নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ পুরো পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠকদের এই দাবির মুখে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দ্রুতই পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক পরিচালকের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে বোর্ড সভাপতির পদত্যাগ করতে চাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু বোর্ড সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে পাপনবিরোধীরা কী ভাবছেন? তাঁরা কি শুধু বোর্ড সভাপতির পদত্যাগেই সন্তুষ্ট, নাকি পুরো পরিচালনা পর্ষদই ভেঙে দেওয়ার দাবি তাদের?
এ নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম টিটোর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে পাপনসহ তাঁর পরিচালনা পর্ষদ। ক্লাব ক্রিকেটকে অন্ধকারে নিয়ে গেছে। ক্ষমতার জোরে ক্লাব ক্রিকেটের নিচ থেকে ওপরে ওঠার দরজা বন্ধ রেখেছে। তারা ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের রুখে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। তারা বিসিবিতে প্রহসনের নির্বাচন করে এতকাল ক্ষমতায় ছিল। এখন পালিয়েছে। আমরা এই পলাতকদের আর ক্রিকেট পরিচালনায় দেখতে চাই না। ২০০৭ সালের মতো পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে হবে।’
একই দাবি খেলোয়াড়দের কল্যাণমূলক সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালেরও। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, তিনি পদত্যাগে সম্মত হয়েছেন। তবে তিনি কবে কোথায় কার কাছে পদত্যাগ করবেন, তা নির্দিষ্ট করেননি। যদি তাঁর পদত্যাগ করতে চাওয়ার কথা সত্যি হয়, তাহলে শুধু নিজে পদত্যাগ করলেই হবে না, আমরা পুরো পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ চাই। শুধু তাঁর পদত্যাগেই বিসিবি দুর্নীতিবাজমুক্ত হবে না। তাঁর বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সবাই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত। তাই সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁরা পদত্যাগ করলেই ক্রিকেটের জন্য যাঁরা সঠিক সংগঠক, তাঁরা বোর্ডে আসতে পারবেন।’
এদিকে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের এক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোর্ড সভাপতি পদত্যাগ করলেও তাঁরা, অর্থাৎ বোর্ড পরিচালকেরা এই মুহূর্তে কেউ পদত্যাগে রাজি নন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বললেন, ‘পরিচালকদের সবার সঙ্গে সবার হয়তো এই মুহূর্তে যোগাযোগ নেই। তবে যাঁরা যোগাযোগের বাইরে, তাঁদের ছাড়াই বাকি পরিচালকেরা কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার জন্য সময় নিচ্ছেন। তবে দাবির মুখে তাঁরা পদত্যাগ করবেন কি না, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বিসিবির এক সূত্রে জানা যায়, আগামীকালই বোর্ড সভা ডাকা হতে পারে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন ১০-১১ জন পরিচালক। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে পাপনের পদত্যাগ এবং নতুন সভাপতি, সহসভাপতির নাম নিয়ে।
বিসিবি সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবি এবং এই দাবিতে নানা কর্মসূচিতে সংকট যতই গভীর থেকে গভীরতর হোক না কেন, তা থেকে সাময়িকভাবে উত্তরণের জন্য বিসিবির গঠনতন্ত্রের নবম অধ্যায়ে সালিসি আদালতে সম্ভাব্য সমাধানের উল্লেখ আছে। নবম অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ২৮ বলছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সকল নিবন্ধীকৃত সংস্থা/খেলোয়াড়/স্থানীয় লীগ এবং টুর্নামেন্ট/কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বোর্ডের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন না হইয়া উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে সমঝোতার অথবা গ্রহণযোগ্য মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রথমে মীমাংসার পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।
সংশ্লিষ্ট খেলার আয়োজনকারী/বোর্ড, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অথবা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নির্বাচন করিতে পারিবে। মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং কোন পক্ষই গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন উপস্থাপন করিতে পারিবে না এবং সালিসি আদালতের রায়ের পূর্বে অথবা রায়ের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালতের শরণাপন্ন হইতে পারিবে না। তবে শর্ত থাকিবে যে, এই অনুচ্ছেদের অন্তর্গত সালিসি আদালত মধ্যস্থতা পদ্ধতির শরণাপন্ন হইবার পূর্বে অবশ্যই আপিলকারী/নালিশি পক্ষকে অনুচ্ছেদ ২৪ অন্তর্গত পদ্ধতি শরণাপন্ন ও সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করিয়া আসিতে হইবে।’
এই পন্থায় বোর্ড পরিচালনা নিয়ে উদ্ভূত সংকটের সমাধান না হলে অনেকের ধারণা, তাহলে গভীর সংকটে পড়বে বিসিবি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ পুরো পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠকদের এই দাবির মুখে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দ্রুতই পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক পরিচালকের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে বোর্ড সভাপতির পদত্যাগ করতে চাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু বোর্ড সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে পাপনবিরোধীরা কী ভাবছেন? তাঁরা কি শুধু বোর্ড সভাপতির পদত্যাগেই সন্তুষ্ট, নাকি পুরো পরিচালনা পর্ষদই ভেঙে দেওয়ার দাবি তাদের?
এ নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম টিটোর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে পাপনসহ তাঁর পরিচালনা পর্ষদ। ক্লাব ক্রিকেটকে অন্ধকারে নিয়ে গেছে। ক্ষমতার জোরে ক্লাব ক্রিকেটের নিচ থেকে ওপরে ওঠার দরজা বন্ধ রেখেছে। তারা ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের রুখে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। তারা বিসিবিতে প্রহসনের নির্বাচন করে এতকাল ক্ষমতায় ছিল। এখন পালিয়েছে। আমরা এই পলাতকদের আর ক্রিকেট পরিচালনায় দেখতে চাই না। ২০০৭ সালের মতো পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে হবে।’
একই দাবি খেলোয়াড়দের কল্যাণমূলক সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালেরও। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, তিনি পদত্যাগে সম্মত হয়েছেন। তবে তিনি কবে কোথায় কার কাছে পদত্যাগ করবেন, তা নির্দিষ্ট করেননি। যদি তাঁর পদত্যাগ করতে চাওয়ার কথা সত্যি হয়, তাহলে শুধু নিজে পদত্যাগ করলেই হবে না, আমরা পুরো পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ চাই। শুধু তাঁর পদত্যাগেই বিসিবি দুর্নীতিবাজমুক্ত হবে না। তাঁর বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সবাই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত। তাই সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁরা পদত্যাগ করলেই ক্রিকেটের জন্য যাঁরা সঠিক সংগঠক, তাঁরা বোর্ডে আসতে পারবেন।’
এদিকে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের এক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোর্ড সভাপতি পদত্যাগ করলেও তাঁরা, অর্থাৎ বোর্ড পরিচালকেরা এই মুহূর্তে কেউ পদত্যাগে রাজি নন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বললেন, ‘পরিচালকদের সবার সঙ্গে সবার হয়তো এই মুহূর্তে যোগাযোগ নেই। তবে যাঁরা যোগাযোগের বাইরে, তাঁদের ছাড়াই বাকি পরিচালকেরা কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার জন্য সময় নিচ্ছেন। তবে দাবির মুখে তাঁরা পদত্যাগ করবেন কি না, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বিসিবির এক সূত্রে জানা যায়, আগামীকালই বোর্ড সভা ডাকা হতে পারে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন ১০-১১ জন পরিচালক। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে পাপনের পদত্যাগ এবং নতুন সভাপতি, সহসভাপতির নাম নিয়ে।
বিসিবি সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবি এবং এই দাবিতে নানা কর্মসূচিতে সংকট যতই গভীর থেকে গভীরতর হোক না কেন, তা থেকে সাময়িকভাবে উত্তরণের জন্য বিসিবির গঠনতন্ত্রের নবম অধ্যায়ে সালিসি আদালতে সম্ভাব্য সমাধানের উল্লেখ আছে। নবম অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ২৮ বলছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সকল নিবন্ধীকৃত সংস্থা/খেলোয়াড়/স্থানীয় লীগ এবং টুর্নামেন্ট/কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বোর্ডের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন না হইয়া উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে সমঝোতার অথবা গ্রহণযোগ্য মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রথমে মীমাংসার পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।
সংশ্লিষ্ট খেলার আয়োজনকারী/বোর্ড, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অথবা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নির্বাচন করিতে পারিবে। মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং কোন পক্ষই গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন উপস্থাপন করিতে পারিবে না এবং সালিসি আদালতের রায়ের পূর্বে অথবা রায়ের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালতের শরণাপন্ন হইতে পারিবে না। তবে শর্ত থাকিবে যে, এই অনুচ্ছেদের অন্তর্গত সালিসি আদালত মধ্যস্থতা পদ্ধতির শরণাপন্ন হইবার পূর্বে অবশ্যই আপিলকারী/নালিশি পক্ষকে অনুচ্ছেদ ২৪ অন্তর্গত পদ্ধতি শরণাপন্ন ও সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করিয়া আসিতে হইবে।’
এই পন্থায় বোর্ড পরিচালনা নিয়ে উদ্ভূত সংকটের সমাধান না হলে অনেকের ধারণা, তাহলে গভীর সংকটে পড়বে বিসিবি।
বাংলাদেশ ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেও একাদশ প্রকাশের ‘সাহস’ দেখায় না। তবে এখন বেশির ভাগ টেস্ট দল খেলা শুরুর একদিন আগেই টেস্ট একাদশ জানিয়ে দেয়। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জানিয়ে দিয়েছে কাল অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশটা কেমন হবে।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাশেজ শুরুর আগে সিরিজের ফলাফল নিয়ে বরাবরই পূর্বানুমান করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকারা। সেই অভ্যাসের বশেই কিনা আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ টেস্টের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিয়ে রিকি পন্টিং বলে বসলেন—অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিতবে ৩-১ ব্যবধানে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী—চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান যা শুরু করেছে, তাতে এই কথাটা মনে পড়া স্বাভাবিক। কারণ দুই পক্ষই যার যার সিদ্ধান্তে অনড়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি)।
৫ ঘণ্টা আগেব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি সাকিব আল হাসানের। তবে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও জেতাতে পারল না বাংলা টাইগার্সকে।
৬ ঘণ্টা আগে