Ajker Patrika

৪০০ রান করা মুস্তাকিমের আদর্শ সাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২: ৩৫
সাকিব আল হাসানকে আদর্শ মনে করে মুস্তাকিম হাওলাদার। ছবি: বিসিবি
সাকিব আল হাসানকে আদর্শ মনে করে মুস্তাকিম হাওলাদার। ছবি: বিসিবি

ভারতের স্কুল ক্রিকেটে ২০২৪ সালে ৪৯৮ রান করে রেকর্ড গড়েছিল গুজরাটের দ্রোণ দেশাই। ভারতের স্কুল ক্রিকেটের এমন বিস্ময়কর ইনিংস মাঝেমধ্যে সংবাদ শিরোনাম হয়। বাংলাদেশে নিয়মিত জাতীয় স্কুল ক্রিকেট লিগ (প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট) হয়, যেখানে কয়েক বছর ধরে প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা বিসিবির বয়সভিত্তিক দলে জায়গাও পাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আজ বিরাট এক কীর্তির জন্ম দিয়েছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মুস্তাকিম হাওলাদার। স্কুল ক্রিকেটে সেন্টগ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপক্ষে অপরাজিত ৪০৪ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ৪০০ রানের মাইলফলক গড়েছে সে।

অভূতপূর্ব এই কীর্তির পর প্রাইম ব্যাংকের এক কর্তার আমন্ত্রণে মিরপুরের শেরেবাংলায় কোচ মোহাম্মদ শ্রাবণের সঙ্গে আসে মুস্তাকিম। প্রথমবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসে মুস্তাকিম বলল সাকিব আল হাসান নাম। সাকিবের সঙ্গে অতীতের স্মৃতি মনে করে মুস্তাকিম বলে, ‘আদর্শ বলতে সাকিব আল হাসান ভাই। ওপেনিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন করি। যখন বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিতে এসেছিলাম, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে তখন দেখা হয়েছিল। সাকিব ভাই মাঠে অনেক পরিশ্রম করেন। দেখতে ভালো লাগে।’

রোজা রেখে ব্যাটিংয়ে নামা মুস্তাকিম পুরো ৫০ ওভার কাটিয়ে দেয় উইকেটে। ১৭০ বলে খেলে ৪০৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, যেখানে ছিল ৫০টি চার ও ২২টি ছক্কা। উইকেটে কাটায় ২৬০ মিনিট। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কল্যাণে দলীয় স্কোর পৌঁছায় ২ উইকেটে ৭৭০ রানে। চারে নামা দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া সাদ পারভেজও খেলে বিধ্বংসী এক ইনিংস—১২৪ বলে করে ২৫৬ রান (৩২ চার, ১৩ ছক্কা)।

ফল? প্রতিপক্ষ দল মাত্র ৩২ রানে অলআউট আর ক্যামব্রিয়ান স্কুল পায় ৭৩৮ রানের অবিশ্বাস্য জয়, যা স্বীকৃত ক্রিকেটে নজিরবিহীন ব্যবধানে জয়। বাংলাদেশের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল তামিম ইকবালের, যিনি ২০২০ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৩৩৪* রান করেছিলেন। কিন্তু এখন দেশের স্বীকৃত ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক মুস্তাকিম। এমন ইনিংস খেলার পর ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র বলে, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে এমন ইনিংস খেলতে পেরেছি। আমার লক্ষ্য এখন ধারাবাহিক ভালো করে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পাওয়া। মা-বাবা সব সময় পাশে থাকেন, তাঁদের স্বপ্নপূরণের জন্য আরও বড় ইনিংস খেলতে চাই। ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত