নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রানের ফুলঝুরি নেই বললেই চলে। এবারের বিপিএলে এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচের ৪ টিতে রান দেড় শ ছড়ায়নি। বিদেশি ক্রিকেটারদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা টি-টোয়েন্টি আমেজ পাওয়া গেলেও স্ট্রাইক রেট বাড়াতে পারছেন না স্থানীয় ক্রিকেটাররা। আজ মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ঢাকার ম্যাচেও বড় স্কোর। কেউ খেলতে পারেননি বড় ইনিংসও। এমন ম্যাচে ঢাকাকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রান তুলে ঢাকা। ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। শুভাগত হোমের দল ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে করে ১৩৭ রান। মাঝে একটি ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হেরেছে তারা। ঢাকাও উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে পেয়েছিল দারুণ জয়।
লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের শুরুটা অবশ্য সুবিধার ছিল না। ২৮ রানে হারায় দুটি উইকেট। ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দো (১২) এই ম্যাচেও হয়েছেন ব্যর্থ। তিন নম্বরে নামা ইমরানুজ্জামানও ফেরেন ১ রানে। দুটি উইকেটই নিয়েছেন ঢাকার পেসার শরীফুল ইসলাম।
তৃতীয় উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপু ও তানজিদ হাসান তামিমের ৫৩ রানের জুটিতে বিপর্যয়ে সামলে ওঠে চট্টগ্রাম। যদিও পরে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ৪৯ রানে ফিরেছেন তামিম। এর জন্য খেলেছেন তিনি ৪০ বল। দিপু ৩১ বলে করেছেন ২২ রান। শেষ দিকে আফগান ব্যাটার নাজিবউল্লাহ ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন।
উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লাকে হারিয়ে চমক জাগিয়ে বিপিএল শুরু করেছিল ঢাকা। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের ব্যাটিং মোটেই দুর্দান্ত ছিল না। প্রথম ৪ ব্যাটারই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে। পাওয়ারপ্লেতে করতে পারে ২ উইকেটে ২৫ রান। তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে তেমন বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারছে না ঢাকা।
এরপরও ঢাকা ১৩৬ রান সংগ্রহ করেছে কেবল ‘কনকাশন’ বিকল্প হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা লাসিত ক্রসপুলের কল্যাণে। টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত। বিপিএলের আগের চারটি ম্যাচের ফল ছিল এমন—যারা পরে ব্যাটিং করেছে তারাই ম্যাচ জিতেছে। তাই শুভাগতও সেই পথে হাঁটলেন।
প্রথম ম্যাচ জিতে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ঢাকার ব্যাটাররা। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ঘটে বিপত্তি। পেসার আল আমিন হোসেনের একটা বল ইনসাইড এজ হয়ে ঢাকার ওপেনার দানুশকা গুনাতিলাকার (১) হেলমেটে এসে লাগে, লঙ্কান ব্যাটারের চোয়াল থেকে রক্ত বের হতেও দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ৮, সাইফ হাসান ৯, অ্যালেক্স রস ১১ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফেরেন রানে খাতা খোলার আগেই। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মূলত লড়াইয়ের পুঁজিটা পায় ঢাকা। ৪৯ বলে ৭৩ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েছেন ইরফান শুক্কুর এবং গুনাতিলাকার বিকল্প হিসেবে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ক্রসপুলে।
এই বিপিএলে ক্রসপুলেই প্রথম কনকাশন খেলোয়াড়। যদিও বিপিএলের ইতিহাসে এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে ২০২২ সালের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের আন্দ্রে ফ্লেচারের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন সিকান্দার রাজা।
ফিফটির পথে হাঁটলেও কার্টিস ক্যাম্ফারের শিকার হন ক্রসপুলে। ৩১ বলে ৪৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। ২৬ বলে ২৭ রান করেছেন শুক্কুর। শেষ দিকে তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায় দুর্দান্ত ঢাকা। চট্টগ্রামের হয়ে বিলাল খান ও আল আমিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রানের ফুলঝুরি নেই বললেই চলে। এবারের বিপিএলে এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচের ৪ টিতে রান দেড় শ ছড়ায়নি। বিদেশি ক্রিকেটারদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা টি-টোয়েন্টি আমেজ পাওয়া গেলেও স্ট্রাইক রেট বাড়াতে পারছেন না স্থানীয় ক্রিকেটাররা। আজ মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ঢাকার ম্যাচেও বড় স্কোর। কেউ খেলতে পারেননি বড় ইনিংসও। এমন ম্যাচে ঢাকাকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রান তুলে ঢাকা। ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। শুভাগত হোমের দল ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে করে ১৩৭ রান। মাঝে একটি ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হেরেছে তারা। ঢাকাও উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে পেয়েছিল দারুণ জয়।
লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের শুরুটা অবশ্য সুবিধার ছিল না। ২৮ রানে হারায় দুটি উইকেট। ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দো (১২) এই ম্যাচেও হয়েছেন ব্যর্থ। তিন নম্বরে নামা ইমরানুজ্জামানও ফেরেন ১ রানে। দুটি উইকেটই নিয়েছেন ঢাকার পেসার শরীফুল ইসলাম।
তৃতীয় উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপু ও তানজিদ হাসান তামিমের ৫৩ রানের জুটিতে বিপর্যয়ে সামলে ওঠে চট্টগ্রাম। যদিও পরে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ৪৯ রানে ফিরেছেন তামিম। এর জন্য খেলেছেন তিনি ৪০ বল। দিপু ৩১ বলে করেছেন ২২ রান। শেষ দিকে আফগান ব্যাটার নাজিবউল্লাহ ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন।
উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লাকে হারিয়ে চমক জাগিয়ে বিপিএল শুরু করেছিল ঢাকা। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের ব্যাটিং মোটেই দুর্দান্ত ছিল না। প্রথম ৪ ব্যাটারই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে। পাওয়ারপ্লেতে করতে পারে ২ উইকেটে ২৫ রান। তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে তেমন বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারছে না ঢাকা।
এরপরও ঢাকা ১৩৬ রান সংগ্রহ করেছে কেবল ‘কনকাশন’ বিকল্প হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা লাসিত ক্রসপুলের কল্যাণে। টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত। বিপিএলের আগের চারটি ম্যাচের ফল ছিল এমন—যারা পরে ব্যাটিং করেছে তারাই ম্যাচ জিতেছে। তাই শুভাগতও সেই পথে হাঁটলেন।
প্রথম ম্যাচ জিতে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ঢাকার ব্যাটাররা। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ঘটে বিপত্তি। পেসার আল আমিন হোসেনের একটা বল ইনসাইড এজ হয়ে ঢাকার ওপেনার দানুশকা গুনাতিলাকার (১) হেলমেটে এসে লাগে, লঙ্কান ব্যাটারের চোয়াল থেকে রক্ত বের হতেও দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ৮, সাইফ হাসান ৯, অ্যালেক্স রস ১১ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফেরেন রানে খাতা খোলার আগেই। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মূলত লড়াইয়ের পুঁজিটা পায় ঢাকা। ৪৯ বলে ৭৩ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েছেন ইরফান শুক্কুর এবং গুনাতিলাকার বিকল্প হিসেবে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ক্রসপুলে।
এই বিপিএলে ক্রসপুলেই প্রথম কনকাশন খেলোয়াড়। যদিও বিপিএলের ইতিহাসে এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে ২০২২ সালের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের আন্দ্রে ফ্লেচারের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন সিকান্দার রাজা।
ফিফটির পথে হাঁটলেও কার্টিস ক্যাম্ফারের শিকার হন ক্রসপুলে। ৩১ বলে ৪৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। ২৬ বলে ২৭ রান করেছেন শুক্কুর। শেষ দিকে তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায় দুর্দান্ত ঢাকা। চট্টগ্রামের হয়ে বিলাল খান ও আল আমিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
২৫ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেইচ্ছে প্রকাশ করেও সাকিব আল হাসান মিরপুরে খেলতে পারেননি তাঁর বিদায়ী টেস্ট ৷ দুবাইয়ে এসেও ঢাকায় আসতে পারেননি ৷ আজ বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেও।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
৩ ঘণ্টা আগে