প্রয়োজন হলে লিটনের ‘বিশ্রাম’, চিন্তিত প্রধান নির্বাচক

ক্রীড়া ডেস্ক    
Thumbnail image
লিটনকে নিয়ে চিন্তায় বিসিবি। ছবি: আইসিসি

তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই লিটন দাসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাদা ও লাল বলের সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর ছয় ইনিংস—১, ২৫, ৪, ২, ০, ০। এ লিটনই টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলকে। অধিনায়কত্ব নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন নেই, বিসিবির নির্বাচকেরা চিন্তিত তাঁর ব্যাটিং ও আউট হওয়ার ধরন নিয়ে।

ওয়ানডেতে ১৩ ইনিংস ধরে ফিফটি নেই লিটনের ব্যাটে। শেষ ৭ ইনিংসে পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কে। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২২ ইনিংসে তার ফিফটি মাত্র একটি। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, লিটনের কাছ থেকে প্রত্যাশামতো ব্যাটিং না পাওয়ার কথা। আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘লিটনের কাছে দল যা প্রত্যাশা করে, তিনি যে মানের ব্যাটার, সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ততটা ধারাবাহিক নন। তাই টুর্নামেন্ট (গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে) নির্ধারণী ম্যাচেও কিন্তু আমরা তাকে দলের বাইরে রেখেছিলাম। এই মুহূর্তে তিনি আমাদের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। একটা সিরিজ চলছে। আমার মনে হয়, এখন এটা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার আদর্শ সময় নয়।’

লিটনের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়েছেন লিপু। তাঁরা ভাবছেন ভিন্নভাবেও। প্রয়োজন হলে লিটনের বিশ্রামের কথা বললেন প্রধান নির্বাচক, ‘তবে এতটুকু বলতে পারি, আমরা তার আউট হওয়ার ধরন নিয়ে অবশ্যই চিন্তিত। ভবিষ্যতে কিছু মেরামতের প্রয়োজন হয়, কোচরা আছেন। যদি সাময়িক বিরতি প্রয়োজন হয়, সে জন্যও কোচরা আছেন। অথবা তিনি যদি সামনের দুটো ম্যাচে ফেরত আসতে পারেন, তা সবচেয়ে বেশি স্বাগত জানান হবে।’

ছন্দহীন একজন ব্যাটারের কাঁথে অধিনায়কত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিট না থাকায় আপত্কালীন লিটনকে দেওয়া হয় নেতৃত্বের-ভার। লিপু বলেছেন, ‘আমি মনে করি, হয়তো স্বল্পমেয়াদি হিসেব করে হয়তো বোর্ড একটা সমাধান (লিটনকে অধিনায়কত্ব দিয়ে) করার চেষ্টা করেছে। কারণ বোর্ডের হাতেও যে অনেক বিকল্প ছিল, তা নয়। অনেক ক্রিকেটারই চোটে ছিল।’

সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ দল। লিপু মনে করেন, জয়ী অধিনায়ক হিসেবে মাঠ ছাড়ায় পরের ম্যাচ লিটনকে এটি জন্য বাড়তি প্রেরণা দেবে। প্রধান নির্বাচক বললেন, ‘তবে ইতিবাচক বিষয় আমি যেটা দেখি, ছন্দহীন একজন ব্যাটার যখন নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরও সেটা (ছন্দহীনতা) ধারাবাহিক রেখেছেন, তখন তার দল তাকে যে সমর্থন দিয়েছে বিজয়ী দলের অধিনায়ক করে, এটা হয়তো তাকে অনুপ্রাণিত করবে। আমি মনে করি, অধিনায়কের জন্য দারুণ কাজ করেছে দল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত