নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
কাগজে-কলমে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবচেয়ে শক্তিশালী কয়েকটি দলের মধ্যে আছে ফরচুন বরিশালও। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দলের সেই অবস্থান এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি তারা। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে তামিম ইকবালের দল। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তাঁরা হেরেছে ১০ রানে। ৪ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেয়েছে শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম।
রানপ্রসবা ম্যাচে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮৩ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। তবে শুরুটা দারুণই ছিল তাদের। তামিম ও আহমেদ শেহজাদ ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৫৫ রান। তাণ্ডব চালানো শেহজাদকে ষষ্ঠ ওভারে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার বিলাল খান।
এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম মাচে দুটি ছক্কা ও ৫ চারে ১৭ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলেছেন শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সৌম্য সরকার গড়েছেন ৩৯ রানের আরেকটি জুটি। এরপর কার্টিস ক্যাম্ফারের ধসিয়ে দেওয়া এক স্পেল। ১১তম ওভারে তামিম-সৌম্যকে ফিরিয়ে বরিশালের ব্যাটিং অর্ডারে বড়সড় ধক্কা দেন ক্যাম্ফার। ৩০ বলে তামিম ফেরেন ৩৩ রানে আর সৌম্য করেছেন ১৬ বলে ১৭।
নিজের পরের ওভারে ক্যাম্ফার ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) ও ইয়ানিক কারিয়াহকে (৪)। ষষ্ঠ উইকেটে জয়ের একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৯ বলে ৫১ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েছেন দুজনে। ১৮ ও ১৯তম ওভারে পরপর ফেরেন মিরাজ ও মুশফিক। তখনই হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের। মিরাজ দুটি ছক্কা ও ৩টি চারে ১৬ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেছেন। ২৩ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। চট্টগ্রামের হয়ে ক্যাম্ফার ২০ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন।
শক্তিশালী দল নিয়েও বরিশাল এখনো সন্তোষজনক ফল পায়নি। ব্যাটিংটা ভালো করলেও এখনো তাদের বোলিং আক্রমণ নির্জীবই থেকে গেল। এই ম্যাচেও দেখা গেল বরিশালের বোলারদের হতশ্রী বোলিং। চট্টগ্রামের ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দোর তাণ্ডবে বোলিংয়ের লাইন-লেংথই যেন হারিয়ে ফেলেন বরিশালের তারা। আগের তিন ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি এই লঙ্কান ব্যাটার। আজ খেলেছেন ৫০ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যার কল্যাণে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম। চলতি বিপিএলে এ পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
বিপিএলের দশম ম্যাচেও টসে জিতে বিপক্ষ দলকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর প্রক্রিয়াটা পরিবর্তন হয়নি। টস জিতেই বরিশালের অধিনায়ক তামিম ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চট্টগ্রামকে। আগের দিন ম্যাচ সুযোগ না পেলেও আজ বরিশালের একাদশে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারে করতে এসেই এই বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছেন মিশ্র অভিজ্ঞতা।
চট্টগ্রামের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে টানা তিনটি চারের বাউন্ডারি হজম করেছেন তাইজুল। কিন্তু হ্যাটট্রিকের পরের বলেই দুনিত ভেল্লালাগের ক্যাচে তানজিদ তামিমকে ফেরান তিনি। ৫ বলে ১২ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। নিজের পরের ওভারে ইমরানুজ্জামানকেও (২) ফেরান তাইজুল। ২১ রানে দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। যদিও সেই চাপ দলকে অনুভব করতে দেননি ওপেনার আভিষ্কা-ক্যাম্ফাররা।
তৃতীয় উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে ৫৫ বলে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন আভিষ্কা। ১২তম ওভারে দিপুকে ফিরিয়ে বরিশালকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইয়ানিক কারিয়াহ। ২৯ বলে ৩১ রান আসে দিপুর ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে নাজিজউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৮ বলে ৬৮ রানের আরেকটি বিধ্বংসী জুট গড়েন আভিষ্কা। যেখানে ৪৭ রানই ছিল লঙ্কান ব্যাটারের। ১৮ রানে নাজিবউল্লাহ ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে।
পঞ্চম উইকেটে ক্যাম্ফারের সঙ্গে ১১ বলে ৩৪ রানের আরেকটি জুটি হয় আভিষ্কার। ৪০ বলে ফিফটি করা আভিষ্কা শেষ ১০ বল থেকে তোলেন ৪১ রান। ৭টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ দিকে ৯ বলে ২৯ রানে আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন ক্যাম্ফার। বরিশালের হয়ে ২৬ রানের বিপরীতে দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
কাগজে-কলমে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবচেয়ে শক্তিশালী কয়েকটি দলের মধ্যে আছে ফরচুন বরিশালও। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দলের সেই অবস্থান এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি তারা। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে তামিম ইকবালের দল। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তাঁরা হেরেছে ১০ রানে। ৪ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেয়েছে শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম।
রানপ্রসবা ম্যাচে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮৩ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। তবে শুরুটা দারুণই ছিল তাদের। তামিম ও আহমেদ শেহজাদ ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৫৫ রান। তাণ্ডব চালানো শেহজাদকে ষষ্ঠ ওভারে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার বিলাল খান।
এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম মাচে দুটি ছক্কা ও ৫ চারে ১৭ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলেছেন শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সৌম্য সরকার গড়েছেন ৩৯ রানের আরেকটি জুটি। এরপর কার্টিস ক্যাম্ফারের ধসিয়ে দেওয়া এক স্পেল। ১১তম ওভারে তামিম-সৌম্যকে ফিরিয়ে বরিশালের ব্যাটিং অর্ডারে বড়সড় ধক্কা দেন ক্যাম্ফার। ৩০ বলে তামিম ফেরেন ৩৩ রানে আর সৌম্য করেছেন ১৬ বলে ১৭।
নিজের পরের ওভারে ক্যাম্ফার ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) ও ইয়ানিক কারিয়াহকে (৪)। ষষ্ঠ উইকেটে জয়ের একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৯ বলে ৫১ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েছেন দুজনে। ১৮ ও ১৯তম ওভারে পরপর ফেরেন মিরাজ ও মুশফিক। তখনই হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের। মিরাজ দুটি ছক্কা ও ৩টি চারে ১৬ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেছেন। ২৩ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। চট্টগ্রামের হয়ে ক্যাম্ফার ২০ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন।
শক্তিশালী দল নিয়েও বরিশাল এখনো সন্তোষজনক ফল পায়নি। ব্যাটিংটা ভালো করলেও এখনো তাদের বোলিং আক্রমণ নির্জীবই থেকে গেল। এই ম্যাচেও দেখা গেল বরিশালের বোলারদের হতশ্রী বোলিং। চট্টগ্রামের ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দোর তাণ্ডবে বোলিংয়ের লাইন-লেংথই যেন হারিয়ে ফেলেন বরিশালের তারা। আগের তিন ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি এই লঙ্কান ব্যাটার। আজ খেলেছেন ৫০ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যার কল্যাণে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম। চলতি বিপিএলে এ পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
বিপিএলের দশম ম্যাচেও টসে জিতে বিপক্ষ দলকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর প্রক্রিয়াটা পরিবর্তন হয়নি। টস জিতেই বরিশালের অধিনায়ক তামিম ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চট্টগ্রামকে। আগের দিন ম্যাচ সুযোগ না পেলেও আজ বরিশালের একাদশে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারে করতে এসেই এই বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছেন মিশ্র অভিজ্ঞতা।
চট্টগ্রামের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে টানা তিনটি চারের বাউন্ডারি হজম করেছেন তাইজুল। কিন্তু হ্যাটট্রিকের পরের বলেই দুনিত ভেল্লালাগের ক্যাচে তানজিদ তামিমকে ফেরান তিনি। ৫ বলে ১২ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। নিজের পরের ওভারে ইমরানুজ্জামানকেও (২) ফেরান তাইজুল। ২১ রানে দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। যদিও সেই চাপ দলকে অনুভব করতে দেননি ওপেনার আভিষ্কা-ক্যাম্ফাররা।
তৃতীয় উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে ৫৫ বলে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন আভিষ্কা। ১২তম ওভারে দিপুকে ফিরিয়ে বরিশালকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইয়ানিক কারিয়াহ। ২৯ বলে ৩১ রান আসে দিপুর ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে নাজিজউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৮ বলে ৬৮ রানের আরেকটি বিধ্বংসী জুট গড়েন আভিষ্কা। যেখানে ৪৭ রানই ছিল লঙ্কান ব্যাটারের। ১৮ রানে নাজিবউল্লাহ ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে।
পঞ্চম উইকেটে ক্যাম্ফারের সঙ্গে ১১ বলে ৩৪ রানের আরেকটি জুটি হয় আভিষ্কার। ৪০ বলে ফিফটি করা আভিষ্কা শেষ ১০ বল থেকে তোলেন ৪১ রান। ৭টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ দিকে ৯ বলে ২৯ রানে আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন ক্যাম্ফার। বরিশালের হয়ে ২৬ রানের বিপরীতে দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
১৬ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেইচ্ছে প্রকাশ করেও সাকিব আল হাসান মিরপুরে খেলতে পারেননি তাঁর বিদায়ী টেস্ট ৷ দুবাইয়ে এসেও ঢাকায় আসতে পারেননি ৷ আজ বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেও।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
৩ ঘণ্টা আগে