নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এবার জাতীয় দলের ব্যর্থতা এবং খেলোয়াড়দের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে জাতীয় লিগের পারফরম্যান্স আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের মধ্যে ব্যবধান নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা।
জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে আজ বিসিবিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, সবাই এখন টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত। জাতীয় লিগ বা ঘরোয়া চার দিনের ক্রিকেটকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অথচ জাতীয় লিগকে আমরা ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর বলি। এখান থেকে খেলোয়াড়দের তৈরি হতে হয়।’
জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘জাতীয় লিগ আমাদের ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর হলেও, জাতীয় লিগে পারফর্ম করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা এক নয়। জাতীয় লিগের একটি ম্যাচে একজন খেলোয়াড় ১০০ রান করতে পারে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার পারফরম্যান্সটা সেভাবে থাকছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় লিগের মান আন্তর্জাতিক ম্যাচের মানের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব নয়, যদিও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ক্রিকেটারদের গেম প্ল্যান এবং মানসিকতা বদলাতে পারলে সেই ঘাটতি কিছুটা কমানো সম্ভব।’ রাজ্জাক বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘জাতীয় লিগ, কাউন্টি ক্রিকেট কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।’
টি-টোয়েন্টির প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁক বাড়ছে বাংলাদেশে ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় অনুষ্ঠিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) থেকে বেশ ভালো আয় হলেও খেলোয়াড়দের একটা বড় অংশ এখনো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দিকে বেশি ঝুঁকে আছে।
বিসিবি নির্বাচক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রতি ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত ঝোঁক আমাদের চার দিনের ম্যাচে মনোযোগী হতে বাধা সৃষ্টি করছে। যদিও আমি মনে করি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে বেশি আয় করা সম্ভব। তারপরও টি-টোয়েন্টির প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। চার দিনের ম্যাচে খেলা ক্রিকেটাররা যে মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি পান, তা টেস্ট ক্রিকেটে তাদের অনেক উপকারে আসে। কিন্তু বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটের ফোকাস পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিকে চলে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক তরুণ ক্রিকেটার ঘরোয়া লিগে ভালো পারফর্ম করছেন। কিন্তু তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য আরও উন্নতি প্রয়োজন। এ নিয়ে রাজ্জাকের কথা, ‘এখনো আমাদের বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, যারা খুবই প্রতিশ্রুতিশীল। তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মান অনুযায়ী প্রস্তুত হতে আরও সময় লাগবে।’
এ ছাড়া, তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় লিগে অনেক ক্রিকেটার ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, কিন্তু তাদের সবার জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সহজ নয়। কারণ, এক বা দুইটি টুর্নামেন্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের উচিত তরুণ ক্রিকেটারদের পর্যবেক্ষণে রাখা এবং তাদের আরও উন্নতি করার সুযোগ দেওয়া।’
এদিকে, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রাজশাহীর হয়ে জাতীয় লিগে খেলার সুযোগ পাননি। ফলে আসছে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সুযোগের বিষয়েও রাজ্জাক মন্তব্য করে বলেন, ‘বিভাগীয় কোচ ও ম্যানেজার আমাদের কাছে চেয়েছিল যে, সাব্বিরকে চার দিনের ম্যাচে যেন না রাখা হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, সাব্বির অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সুযোগ পাবে।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এবার জাতীয় দলের ব্যর্থতা এবং খেলোয়াড়দের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে জাতীয় লিগের পারফরম্যান্স আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের মধ্যে ব্যবধান নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা।
জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে আজ বিসিবিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, সবাই এখন টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত। জাতীয় লিগ বা ঘরোয়া চার দিনের ক্রিকেটকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অথচ জাতীয় লিগকে আমরা ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর বলি। এখান থেকে খেলোয়াড়দের তৈরি হতে হয়।’
জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘জাতীয় লিগ আমাদের ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর হলেও, জাতীয় লিগে পারফর্ম করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা এক নয়। জাতীয় লিগের একটি ম্যাচে একজন খেলোয়াড় ১০০ রান করতে পারে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার পারফরম্যান্সটা সেভাবে থাকছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় লিগের মান আন্তর্জাতিক ম্যাচের মানের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব নয়, যদিও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ক্রিকেটারদের গেম প্ল্যান এবং মানসিকতা বদলাতে পারলে সেই ঘাটতি কিছুটা কমানো সম্ভব।’ রাজ্জাক বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘জাতীয় লিগ, কাউন্টি ক্রিকেট কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।’
টি-টোয়েন্টির প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁক বাড়ছে বাংলাদেশে ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় অনুষ্ঠিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) থেকে বেশ ভালো আয় হলেও খেলোয়াড়দের একটা বড় অংশ এখনো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দিকে বেশি ঝুঁকে আছে।
বিসিবি নির্বাচক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রতি ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত ঝোঁক আমাদের চার দিনের ম্যাচে মনোযোগী হতে বাধা সৃষ্টি করছে। যদিও আমি মনে করি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে বেশি আয় করা সম্ভব। তারপরও টি-টোয়েন্টির প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। চার দিনের ম্যাচে খেলা ক্রিকেটাররা যে মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি পান, তা টেস্ট ক্রিকেটে তাদের অনেক উপকারে আসে। কিন্তু বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটের ফোকাস পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিকে চলে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক তরুণ ক্রিকেটার ঘরোয়া লিগে ভালো পারফর্ম করছেন। কিন্তু তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য আরও উন্নতি প্রয়োজন। এ নিয়ে রাজ্জাকের কথা, ‘এখনো আমাদের বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, যারা খুবই প্রতিশ্রুতিশীল। তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মান অনুযায়ী প্রস্তুত হতে আরও সময় লাগবে।’
এ ছাড়া, তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় লিগে অনেক ক্রিকেটার ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, কিন্তু তাদের সবার জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সহজ নয়। কারণ, এক বা দুইটি টুর্নামেন্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের উচিত তরুণ ক্রিকেটারদের পর্যবেক্ষণে রাখা এবং তাদের আরও উন্নতি করার সুযোগ দেওয়া।’
এদিকে, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রাজশাহীর হয়ে জাতীয় লিগে খেলার সুযোগ পাননি। ফলে আসছে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সুযোগের বিষয়েও রাজ্জাক মন্তব্য করে বলেন, ‘বিভাগীয় কোচ ও ম্যানেজার আমাদের কাছে চেয়েছিল যে, সাব্বিরকে চার দিনের ম্যাচে যেন না রাখা হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, সাব্বির অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সুযোগ পাবে।’
সমর্থকদের বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে জরিমানা ও তিরস্কার শুনতে হয়েছে রোমানিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এফআরএফ)। রোমানিয়ান সমর্থকদের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে
১ ঘণ্টা আগেকোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল আর থাকছে না এবারের ফেডারেশন কাপে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের ধাঁচে কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর পার করেই ফাইনালের টিকিট কাটতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে।
২ ঘণ্টা আগে