সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়, ‘চোকার’ তকমা থেকে বেরিয়ে এসে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ওঠা, ২০১৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শিরোপায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের চুম্বন কিংবা একই বছর ‘অবিভক্ত’ জার্মান ফুটবল দলের প্রথম বিশ্ব জয়–যদি বলা হয় সব সাফল্যই একসূত্রে গাঁথা; তবে ভ্রু কুচকাতে পারেন যে কেউ।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই সাফল্যগুলোকে এক বিন্দুতে মেলানোর কারিগর মাইক হর্ন। বিধাতা যেন ক্রীড়াজগতের ‘সৌভাগ্যের দূত’ বানিয়ে পাঠিয়েছেন তাঁকে। আড়াল থেকে তিনি খেলোয়াড়দের যেভাবে প্রেরণা জোগান, তাতে পরাজয় ভীতি নিমেষে দূর হয়ে যায়।
ক্রীড়াঙ্গনে একটা কথা আজ প্রায় চিরন্তন সত্য–হর্ন যে দলের দায়িত্ব নেন, তাকে চ্যাম্পিয়ন না বানিয়ে ছাড়েন না! অথচ এক যুগ আগেও খেলার দুনিয়ায় অপরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। এই ভুবনে তাঁর জড়িয়ে পড়াটাও বেশ বিস্ময়জাগানিয়া।
১৯৬৬ সালের ১৬ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জন্ম মাইক হর্নের। অনুসন্ধানকারী, দুঃসাহসিক অভিযাত্রী, প্রেরণাদায়ী বক্তা হিসেবেই তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ২০০১ সালে পুরো বিষুবরেখা ঘুরে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে তখন থেকে।
মা–বাবা দুজনেই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সবার চেয়ে আলাদা হবেন বলেই হয়তো উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন একেবারে ভিন্নধর্মী বিষয় মানব আন্দোলন বিজ্ঞানে। বাবার আরেকটি পরিচয় ছিল। ছিলেন রাগবি খেলোয়াড়। বাবাকে খেলার মাঠে দেখে একদিন নিজেও বোধ হয় ক্রীড়াঙ্গনে যুক্ত হতে চাইতেন। ২০১০ সালে হর্নকে সেই সুযোগটা করে দেন গ্যারি কারস্টেন। ভারতকে বিশ্বকাপের স্বাদ পাইয়ে দেওয়া এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ শচীন টেন্ডুলকার–মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মনোবল চাঙা করতে ডাকেন প্রিয় বন্ধুকে।
বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে কালক্ষেপণ করেননি হর্ন। দলের সঙ্গে যোগ দেন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখানে বীরেন্দর শেবাগ–হরভজন সিংদের অনুশীলন দেখেই দুদিন পার করে দেন হর্ন। এরপরই দেখাতে শুরু করেন নিজের জাদু। প্রথমবার ধোনিদের ক্লাস নিতে গিয়ে একটিই প্রশ্ন করেন, ‘ তোমরা কেন বিশ্বকাপ জিততে চাও?’
কারও কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় টানা ১২ ঘণ্টা একই প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন হর্ন। শেষমেশ বিরাট কোহলির কথায় আশ্বস্ত হন তিনি, ‘আমরা শচীন টেন্ডুলকারের জন্য বিশ্বকাপ জিততে চাই। এটিই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।’
ঠিক সেই মুহূর্তে সবার হাতে হাত রেখে শপথ করান হর্ন, ‘তবে তাই হোক। তোমরা যেন কোনোভাবেই লক্ষ্যচ্যুত না হও।’
হর্নের সেই অনুপ্রেরণাদায়ী ক্লাসের পরেই বদলে যায় ভারতীয় দল। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জেতে তারা।
ভারতকে পরম গৌরবে গৌরবান্বিত করে কারস্টেন ফেরেন স্বদেশে। কোচ হন প্রোটিয়াদের। ২০১২ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে কারস্টেন ফের শরণাপন্ন হন হর্নের। হর্নের সান্নিধ্য পেয়ে গ্রায়েম স্মিথ–জ্যাক ক্যালিসরাও যেন খোলস ছেড়ে বের হন। ইংলিশদের তাদেরই মাটিতে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
হর্নের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৪ সালে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে এনেছিল মূলত ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ভূত’ তাড়ানোর জন্য। হর্নের সেই পাঠশালার অন্যতম ছাত্র ছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তা হর্ন সাকিবদের এমন টোটকা দিলেন যে, কলকাতার কাছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথমবার কোনো মৌসুমে দুবার ধরাশায়ী তো হলোই, সঙ্গে টানা ৯ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয়বার আইপিএল শিরোপা নিজেদের করে নিল!
