Ajker Patrika

১৯ নম্বর দলের সঙ্গেও পারল না বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ০১: ১৬
১৯ নম্বর দলের সঙ্গেও পারল না বাংলাদেশ

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ২৪ রান। উইকেটে তখন খুনে ব্যাটার কোরি অ্যান্ডারসন, যিনি শহীদ আফ্রিদির ৩৭ বলে ওয়ানডের দ্রুততম রেকর্ড ভেঙে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে উইকেটে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হারমিত সিংহ, তিনিও সজোরে ব্যাট চালাতে পারঙ্গম। দুজনের ডাকাবুকো ব্যাটিংয়ে মোস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে তুলে নিলেন ১৫ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তখন খুবই সহজ সমীকরণ কোরি অ্যান্ডারসনদের—৬ বলে দরকার ৯।

জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত ওই ছয় বলও ব্যবহার করতে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে। মাহমুদউল্লাহর প্রথম ৩ বলেই ৬, ১ ও ৪ রান নিয়ে ইতিহাস যুক্তরাষ্ট্রের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম জয় যুক্তরাষ্ট্রের।

১৯তম ওভারে মোস্তাফিজকে যেভাবে পিটিয়ে রান তুললেন কোরি ও হারমিত, তাতে বোঝা গিয়েছিল, শেষ ওভারে ৯ রান তোলাটা এই দুই ব্যাটারের জন্য ডালভাত। সেটাই হয়েছে। ৩ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতেছে টি-টোয়েন্টির দলগত র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৯তম অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯। কিন্তু ম্যাচে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ২ উইকেটে তুলেছে ৩৭ রান। যুক্তরাষ্ট্র তুলেছে ১ উইকেটে ৪৩। প্রথম ১০ ওভারেও রান তোলায় এগিয়ে ছিল স্বাগতিকেরা—বাংলাদেশ ৬৫/৩, যুক্তরাষ্ট্র ৬৬/২। ১২তম ওভারে বল করতে এসে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ২ উইকেট তুলে না নিলে আরও আগে জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত কোরি ২৫ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন। ১৩ বলে ২টি চার ও ৩টি ছয়ে ৩৩ করেন হারমিত। ২৮ বলে ৬২ রান করেন তাঁরা। এই সফর শুরুর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।

এর আগে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রথমে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটির সুবাদে ৬ উইকেট খুইয়ে ১৫৩ রান তোলে বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন তাওহীদ।

তবে ব্যাটিং নিয়ে যে দুশ্চিন্তা থাকে, সেটি এই ম্যাচেও দেখা গেছে। রানে না থাকা লিটন রান পাননি এই ম্যাচেও। দুবার জীবন পেয়েও ১৫ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন লিটন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ফিরে যান সৌম্য সরকারও। টি-টোয়েন্টি মেজাজেই শুরু করা সৌম্য আউট হওয়ার আগে ৩টি চারে ১৩ বলে করেন ২০ রান। সৌম্যর বিদায়ের পর তাঁকে অনুসরণ করেন নাজমুল হোসেন শান্তও—৫১ রানে নেই ৩ উইকেট। আরও এক ম্যাচে ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার।

আউট হওয়ার আগে হৃদয়ের সঙ্গে ১৭ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ঠিক ১৭ রানের জুটি গড়ে হৃদয়কে রেখে মাঠ ছেড়ে যান সাকিব আল হাসান। তবে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়ে ওঠে হৃদয়ের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর। ৪৭ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ২২ বলে ৩১ করেন মাহমুদউল্লাহ। আউট হওয়ার আগে হৃদয় ৪৭ বলে করেন ৫৮। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩/৬ (লিটন ১৪, সৌম্য ২০, শান্ত ৩, হৃদয় ৫৮, সাকিব ৬, মাহমুদউল্লাহ ৩১, জাকের ৯*; টেলর ২/৯, নেত্রভালকার ১/২৭, জাসদীপ ১/৩০)।
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯.৩ ওভারে ১৫৬/৫ (কোরি ৩৪*, হারমিত ৩৩*, ; মাহমুদউল্লাহ ২.৩-০-২০-০, শরীফুল ৪-০-৩১-১,, মেহেদী হাসান ৪-০-২৭-০, সাকিব ৩-০-১৬-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৪১-২, রিশাদ ২-০-১৬-১)।
ফল: যুক্তরাষ্ট্র ৫ উইকেটে জয়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত