আফগানিস্তানকে সুপার এইটে তুলে গর্বিত ফজলহক ফারুকি

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১৫: ৪২
Thumbnail image

স্বপ্নের মতো এক টুর্নামেন্ট শুরু করেছে আফগানিস্তান। আজ পাপুয়া নিউগিনিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে তারা। আর সেটিও এতটাই বিধ্বংসীরূপে যে, তাদের সামনে যে দলই পড়ছে, তাদের স্রেফ উড়িয়ে দিচ্ছেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। 

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত আফগানদের মুখোমুখি হওয়া তিন দলই দলীয় স্কোর ১০০ পার করতে পারেনি। আসলে পারবে কী করে? ফজলহক ফারুকি প্রতি ম্যাচে যা শুরু করেছেন, তাতে তাঁর পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। আজ তাঁর বাঁহাতি সুইং ও স্লোয়ারে উড়ে গেছে পাপুয়া নিউগিনি। 

ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ফারুকির তোপে পাপুয়া নিউগিনি ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে, যার দুটিই নেন আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার। দলীয় তৃতীয় ওভার করতে এসে তো প্রথম দুই বলে প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটারকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তা করতে পারেননি। 

হ্যাটট্রিকের আক্ষেপ থাকলে সতীর্থদের নিয়ে পরে পাপুয়া নিউগিনিকে ১০০ রান করতে দেননি ফারুকি। প্রতিপক্ষকে ৯৫ রানে অলআউট করে তারা। এর আগে নিউজিল্যান্ড (৭৫) ও উগান্ডাকেও (৫৮) ১০০ রানের নিচে অলআউট করে আফগানরা। পরে আরেক ব্যাটারকে আউট করে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানদের সেরা বোলারও হন এই পেসার। 

শুধু আফগানদের নন, ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন ফারুকি, যার স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আর সব মিলিয়ে ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি। অন্যদিকে ১৬৭ রানে তাঁরই সতীর্থ রহমানউল্লাহ গুরবাজ ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে। 

জয়ের কাজ অনেকটা সহজ করে দেওয়া বোলারদের পরিশ্রমকে পরে পূর্ণতা দেন আফগান ব্যাটাররা। ৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও গুলবাদিন নাইবের অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটের জয় পায় আফগানিস্তান। এই জয়ে আফগানরা সুখের সাগরে ভাসলেও বিষণ্নে ডুবেছে কিউইরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিচ্ছে তারা। নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ খেলেই এবারের বিশ্বকাপে দর্শক বনে যাবেন কেন উইলিয়ামসনরা। 

আফগানিস্তানকে সুপার এইটে তুলতে অবদান রাখতে পারায় গর্ববোধ করেছেন ফারুকি। ম্যাচ-সেরার পুরস্কার নিতে এসে ২৩ বছর বয়সী পেসার বলেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে সুপার এইট নিশ্চিত হওয়ায় পুরো দলকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার খুব গর্ব হচ্ছে। প্রস্তুতি ম্যাচের আগে আইপিএলে ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে খেলার সুযোগ পাইনি। একটা প্রস্তুতি ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। সে যাই হোক, শেষ ম্যাচে আমাদের লক্ষ্যে থাকবে শতভাগ দেওয়া এবং আমরা চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত