বিনোদন দিলেন সাকিব, কুমিল্লাকে জেতালেন রাসেল

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

জয়ের জন্য ২৪ বলে ৩৩ রান লাগত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। কিন্তু হাসান মাহমুদের করা ১৭ তম ওভারে ৫ বলে ২৪ রান নিয়ে প্রায় ম্যাচ শেষ করে দেন আন্দ্রে রাসেল। পরের ওভারে শেখ মেহেদী হাসানকে ছক্কা মেরে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটের জয়ও এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। 

তবে এর আগে ৩ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার জয়টা অনেকটা কঠিন করে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এবারের টুর্নামেন্টে উইকেট নেওয়ার পর নানান রকমের উদ্‌যাপন করছেন তিনি। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে তামিম ইকবালের উইকেট নিয়ে অনেকটা পেশির শক্তি দেখাচ্ছিলেন। পরে অবশ্য তামিমও একই উদ্‌যাপন করেন যখন সাকিব আউট হন। আর আজ তাওহীদ হৃদয়কে আউট করে টা টা উদ্‌যাপন করেন বাঁহাতি স্পিনার। সঙ্গে দুই হাত ঊর্ধ্বে ছড়িয়ে দিয়ে উদ্‌যাপন তো করেনই। 

উদ্‌যাপনে নতুনত্ব আনলেও আজ মুখে হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি সাকিব। রাসেলের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে কুমিল্লার কাছে ৬ উইকেটের পরাজয় দেখেছে তাঁর দল রংপুর। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হারলেও ১৮ পয়েন্টে শীর্ষে থেকে আগেই শেষ চার নিশ্চিত করেছে তারা। 

 ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল কুমিল্লা। কিন্তু দলীয় ৩৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে তারা। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন লিটন দাস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৬৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। তবে ২ রানের ব্যবধানে লিটন (৪৩) ও অঙ্কন (৩৯) আউট হলে আবারও চাপে পড়ে কুমিল্লা। দুজনের আউটের পর কুমিল্লার রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১০৩ রান। 

কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালাতে লাগলেন রাসেল। ১২ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করে ম্যাচ শেষ করে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। ৩৫৪.৩৩ স্ট্রাইকরেটের বিধ্বংসী ইনিংসটি সাজিয়েছেন সমান ৪ চার ও ছক্কায়। এমন ঝোড়ো ইনিংস খেলার আগে বোলিংয়েও ৩ উইকেট নেন রাসেল। অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের সেরা বোলার সাকিব। 

হৃদয়কে আউট করার পর এভাবে টা টা দিচ্ছেন সাকিব। ছবি: বিসিবিএর আগে জিমি নিশামের দুর্দান্ত ফিফটিতে অলআউট হওয়ার আগে ১৫০ রান সংগ্রহ করে রংপুর। দলীয় ৫ রানের মাথায় ৪ রানে আউট হন ব্র্যান্ডন কিং। তানভীর ইসলামের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রংপুর। ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। 

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান বাড়ানোর কাজটা করছিলেন সাকিব আল হাসান। অবশ্য তিনে নেমে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ১৯ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৩ চারে। সাকিবের আউটের পরেই ম্যাচে একাই লড়াই চালিয়ে যান নিশাম। শেষ দিকের ব্যাটারদের নিয়ে দলকে ১৫০ রানের সংগ্রহ এনে দেন তিনি। 

৪২ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন নিশাম। ১৬৪.২৮ স্ট্রাইকরেটের দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ চার ও ২ ছক্কায়। দলের প্রায় অর্ধেক রানই করে দিয়েছেন তিনি। রংপুরকে অলআউট করতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুশফিক হাসান ও রাসেল। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার মুশফিক। অন্যদিকে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাসেলও। আরেক ক্যারিবিয়ান ম্যাথিউ ফোর্ড নিয়েছেন ২ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত