঁচেই আছে। এ বছর যে চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে, জিতেছে তিনটিই। এর মধ্যে আছে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজ। এটিকেই বড় ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন ডমিঙ্গো।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও উল্লিখিত পরিসংখ্যানে চোখ রেখে ডমিঙ্গোর দাবি, এই কোচিং স্টাফের অধীন বাংলাদেশ দল উন্নতির পথেই আছে। বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘জানি এই মুহূর্তে দলকে ঘিরে অনেক নেতিবাচক আলাপ হচ্ছে। নির্দিষ্ট কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের উদ্দেশে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। তবে আমি মনে করি, দল ব্যাপক উন্নতি করছে। ৮ মাস আগেও আমরা ১১ নম্বরে ছিলাম (টি-টোয়েন্টিতে)। সেখান থেকে ৬-এ ওঠা অবশ্যই বড় অর্জন (এখন আছে ৯-এ)। এটা র্যাঙ্কিংয়ে দলের সর্বোচ্চ উন্নতি।’
পরিসংখ্যান-রেকর্ড সামনে রেখে ডমিঙ্গো নিজেদের অর্জন বড় করে দেখাচ্ছেন। তবে তিনি মনে করেন, এই দলের আরও অনেক দূরে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, ‘আমাদের যেখানে যাওয়ার দরকার, সেখানে যেতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এটা রাতারাতি হবে না। এটা একটা প্রক্রিয়া। এক বছরের মধ্যে আরও একটা বিশ্বকাপ আছে। ওই বিশ্বকাপের আগে আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন নিশ্চিত করতে পারি, এখন আমরা যে অবস্থানে আছি, সেটির চেয়ে ভালো দল আমরা।’
ক্রিকেট সংখ্যার খেলা। এই সংখ্যা-পরিসংখ্যান বড় অদ্ভুত জিনিস। ডমিঙ্গোর ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যান-রেকর্ড কখনো বড় অস্বস্তিতে ফেলছে, সেটিই তিনি আবার বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন!
দুবাই স্পোর্টস সিটির আইসিসি একাডেমি মাঠে গতকাল অনুশীলন শুরুর আগে লিটন দাসকে বেশ সময় নিয়ে কী যেন বোঝালেন রাসেল ডমিঙ্গো। নেটে অনুশীলন শুরুর পর মাহমুদউল্লাহর কাঁধে হাত দিয়ে ছোট একটা মিটিংই যেন সেরে নিলেন বাংলাদেশ কোচ। অধিনায়কের ওপর ডমিঙ্গোর আস্থা অনেক। কিন্তু নিজের পারফরম্যান্সকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
গত আগস্টে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো অবশ্য বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে মূল্যায়ন করতে তিনি আগ্রহী নন। গতকাল দুবাইয়ের সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান কোচিং স্টাফের পারফরম্যান্স তুলে ধরতেই হলো তাঁকে। সেখানে নিজেদের ভালো নম্বরই দিচ্ছেন ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ দলের এ প্রোটিয়া কোচ বলছেন, ‘জানি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি গত ১২ মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের জয়ের হার দেখেন, সেটা অসাধারণ। কয়েকটা বড় সিরিজ জিতেছি। দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা) কাছে দুটি ছোট ব্যবধানে হার দিয়ে এই দলকে বিচার করলে সেটা নির্দয় হয়ে যায়।’
বর্তমান কোচিং স্টাফের পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কদিন আগে খোলাখুলিই ফেসবুকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দলের কোচিং স্টাফ, বিশেষ করে ডমিঙ্গোকে। গতকাল ডমিঙ্গো অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরও খুব একটা পড়েন না বা দেখেন না। তবে চারদিক থেকে ধেয়ে আসা সমালোচনার তির যে তাঁকে বিদ্ধ করছে, সেটি অবশ্য তাঁর কথায় পরিষ্কার। পরিসংখ্যান-রেকর্ড তিনি সামনে এনেছেন সে কারণেই।
ডমিঙ্গো যে পরিসংখ্যানের কথা বলছেন, সেটি অবশ্য উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। গত ১২ মাসে বাংলাদেশ ২২ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে ১১টিতে। গত এক বছরে এই সংস্করণে জয়ের সংখ্যায় বাংলাদেশ এখনো সেরা পাঁচেই আছে। এ বছর যে চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে, জিতেছে তিনটিই। এর মধ্যে আছে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজ। এটিকেই বড় ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন ডমিঙ্গো।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও উল্লিখিত পরিসংখ্যানে চোখ রেখে ডমিঙ্গোর দাবি, এই কোচিং স্টাফের অধীন বাংলাদেশ দল উন্নতির পথেই আছে। বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘জানি এই মুহূর্তে দলকে ঘিরে অনেক নেতিবাচক আলাপ হচ্ছে। নির্দিষ্ট কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের উদ্দেশে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। তবে আমি মনে করি, দল ব্যাপক উন্নতি করছে। ৮ মাস আগেও আমরা ১১ নম্বরে ছিলাম (টি-টোয়েন্টিতে)। সেখান থেকে ৬-এ ওঠা অবশ্যই বড় অর্জন (এখন আছে ৯-এ)। এটা র্যাঙ্কিংয়ে দলের সর্বোচ্চ উন্নতি।’
পরিসংখ্যান-রেকর্ড সামনে রেখে ডমিঙ্গো নিজেদের অর্জন বড় করে দেখাচ্ছেন। তবে তিনি মনে করেন, এই দলের আরও অনেক দূরে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, ‘আমাদের যেখানে যাওয়ার দরকার, সেখানে যেতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এটা রাতারাতি হবে না। এটা একটা প্রক্রিয়া। এক বছরের মধ্যে আরও একটা বিশ্বকাপ আছে। ওই বিশ্বকাপের আগে আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন নিশ্চিত করতে পারি, এখন আমরা যে অবস্থানে আছি, সেটির চেয়ে ভালো দল আমরা।’
ক্রিকেট সংখ্যার খেলা। এই সংখ্যা-পরিসংখ্যান বড় অদ্ভুত জিনিস। ডমিঙ্গোর ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যান-রেকর্ড কখনো বড় অস্বস্তিতে ফেলছে, সেটিই তিনি আবার বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন!
ফলোঅন এড়ানো দূরে থাক, দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ রান করতেই হিমশিম খেতে হলো বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ফিফটিতে টেনেটুনে ১৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও খারাপ অবস্থা—১৪৩ রানে অলআউট।
১৬ মিনিট আগেচ্যাম্পিয়ন দল বলে কথা। তা-ও আবার টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বরণ তো জাঁকজমকপূর্ণই হবে। সাবিনা খাতুনদের দেখতে ঢাকা বিমানবন্দরে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
২ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগে