Ajker Patrika

ক্যারিবীয় কিংবদন্তি মনে করেন, আইসিসি শুধু ভারতের কথা শোনে

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ১৭: ৩৪
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তৃতীয় শিরোপা জয়ের পর ভারতের উদযাপন। ছবি: এএফপি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তৃতীয় শিরোপা জয়ের পর ভারতের উদযাপন। ছবি: এএফপি

বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের অনেক বেশি প্রভাব থাকাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) বিদ্রুপ করে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থাও বলে থাকেন অনেকে। গত এক দশকে আইসিসি এভাবেই উপহাসের শিকার হচ্ছে বারবার। স্যার অ্যান্ডি রবার্টস সেটাই যেন আবার মনে করিয়ে দিলেন।

১৭ বছর ধরে নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তানে সফর করছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেকারণে সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হয়েছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলায় টুর্নামেন্ট চলার সময়ই সমালোচনা করেছিলেন মাইকেল আথারটন, নাসের হুসেইনের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আইসিসির ওপর তখন তোপ দেগেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস।

রিচার্ডসের সতীর্থ স্যার অ্যান্ডি রবার্টসের মতে আইসিসির কাছে ভারত ‘মামার বাড়ি’র মতো অনেক আবদার করে। যেগুলো ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা মেনেও নেয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিড ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবার্টস বলেন, ‘আমার কাছে আইসিসির অর্থ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সবকিছু ভারতই তো নিয়ন্ত্রণ করছে। ভারত যদি আগামীকাল বলে, শুনুন নো বল আর ওয়াইড রাখার দরকার নেই-আমার মনে হচ্ছে ভারতকে সন্তুষ্ট করতে আইসিসি কিছু একটা করে ফেলবে। আমার কথা লিখে রাখুন।’

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ভারত যে করেই হোক গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। কারণ, সূচি অনুযায়ী গায়ানার ম্যাচটা যে সময় হওয়ার কথা, তাতে ভারতীয় সমর্থকদের ম্যাচ দেখতে সুবিধা হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ভারত গায়ানাতেই খেলেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারতকে সব সময় বাড়তি সুবিধা দেওয়া উচিত না বলে মনে করেন রবার্টস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বলেন, ‘এই ব্যাপারে কিছু একটা করা দরকার। সবকিছু তো ভারত পেতে পারে না। কখনো কখনো ভারতকে না বলা উচিত আইসিসির।সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। সেমিফাইনালের ভেন্যুও তারা আগেই জেনে গিয়েছিল।’

গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ, সেমিফাইনাল, ফাইনাল—চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিই খেলে দুবাইয়ে। আয়োজক পাকিস্তানকেও দুবাইয়ে ভ্রমণ করতে হয় ভারতের বিপক্ষে খেলতে। বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকেও পাকিস্তান থেকে মরুর দেশে যেতে হয়েছে ভারতের কারণে। এমনকি ভারতের সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারণ হওয়া নিয়ে যখন দোটানায়, তখন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলকেই দুবাই ভ্রমণ করতে হয়েছে। এক মাঠে সব ম্যাচ খেলা ভারতকে নিয়ে রবার্টস বলেন, ‘ভারতকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভ্রমণই করা লাগল না। কোনো টুর্নামেন্টে একটা দল ভ্রমণ না করে কীভাবে পারে।’

দুবাইয়ে ৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জেতে ভারত। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটা সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত প্রথম শিরোপা জিতেছিল ২০০২ সালে। সেবার ভারত-শ্রীলঙ্কা যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় শিরোপা ভারত জেতে ২০১৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত