প্রিন্স রাসেল, ঢাকা

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন সাম্প্রতিক সাফল্যসহ মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কিছুই।
প্রশ্ন: অনেক ধকল পেরিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ, জটিল ভ্রমণ, এখন কোয়ারেন্টিন-জীবন—সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা কেমন?
নিগার সুলতানা: আমরা জানতাম হয়তো দুই দিন লাগবে বাংলাদেশে আসতে। ওমানে এসে শুনলাম, আমাদের নাকি পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আসলে মিশ্র এক অনুভূতি। দেশে ফেরার উত্তেজনা কিংবা বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার আনন্দ—ওমানে সবার মন খারাপ হয়ে গেছে। এখন যদি বাসায় যেতে পারতাম বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে পারতাম, অনেক ভালো লাগত।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এত বড় একটা অর্জনের অনুভূতি নিশ্চয়ই অন্য রকম?
নিগার: সত্যি বলতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। জানতাম, আফ্রিকার অবস্থা ভালো নয় (করোনায়)। ভেবেছিলাম টুর্নামেন্ট বাতিল হবে কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে আমাদের অফিশিয়ালরা জানিয়েছিলেন, অবস্থা যেমনই হোক, খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। সেদিন আমরা লাঞ্চ করছিলাম। যখন আমরা শুনলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম না এটা সত্যি নাকি মজা হচ্ছে! হোটেলের লবিতে সবাই উত্তেজনায় চেঁচামেচি করছিল। এটার জন্য আমরা লম্বা অপেক্ষা করছিলাম। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে জেদ ছিল যে পরেরবার যখন বাছাই খেলতে যাব, যেন বাধা উতরে যেতে পারি। আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
প্রশ্ন: এবার আপনারা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
নিগার: আমরা যখন ওখানে (জিম্বাবুয়ে) যাই, সবার মুখে একটাই কথা ছিল—সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। ভালো খেলার তাড়না ছিল সবার মধ্যে।
প্রশ্ন: এই সাফল্য পেতে নতুন এমন কিছু ছিল, যেটা আপনাদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হয়েছে?
নিগার: এবার সবাই অবদান রেখেছে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর একটা লম্বা বিরতি ছিল (করোনার কারণে)। ওই সময়টায় সবাই নিজের ঘাটতি নিয়ে কাজ করেছে। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি, অনুশীলন করেছি। এ কারণে ওখানে গিয়ে আমাদের সুবিধা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো ছিল।
প্রশ্ন: বড় দল পাকিস্তানকে হারানোর পর ড্রেসিংরুমের চিত্রটা কেমন হয়েছিল, আরেকবার শুনতে চাই।
নিগার: আমাদের লক্ষ্য ছিল বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাব। কেন যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা একটু বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী মেজাজে থাকি। সব ম্যাচেই থাকি। কিন্তু ওদের বিপক্ষে একটু বেশিই। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারটা আমরা মানতে পারি না। আমরা জেতার পর কাঁদি, হারার পরও কাঁদি। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ যখন জিতবেন, তখন ওই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও ভালো করতে পারবেন।
প্রশ্ন: মেয়েদের ক্রিকেটে আগেও বড় সাফল্য এসেছে। এবারও এল। এটা দিয়ে কি আপনাদের নতুন একটা শুরু হলো?
নিগার: অবশ্যই। আমাদের বিশ্বকাপে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আইসিসি আমাদের চার বছরের একটা ক্যালেন্ডার দেবে। আমরা অনেক ম্যাচ খেলতে পারব। যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তখন ক্রিকেট বোর্ডও চাইবে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নতি হোক। দলের পাইপলাইনে আরও খেলোয়াড় আসবে। আমাদের ক্ষোভ ছিল, আমরা বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাই না। যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব, তত শিখব।
প্রশ্ন: সুযোগ-সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে পুরুষ ও নারী দলের ব্যবধান নিয়ে আলোচনাটা পুরোনো। এই ব্যবধান এখন কতটা কমেছে?
নিগার: ২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট শুরু হয়, ওই সময়ের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা বা আর্থিক বিষয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ এশিয়া কাপের (চ্যাম্পিয়ন) পর থেকে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। সব সময়ই বিসিবির প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। এখানে তুলনার কিছু নেই যে ছেলেদের ক্রিকেট কী করছে, কোথায় যাচ্ছে...।

প্রশ্ন: তুলনার কারণ, আপনারা সীমিত সুযোগের মধ্যেই বড় দুটি সাফল্য পেয়েছেন। সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আরও ভালো করার সুযোগ বাড়ত কি না?
নিগার: তা তো অবশ্যই। দেখেন, এ পর্যন্ত আমাদের যতটুকু সাফল্য এসেছে, ততটুকুর জন্য বিসিবি সুযোগ-সুবিধা দিয়েই আসছে। হয়তো-বা কম আছে। কিন্তু তারা চেষ্টা করে। আমাদের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হয় না এবং আমরা যে প্রিমিয়ার লিগ খেলি, তা থেকে অত টাকা পাই না। ক্রিকেট বোর্ডকে দায়ী করলে হবে না। কারণ, আমাদের পৃষ্ঠপোষক নেই। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পৃষ্ঠপোষক পেতে অনেক চেষ্টা করে। আমাদের কোনো লিগে বা খেলায় পৃষ্ঠপোষকেরা আগ্রহ দেখায় না। এমনকি সংবাদমাধ্যমও আমাদের খেলা নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিতও নই। আমরা দিনে দিনে ভালো করায় এটা (বৈষম্য) কমে এসেছে এবং আরও কমবে। আপনারা ভালোই জানেন, আমাদের ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির বেতন কত আর ছেলেদের কত। সত্যি বলতে, তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমার কাছে মনে হয়, কর্মই ফল।
প্রশ্ন: মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেট তো এখনো বলার মতো এগোল না।
নিগার: দুই বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে না। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা জাতীয় দলে খেলছি, আর যারা বাইরে (লিগে) খেলছে, তারা হয়তো আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে পারছে। সবাই কিন্তু সচ্ছল পরিবার থেকে আসে না। তাদের জন্য প্রিমিয়ার লিগটা খুব জরুরি। আগে আমাদের তিনটা টুর্নামেন্ট হতো। জেলা ক্রিকেট, বিভাগীয় ক্রিকেট এবং প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট। অনেক বছর ধরে জেলা ক্রিকেট হচ্ছে না। আমি নিজে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে বিভাগে এসে প্রিমিয়ার লিগ খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। হয়তো আমার মতো এমন আরও অনেকে আসতে পারে। এই টুর্নামেন্টগুলো যত হবে, ততই জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হবে।
প্রশ্ন: সামনে কমনওয়েলথ গেমস বাছাই, এরপর বিশ্বকাপ। দুই প্রতিযোগিতা নিয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী থাকবে?
নিগার: প্রত্যেকের প্রথম লক্ষ্য, ফিট থাকা। আপনি খেলতে পারবেন কি না, এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমরা ইভেন্ট ধরে ধরে চিন্তা করছি। সামনে কমনওয়েলথ গেমসে কীভাবে পরিকল্পনা করলে আমরা ইতিবাচক ফল পাব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব। ওটা ঠিকঠাকভাবে হলে এরপর আমাদের প্রধান লক্ষ্য, বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা। কমনওয়েলথে আমরা অবশ্যই কোয়ালিফাই করতে চাই। আর আমরা ইতিমধ্যে একটা ধাপ পেরিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বকাপেও ভালো করা। ওটা এমন একটা মঞ্চ, আমরা ভালো করলে অন্যরা আমাদের সঙ্গে খেলতে চাইবে। আমরা বেশি বেশি ম্যাচ পাব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলও টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে। আপনাদের মধ্যে টেস্ট খেলার মানসিকতা কতটা গড়ে উঠেছে?
নিগার: যখন আমরা টেস্ট মর্যাদা পাই, ওই মুহূর্তে আমরা অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। সাদা পোশাকের চেয়ে সুন্দর ফরম্যাট আর নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে টেস্ট খুব পছন্দ করি। ইচ্ছে আছে খেলার। যখন সুযোগ হবে, তখন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নেব এবং চিন্তা করব।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সাফল্যে আপনাদের ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
নিগার: আমরা ক্রিকেটের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। যখন আপনি মন অন্য দিকে দেবেন তখন মূল জায়গা থেকে সরে আসবেন। আমরা এ বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। এতে পারফর্ম করতে সুবিধা হয় এবং বাড়তি চাপ আসে না। বিষয়গুলো মাথায় আনলেই চাপ বাড়তে থাকে। তখন আপনার মন এবং লক্ষ্য স্থরি থাকে না। পরে দুটোর কিছুই হয় না। এগুলো মাথায় নেওয়া উচিত না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলকে অনেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন এখন আপনার অধীনে খেলছে। এই অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন আর এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
নিগার: আমার মনে হয়, আমার কাজটা অনেক সহজ। দলে যখন সিনিয়ররা থাকবেন, যাঁরা সাবেক অধিনায়ক এবং অনেক অভিজ্ঞ, তাঁরা জানেন, তাঁদের কাজটা কী। যখন দলের খেলোয়াড়েরা আলাদাভাবেই জানে, কার কোন ভূমিকা রাখা দরকার, তখন আপনার কাজটা সহজ হয়ে যায়। যদি তাদের বল দিই, তাদের বলতে হবে না এই পরিস্থিতিতে তাদের করণীয় কী। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়াটা সহজ হয়ে যায়। আসলে নেতৃত্ব বিষয় না, একজন খেলোয়াড় আরেকজন খেলোয়াড়ের কাজটা সহজ করে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দল নিয়ে আপনার স্বপ্নটা কী?
নিগার: বাংলাদেশকে সেরা তিন-চারে দেখতে চাই। যেন বাংলাদেশকে কখনো বাছাইপর্ব খেলতে না হয়।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন সাম্প্রতিক সাফল্যসহ মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কিছুই।
প্রশ্ন: অনেক ধকল পেরিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ, জটিল ভ্রমণ, এখন কোয়ারেন্টিন-জীবন—সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা কেমন?
নিগার সুলতানা: আমরা জানতাম হয়তো দুই দিন লাগবে বাংলাদেশে আসতে। ওমানে এসে শুনলাম, আমাদের নাকি পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আসলে মিশ্র এক অনুভূতি। দেশে ফেরার উত্তেজনা কিংবা বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার আনন্দ—ওমানে সবার মন খারাপ হয়ে গেছে। এখন যদি বাসায় যেতে পারতাম বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে পারতাম, অনেক ভালো লাগত।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এত বড় একটা অর্জনের অনুভূতি নিশ্চয়ই অন্য রকম?
নিগার: সত্যি বলতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। জানতাম, আফ্রিকার অবস্থা ভালো নয় (করোনায়)। ভেবেছিলাম টুর্নামেন্ট বাতিল হবে কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে আমাদের অফিশিয়ালরা জানিয়েছিলেন, অবস্থা যেমনই হোক, খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। সেদিন আমরা লাঞ্চ করছিলাম। যখন আমরা শুনলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম না এটা সত্যি নাকি মজা হচ্ছে! হোটেলের লবিতে সবাই উত্তেজনায় চেঁচামেচি করছিল। এটার জন্য আমরা লম্বা অপেক্ষা করছিলাম। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে জেদ ছিল যে পরেরবার যখন বাছাই খেলতে যাব, যেন বাধা উতরে যেতে পারি। আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
প্রশ্ন: এবার আপনারা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
নিগার: আমরা যখন ওখানে (জিম্বাবুয়ে) যাই, সবার মুখে একটাই কথা ছিল—সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। ভালো খেলার তাড়না ছিল সবার মধ্যে।
প্রশ্ন: এই সাফল্য পেতে নতুন এমন কিছু ছিল, যেটা আপনাদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হয়েছে?
নিগার: এবার সবাই অবদান রেখেছে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর একটা লম্বা বিরতি ছিল (করোনার কারণে)। ওই সময়টায় সবাই নিজের ঘাটতি নিয়ে কাজ করেছে। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি, অনুশীলন করেছি। এ কারণে ওখানে গিয়ে আমাদের সুবিধা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো ছিল।
প্রশ্ন: বড় দল পাকিস্তানকে হারানোর পর ড্রেসিংরুমের চিত্রটা কেমন হয়েছিল, আরেকবার শুনতে চাই।
নিগার: আমাদের লক্ষ্য ছিল বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাব। কেন যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা একটু বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী মেজাজে থাকি। সব ম্যাচেই থাকি। কিন্তু ওদের বিপক্ষে একটু বেশিই। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারটা আমরা মানতে পারি না। আমরা জেতার পর কাঁদি, হারার পরও কাঁদি। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ যখন জিতবেন, তখন ওই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও ভালো করতে পারবেন।
প্রশ্ন: মেয়েদের ক্রিকেটে আগেও বড় সাফল্য এসেছে। এবারও এল। এটা দিয়ে কি আপনাদের নতুন একটা শুরু হলো?
নিগার: অবশ্যই। আমাদের বিশ্বকাপে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আইসিসি আমাদের চার বছরের একটা ক্যালেন্ডার দেবে। আমরা অনেক ম্যাচ খেলতে পারব। যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তখন ক্রিকেট বোর্ডও চাইবে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নতি হোক। দলের পাইপলাইনে আরও খেলোয়াড় আসবে। আমাদের ক্ষোভ ছিল, আমরা বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাই না। যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব, তত শিখব।
প্রশ্ন: সুযোগ-সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে পুরুষ ও নারী দলের ব্যবধান নিয়ে আলোচনাটা পুরোনো। এই ব্যবধান এখন কতটা কমেছে?
নিগার: ২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট শুরু হয়, ওই সময়ের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা বা আর্থিক বিষয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ এশিয়া কাপের (চ্যাম্পিয়ন) পর থেকে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। সব সময়ই বিসিবির প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। এখানে তুলনার কিছু নেই যে ছেলেদের ক্রিকেট কী করছে, কোথায় যাচ্ছে...।

প্রশ্ন: তুলনার কারণ, আপনারা সীমিত সুযোগের মধ্যেই বড় দুটি সাফল্য পেয়েছেন। সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আরও ভালো করার সুযোগ বাড়ত কি না?
নিগার: তা তো অবশ্যই। দেখেন, এ পর্যন্ত আমাদের যতটুকু সাফল্য এসেছে, ততটুকুর জন্য বিসিবি সুযোগ-সুবিধা দিয়েই আসছে। হয়তো-বা কম আছে। কিন্তু তারা চেষ্টা করে। আমাদের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হয় না এবং আমরা যে প্রিমিয়ার লিগ খেলি, তা থেকে অত টাকা পাই না। ক্রিকেট বোর্ডকে দায়ী করলে হবে না। কারণ, আমাদের পৃষ্ঠপোষক নেই। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পৃষ্ঠপোষক পেতে অনেক চেষ্টা করে। আমাদের কোনো লিগে বা খেলায় পৃষ্ঠপোষকেরা আগ্রহ দেখায় না। এমনকি সংবাদমাধ্যমও আমাদের খেলা নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিতও নই। আমরা দিনে দিনে ভালো করায় এটা (বৈষম্য) কমে এসেছে এবং আরও কমবে। আপনারা ভালোই জানেন, আমাদের ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির বেতন কত আর ছেলেদের কত। সত্যি বলতে, তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমার কাছে মনে হয়, কর্মই ফল।
প্রশ্ন: মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেট তো এখনো বলার মতো এগোল না।
নিগার: দুই বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে না। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা জাতীয় দলে খেলছি, আর যারা বাইরে (লিগে) খেলছে, তারা হয়তো আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে পারছে। সবাই কিন্তু সচ্ছল পরিবার থেকে আসে না। তাদের জন্য প্রিমিয়ার লিগটা খুব জরুরি। আগে আমাদের তিনটা টুর্নামেন্ট হতো। জেলা ক্রিকেট, বিভাগীয় ক্রিকেট এবং প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট। অনেক বছর ধরে জেলা ক্রিকেট হচ্ছে না। আমি নিজে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে বিভাগে এসে প্রিমিয়ার লিগ খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। হয়তো আমার মতো এমন আরও অনেকে আসতে পারে। এই টুর্নামেন্টগুলো যত হবে, ততই জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হবে।
প্রশ্ন: সামনে কমনওয়েলথ গেমস বাছাই, এরপর বিশ্বকাপ। দুই প্রতিযোগিতা নিয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী থাকবে?
নিগার: প্রত্যেকের প্রথম লক্ষ্য, ফিট থাকা। আপনি খেলতে পারবেন কি না, এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমরা ইভেন্ট ধরে ধরে চিন্তা করছি। সামনে কমনওয়েলথ গেমসে কীভাবে পরিকল্পনা করলে আমরা ইতিবাচক ফল পাব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব। ওটা ঠিকঠাকভাবে হলে এরপর আমাদের প্রধান লক্ষ্য, বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা। কমনওয়েলথে আমরা অবশ্যই কোয়ালিফাই করতে চাই। আর আমরা ইতিমধ্যে একটা ধাপ পেরিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বকাপেও ভালো করা। ওটা এমন একটা মঞ্চ, আমরা ভালো করলে অন্যরা আমাদের সঙ্গে খেলতে চাইবে। আমরা বেশি বেশি ম্যাচ পাব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলও টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে। আপনাদের মধ্যে টেস্ট খেলার মানসিকতা কতটা গড়ে উঠেছে?
নিগার: যখন আমরা টেস্ট মর্যাদা পাই, ওই মুহূর্তে আমরা অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। সাদা পোশাকের চেয়ে সুন্দর ফরম্যাট আর নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে টেস্ট খুব পছন্দ করি। ইচ্ছে আছে খেলার। যখন সুযোগ হবে, তখন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নেব এবং চিন্তা করব।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সাফল্যে আপনাদের ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
নিগার: আমরা ক্রিকেটের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। যখন আপনি মন অন্য দিকে দেবেন তখন মূল জায়গা থেকে সরে আসবেন। আমরা এ বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। এতে পারফর্ম করতে সুবিধা হয় এবং বাড়তি চাপ আসে না। বিষয়গুলো মাথায় আনলেই চাপ বাড়তে থাকে। তখন আপনার মন এবং লক্ষ্য স্থরি থাকে না। পরে দুটোর কিছুই হয় না। এগুলো মাথায় নেওয়া উচিত না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলকে অনেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন এখন আপনার অধীনে খেলছে। এই অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন আর এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
নিগার: আমার মনে হয়, আমার কাজটা অনেক সহজ। দলে যখন সিনিয়ররা থাকবেন, যাঁরা সাবেক অধিনায়ক এবং অনেক অভিজ্ঞ, তাঁরা জানেন, তাঁদের কাজটা কী। যখন দলের খেলোয়াড়েরা আলাদাভাবেই জানে, কার কোন ভূমিকা রাখা দরকার, তখন আপনার কাজটা সহজ হয়ে যায়। যদি তাদের বল দিই, তাদের বলতে হবে না এই পরিস্থিতিতে তাদের করণীয় কী। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়াটা সহজ হয়ে যায়। আসলে নেতৃত্ব বিষয় না, একজন খেলোয়াড় আরেকজন খেলোয়াড়ের কাজটা সহজ করে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দল নিয়ে আপনার স্বপ্নটা কী?
নিগার: বাংলাদেশকে সেরা তিন-চারে দেখতে চাই। যেন বাংলাদেশকে কখনো বাছাইপর্ব খেলতে না হয়।

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
২ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।
দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।
দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
২ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।
প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।
একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।
সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।
প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।
একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।
সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
২ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।
সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।
মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।
সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।
মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
২ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে