নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
হ্যাটট্রিক হার, তবু চিন্তার বিন্দুমাত্র ক্লেশ নেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ রাজিন সালেহর। সিলেটে আজ সূর্য ওঠার পরই দুই নম্বর মাঠে উপস্থিত মাশরাফি-শান্তদের কোচ। তাঁর এখনো বিশ্বাস দল ছন্দে ফিরবে। হোম গ্রাউন্ডে জয়ে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল তাঁর দল; কিন্তু দুই দিন আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ১৩০ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে সিলেট। প্রিয় দলের ব্যর্থতা হজম করতে না পেরে স্থানীয় সমর্থকেরাও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন রোজ।
সিলেট নিয়ে স্থানীয় সমর্থকদের অভিযোগও কম নয়। সিন্ডিকেটে জার্সি বিক্রি করছে, খুচরা বিক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না জার্সি বিক্রির সুযোগ। তাই অনেকে আবার সিলেটের এমন দুর্দশায় সুখও নিচ্ছেন! আগামীকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ে ফেরার আরেকটু সুযোগ সিলেটের। আজ সকাল থেকেই টিকিট বুথে সমর্থকদের ভিড়। হয়তো আরও একটা দর্শকপূর্ণ গ্যালারির ম্যাচ হবে। কিন্তু সিলেট জয় দিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা মেটাতে পারবে কি না, সেটাই মূল কথা।
অন্যদিকে এবারের বিপিএলে খুব বেশি আলোচনায় না থাকলেও ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে চট্টগ্রাম। গতকাল শক্তিশালী ফরচুন বরিশালও তাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। দলে যোগ দিয়েছেন বিগ ব্যাশে ঝড় তোলা অস্ট্রেলিয়ান জশ ব্রাউন ও নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুস। সেই দলটির বিপক্ষে জয়ে ফেরা সম্ভব? রাজিন সালেহ অবশ্য হার-জিত নিয়ে অতটা ভাবছেন না, ‘হার-জিত থাকবেই। চিন্তার কিছু নেই। ওপরওয়ালা যাকে ইচ্ছে সম্মানিত করেন, যাকে ইচ্ছে কেড়ে নেন। আমরা চেষ্টা করব ফেরার।’
সমর্থকদের পাশাপাশি সিলেটের টিম ম্যানেজমেন্টও তাকিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দিকে। হাবিবুর রহমান নামের এক সমর্থক বললেন, ‘মাশরাফি ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। নেতৃত্ব দিয়েই তিনি অনেক কিছু পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। আমরা সেরকম কিছুরই আশায় আছি।’ মাশরাফির নেতৃত্বগুণে গতবারও ফাইনালে খেলেছে সিলেট। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও কারিশমাটিক কিছু করবেন বলে বিশ্বাস টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালেরও, ‘মাশরাফির অভিজ্ঞতা, তার যে নেতৃত্ব সেটার জন্য ম্যানেজমেন্ট তাকে চায়। মাশরাফি হয়তো সেরকম কিছুই করবে। মাশরাফি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একজন ক্রিকেটার। একটা জয় পেলে মোমেন্টামটা ঘুরে যেতে পারে।’ আজ অনুশীলনে না এসে, সেই ছকই হয়তো সাজাচ্ছিলেন মাশরাফি।
সর্বশেষ বিপিএলে স্থানীয় খেলোয়াড়েই আস্থা রেখে সুফল পেয়েছিল সিলেট। এবার তাওহীদ হৃদয়-মুশফিকুর রহিমরা নেই দলে। রান নেই নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলী রাব্বি ও জাকির হাসানের ব্যাটে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলে আছে দুশ্চিন্তাও। মাঠে এসে অনুশীলন না করেই ফেরেন শান্ত। গলায় গামছা প্যাঁচানো বাঁহাতি ব্যাটার জানিয়েছেন, বেশ ঠান্ডা লেগেছে তাঁর। হ্যাটট্রিক হার যেন তাঁদের নির্জীব না করে দেয়, সে জন্য আগের দিনই সিলেট টিম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গেছেন সতেজতা খুঁজতে। সেই ভ্রমণেই হয়তো বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন শান্ত। যদিও নাফিস জানিয়েছেন, বড় কোনো সমস্যা নেই তাঁর।
বিপিএলের শীর্ষে থাকা খুলনা টাইগার্স ও দুইয়ে থাকা চট্টগ্রাম উড়ছে নতুন দুই কোচের সৌজন্যে। বাংলাদেশ দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার—তুষার ইমরান প্রধান কোচ চট্টগ্রামের আর তালহা জুবায়ের খুলনার দায়িত্বে। নিঃসন্দেহে দুজনই চতুর্থ জয়ের আশায় বসবেন ডাগআউটে।
রাতের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলবে তালহার খুলনা। এভিন লুইস, দাসুন শানাকা, মোহাম্মদ নওয়াজ, এনামুল হক বিজয়দের নিয়ে দলও বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। খুলনার কোচও জয়ের প্রত্যয়ে বলেছেন, ‘শুধু ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, দলের সঙ্গে নিজেরও অনেক কিছু শেখার আছে।’ ঢাকায় সাইম আইয়ুবের সঙ্গে কাল আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকেও একাদশে দেখা যেতে পারে।
হ্যাটট্রিক হার, তবু চিন্তার বিন্দুমাত্র ক্লেশ নেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ রাজিন সালেহর। সিলেটে আজ সূর্য ওঠার পরই দুই নম্বর মাঠে উপস্থিত মাশরাফি-শান্তদের কোচ। তাঁর এখনো বিশ্বাস দল ছন্দে ফিরবে। হোম গ্রাউন্ডে জয়ে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল তাঁর দল; কিন্তু দুই দিন আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ১৩০ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে সিলেট। প্রিয় দলের ব্যর্থতা হজম করতে না পেরে স্থানীয় সমর্থকেরাও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন রোজ।
সিলেট নিয়ে স্থানীয় সমর্থকদের অভিযোগও কম নয়। সিন্ডিকেটে জার্সি বিক্রি করছে, খুচরা বিক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না জার্সি বিক্রির সুযোগ। তাই অনেকে আবার সিলেটের এমন দুর্দশায় সুখও নিচ্ছেন! আগামীকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ে ফেরার আরেকটু সুযোগ সিলেটের। আজ সকাল থেকেই টিকিট বুথে সমর্থকদের ভিড়। হয়তো আরও একটা দর্শকপূর্ণ গ্যালারির ম্যাচ হবে। কিন্তু সিলেট জয় দিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা মেটাতে পারবে কি না, সেটাই মূল কথা।
অন্যদিকে এবারের বিপিএলে খুব বেশি আলোচনায় না থাকলেও ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে চট্টগ্রাম। গতকাল শক্তিশালী ফরচুন বরিশালও তাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। দলে যোগ দিয়েছেন বিগ ব্যাশে ঝড় তোলা অস্ট্রেলিয়ান জশ ব্রাউন ও নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুস। সেই দলটির বিপক্ষে জয়ে ফেরা সম্ভব? রাজিন সালেহ অবশ্য হার-জিত নিয়ে অতটা ভাবছেন না, ‘হার-জিত থাকবেই। চিন্তার কিছু নেই। ওপরওয়ালা যাকে ইচ্ছে সম্মানিত করেন, যাকে ইচ্ছে কেড়ে নেন। আমরা চেষ্টা করব ফেরার।’
সমর্থকদের পাশাপাশি সিলেটের টিম ম্যানেজমেন্টও তাকিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দিকে। হাবিবুর রহমান নামের এক সমর্থক বললেন, ‘মাশরাফি ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। নেতৃত্ব দিয়েই তিনি অনেক কিছু পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। আমরা সেরকম কিছুরই আশায় আছি।’ মাশরাফির নেতৃত্বগুণে গতবারও ফাইনালে খেলেছে সিলেট। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও কারিশমাটিক কিছু করবেন বলে বিশ্বাস টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালেরও, ‘মাশরাফির অভিজ্ঞতা, তার যে নেতৃত্ব সেটার জন্য ম্যানেজমেন্ট তাকে চায়। মাশরাফি হয়তো সেরকম কিছুই করবে। মাশরাফি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একজন ক্রিকেটার। একটা জয় পেলে মোমেন্টামটা ঘুরে যেতে পারে।’ আজ অনুশীলনে না এসে, সেই ছকই হয়তো সাজাচ্ছিলেন মাশরাফি।
সর্বশেষ বিপিএলে স্থানীয় খেলোয়াড়েই আস্থা রেখে সুফল পেয়েছিল সিলেট। এবার তাওহীদ হৃদয়-মুশফিকুর রহিমরা নেই দলে। রান নেই নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলী রাব্বি ও জাকির হাসানের ব্যাটে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলে আছে দুশ্চিন্তাও। মাঠে এসে অনুশীলন না করেই ফেরেন শান্ত। গলায় গামছা প্যাঁচানো বাঁহাতি ব্যাটার জানিয়েছেন, বেশ ঠান্ডা লেগেছে তাঁর। হ্যাটট্রিক হার যেন তাঁদের নির্জীব না করে দেয়, সে জন্য আগের দিনই সিলেট টিম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গেছেন সতেজতা খুঁজতে। সেই ভ্রমণেই হয়তো বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন শান্ত। যদিও নাফিস জানিয়েছেন, বড় কোনো সমস্যা নেই তাঁর।
বিপিএলের শীর্ষে থাকা খুলনা টাইগার্স ও দুইয়ে থাকা চট্টগ্রাম উড়ছে নতুন দুই কোচের সৌজন্যে। বাংলাদেশ দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার—তুষার ইমরান প্রধান কোচ চট্টগ্রামের আর তালহা জুবায়ের খুলনার দায়িত্বে। নিঃসন্দেহে দুজনই চতুর্থ জয়ের আশায় বসবেন ডাগআউটে।
রাতের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলবে তালহার খুলনা। এভিন লুইস, দাসুন শানাকা, মোহাম্মদ নওয়াজ, এনামুল হক বিজয়দের নিয়ে দলও বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। খুলনার কোচও জয়ের প্রত্যয়ে বলেছেন, ‘শুধু ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, দলের সঙ্গে নিজেরও অনেক কিছু শেখার আছে।’ ঢাকায় সাইম আইয়ুবের সঙ্গে কাল আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকেও একাদশে দেখা যেতে পারে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের আগে বারবার ঘুরেফিরে এসেছিল আহমেদাবাদের কথা। কারণ, সবশেষ ওয়ানডেতে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে। ১ লাখেরও বেশি দর্শককে কাঁদিয়ে ভারতের শিরোপার উৎসব পণ্ড করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
৯ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যর্থতার পর বেশ ভালোভাবেই নড়েচড়ে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। জাতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু কঠোর নিয়ম আরোপ করে তারা। এর প্রতিফলন ঘটছে আইপিএলেও। সম্প্রতি আইপিএলের সব দলকে একটি ই-মেইল বার্তায় বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে ক্যাম্প করার জন্য আগামীকাল সৌদি আরবে যাবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। চারদিন বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করেছে তারা। যা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
১০ ঘণ্টা আগেব্যাটার কোহলিকে তো নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন বলে পেয়েছেন ‘কিং কোহলি’ উপাধি। রেকর্ড গড়া যাঁর কাছে ডালভাতের মতো, তিনি আজ গড়লেন আরও এক রেকর্ড। তাতে পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে।
১০ ঘণ্টা আগে