ওই একই বছর ফুটবল বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে হর্নকে ‘ভাড়া’ করল জার্মানি। মিরোস্লাভ ক্লোসা–মেসুত ওজিলদের নিয়ে তিনি গেলেন তাঁর চেনা জগতে। কখনো নদী, কখনো পর্বত আবার কখনো বনাঞ্চলে। ব্রাজিলের মাটি থেকে জোয়াকিম লোর শিষ্যদের বিশ্বকাপ নিয়ে ফিরতে হবে বলেই এমন দুর্গম পথে যাত্রা।
হর্নের অনুপ্রেরণায় জার্মানরা ২০১৪ বিশ্ব আসরে যে কীর্তি গড়েছে, সেই গল্পটা তো সবারই জানা।
ক্রীড়াঙ্গনে একটা শিরোপার আক্ষেপ তো কত দলেরই বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সেই শূন্যতাকে পরিপূর্ণতায় রূপ দিতে চান? তাহলে সৌভাগ্যের দূত মাইক হর্নকে দলে ভেড়াতে আর দেরি কেন?
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়, ‘চোকার’ তকমা থেকে বেরিয়ে এসে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ওঠা, ২০১৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শিরোপায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের চুম্বন কিংবা একই বছর ‘অবিভক্ত’ জার্মান ফুটবল দলের প্রথম বিশ্ব জয়–যদি বলা হয় সব সাফল্যই একসূত্রে গাঁথা; তবে ভ্রু কুচকাতে পারেন যে কেউ।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই সাফল্যগুলোকে এক বিন্দুতে মেলানোর কারিগর মাইক হর্ন। বিধাতা যেন ক্রীড়াজগতের ‘সৌভাগ্যের দূত’ বানিয়ে পাঠিয়েছেন তাঁকে। আড়াল থেকে তিনি খেলোয়াড়দের যেভাবে প্রেরণা জোগান, তাতে পরাজয় ভীতি নিমেষে দূর হয়ে যায়।
ক্রীড়াঙ্গনে একটা কথা আজ প্রায় চিরন্তন সত্য–হর্ন যে দলের দায়িত্ব নেন, তাকে চ্যাম্পিয়ন না বানিয়ে ছাড়েন না! অথচ এক যুগ আগেও খেলার দুনিয়ায় অপরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। এই ভুবনে তাঁর জড়িয়ে পড়াটাও বেশ বিস্ময়জাগানিয়া।
১৯৬৬ সালের ১৬ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জন্ম মাইক হর্নের। অনুসন্ধানকারী, দুঃসাহসিক অভিযাত্রী, প্রেরণাদায়ী বক্তা হিসেবেই তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ২০০১ সালে পুরো বিষুবরেখা ঘুরে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে তখন থেকে।
মা–বাবা দুজনেই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সবার চেয়ে আলাদা হবেন বলেই হয়তো উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন একেবারে ভিন্নধর্মী বিষয় মানব আন্দোলন বিজ্ঞানে। বাবার আরেকটি পরিচয় ছিল। ছিলেন রাগবি খেলোয়াড়। বাবাকে খেলার মাঠে দেখে একদিন নিজেও বোধ হয় ক্রীড়াঙ্গনে যুক্ত হতে চাইতেন। ২০১০ সালে হর্নকে সেই সুযোগটা করে দেন গ্যারি কারস্টেন। ভারতকে বিশ্বকাপের স্বাদ পাইয়ে দেওয়া এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ শচীন টেন্ডুলকার–মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মনোবল চাঙা করতে ডাকেন প্রিয় বন্ধুকে।
বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে কালক্ষেপণ করেননি হর্ন। দলের সঙ্গে যোগ দেন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখানে বীরেন্দর শেবাগ–হরভজন সিংদের অনুশীলন দেখেই দুদিন পার করে দেন হর্ন। এরপরই দেখাতে শুরু করেন নিজের জাদু। প্রথমবার ধোনিদের ক্লাস নিতে গিয়ে একটিই প্রশ্ন করেন, ‘ তোমরা কেন বিশ্বকাপ জিততে চাও?’
কারও কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় টানা ১২ ঘণ্টা একই প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন হর্ন। শেষমেশ বিরাট কোহলির কথায় আশ্বস্ত হন তিনি, ‘আমরা শচীন টেন্ডুলকারের জন্য বিশ্বকাপ জিততে চাই। এটিই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।’
ঠিক সেই মুহূর্তে সবার হাতে হাত রেখে শপথ করান হর্ন, ‘তবে তাই হোক। তোমরা যেন কোনোভাবেই লক্ষ্যচ্যুত না হও।’
হর্নের সেই অনুপ্রেরণাদায়ী ক্লাসের পরেই বদলে যায় ভারতীয় দল। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জেতে তারা।
ভারতকে পরম গৌরবে গৌরবান্বিত করে কারস্টেন ফেরেন স্বদেশে। কোচ হন প্রোটিয়াদের। ২০১২ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে কারস্টেন ফের শরণাপন্ন হন হর্নের। হর্নের সান্নিধ্য পেয়ে গ্রায়েম স্মিথ–জ্যাক ক্যালিসরাও যেন খোলস ছেড়ে বের হন। ইংলিশদের তাদেরই মাটিতে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
হর্নের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৪ সালে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে এনেছিল মূলত ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ভূত’ তাড়ানোর জন্য। হর্নের সেই পাঠশালার অন্যতম ছাত্র ছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তা হর্ন সাকিবদের এমন টোটকা দিলেন যে, কলকাতার কাছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথমবার কোনো মৌসুমে দুবার ধরাশায়ী তো হলোই, সঙ্গে টানা ৯ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয়বার আইপিএল শিরোপা নিজেদের করে নিল!
ওই একই বছর ফুটবল বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে হর্নকে ‘ভাড়া’ করল জার্মানি। মিরোস্লাভ ক্লোসা–মেসুত ওজিলদের নিয়ে তিনি গেলেন তাঁর চেনা জগতে। কখনো নদী, কখনো পর্বত আবার কখনো বনাঞ্চলে। ব্রাজিলের মাটি থেকে জোয়াকিম লোর শিষ্যদের বিশ্বকাপ নিয়ে ফিরতে হবে বলেই এমন দুর্গম পথে যাত্রা।
হর্নের অনুপ্রেরণায় জার্মানরা ২০১৪ বিশ্ব আসরে যে কীর্তি গড়েছে, সেই গল্পটা তো সবারই জানা।
ক্রীড়াঙ্গনে একটা শিরোপার আক্ষেপ তো কত দলেরই বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সেই শূন্যতাকে পরিপূর্ণতায় রূপ দিতে চান? তাহলে সৌভাগ্যের দূত মাইক হর্নকে দলে ভেড়াতে আর দেরি কেন?
আইপিএলের মতো ‘হটকেক’ টুর্নামেন্ট নিয়ে আগ্রহ থাকে বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারেরই। এবারেরটা যেহেতু মেগা নিলাম ছিল, তাতে অন্যান্যদের মতো বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেনদের কেউই কোনো দল পাননি ২০২৫ আইপিএলে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই এক বছর ধরে। মাশরাফি বিন মর্তুজা তো নেই ২০২০ সাল থেকে। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরা কোনো না কোনো সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেবসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় খেলতে চায় না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের বরাবর লেখা এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে দর্শকনন্দিত ক্লাবটি।
১২ ঘণ্টা আগে২০২৩ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ধাক্কা লাগছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএল টি-টোয়েন্টি)। ২০২৫ সালেও সমান্তরালে চলবে বিপিএল ও আইএল টি-টোয়েন্টি।
১৩ ঘণ্টা আগে