নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চার ইনিংস মিলিয়ে ১৭৮.১ ওভার খেলা হয়েছে। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, টেস্টে দুই দিনে যে ১৮০ ওভার খেলা হওয়া সেটুকুও হয়নি। এর আগে মিরপুরে নিজেদের মরণফাঁদে নিজেরাই শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দলের শক্তিমত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশ বানিয়েছিল স্পিন উইকেট। কিন্তু এজাজ প্যাটেল-মিচেল স্যান্টনারদের ঘূর্ণি জাদুতে উল্টো সেই উইকেটে নিজেরাই ধরশায়ী হলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ তৈরি করেও সেটি সম্ভব হলো না। সিলেটে প্রথম টেস্ট জয়ের পর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হারল ৪ উইকেটে।
নিজেদের স্পিন ফাঁদে অনেকবারই পড়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর ঘূর্ণি ক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে ২০০ রান পর্যন্ত যেতে পারেনি কোনো দল। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথাগত টেস্টসুলভ ব্যাটিং করা আরও দুর্বোধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। প্যাটেল ও স্যান্টনারের বিষাক্ত স্পিনে হাঁসফাঁস করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৪ রানে।
৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। ফলে ঢাকা টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে কেবল ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পারে স্বাগতিকেরা। এক জাকির হাসান ছাড়া বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। নবম উইকেট হিসেবে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৮৬ বলে ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
নিউজিল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু মিরপুরের ঘূর্ণি ক্ষেত্রে এই রান তাড়াও সফরকারীদের জন্য রীতিমতো দুর্বোধ্য করে তোলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ৬৯ রানে কিউইদের ৬ উইকেট ফিরিয়ে জয়ের আশাও জাগিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজরা।
কিন্তু সপ্তম উইকেটে এবারও গলার কাটা হয়ে যান গ্লেন ফিলিপস। প্রথম ইনিংসেও যখন বাংলাদেশ লিডের আশা করছিল, তখন ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে উল্টো নিউজিল্যান্ডকে লিড পাইয়ে দেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে এক এক করে বিশেষ ব্যাটাররা যখন ফিরলেন, তখন ৭ নম্বরে নেমে তিনি (ফিলিপস) স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। দুই টেস্টের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
সপ্তম উইকেটে ৭০ রানে দারুণ এক জুটি গড়েন ফিলিপস ও স্যান্টনার। ৪০ রানে ফিলিপস ও ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। এর আগে টম লাথাম ২৫, কেন উইলিয়ামসন ১১ ও ড্যারিল মিচেল ফিরেছেন ১৯ রানে। এ ছাড়া বাকি ব্যাটাররা উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি ও তাইজুল নিয়েছেন দু টি উইকেট।০
তার আগে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৮ রান। কিউইদের ২০০-২২০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আজ চতুর্থ দিনও ভালো শুরু করেছিল তারা। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও জাকির ৩৩ রানের একটি জুটিও গড়েন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল। প্যাটেলের বড় টার্ন করা ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগেনি, সরাসরি বল প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলতে সময় নেননি আম্পায়ার। ১০ রানে ফেরেন মুমিনুল।
এরপরই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস। দ্রুত ফেরেন মুশফিকুর রহিমও (৯)। টিম সাউদির জায়গায় বোলিং আক্রমণে এসেই মুশফিককে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। মুশফিকের ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে স্লিপে ড্যারিল মিচেলের হাতে। ৬ নম্বর ব্যাটিংয়ে নামা শাহাদাত হোসেন দিপুকেও (৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে আউট করেন স্যান্টনার। জাকিরের পরামর্শে রিভিউ নেন দিপু। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পে আঘাত করত। তাই আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
এরপরে এক এক করে ফেরেন মিরাজ (৩), নুরুল হাসান সোহান (০), নাইম হাসান (৯) ও শরীফুল ইসলাম (৮)। শেষ সাত ব্যাটারের মধ্যে ছয়জনই দুই অঙ্কের রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। শেষ দিকে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ২ রান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন ১৫ রানে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে প্যাটেল ৬টি ও স্যান্টনার ৩টি উইকেট নিয়েছেন।
চার ইনিংস মিলিয়ে ১৭৮.১ ওভার খেলা হয়েছে। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, টেস্টে দুই দিনে যে ১৮০ ওভার খেলা হওয়া সেটুকুও হয়নি। এর আগে মিরপুরে নিজেদের মরণফাঁদে নিজেরাই শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দলের শক্তিমত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশ বানিয়েছিল স্পিন উইকেট। কিন্তু এজাজ প্যাটেল-মিচেল স্যান্টনারদের ঘূর্ণি জাদুতে উল্টো সেই উইকেটে নিজেরাই ধরশায়ী হলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ তৈরি করেও সেটি সম্ভব হলো না। সিলেটে প্রথম টেস্ট জয়ের পর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হারল ৪ উইকেটে।
নিজেদের স্পিন ফাঁদে অনেকবারই পড়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর ঘূর্ণি ক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে ২০০ রান পর্যন্ত যেতে পারেনি কোনো দল। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথাগত টেস্টসুলভ ব্যাটিং করা আরও দুর্বোধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। প্যাটেল ও স্যান্টনারের বিষাক্ত স্পিনে হাঁসফাঁস করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৪ রানে।
৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। ফলে ঢাকা টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে কেবল ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পারে স্বাগতিকেরা। এক জাকির হাসান ছাড়া বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। নবম উইকেট হিসেবে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৮৬ বলে ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
নিউজিল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু মিরপুরের ঘূর্ণি ক্ষেত্রে এই রান তাড়াও সফরকারীদের জন্য রীতিমতো দুর্বোধ্য করে তোলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ৬৯ রানে কিউইদের ৬ উইকেট ফিরিয়ে জয়ের আশাও জাগিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজরা।
কিন্তু সপ্তম উইকেটে এবারও গলার কাটা হয়ে যান গ্লেন ফিলিপস। প্রথম ইনিংসেও যখন বাংলাদেশ লিডের আশা করছিল, তখন ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে উল্টো নিউজিল্যান্ডকে লিড পাইয়ে দেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে এক এক করে বিশেষ ব্যাটাররা যখন ফিরলেন, তখন ৭ নম্বরে নেমে তিনি (ফিলিপস) স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। দুই টেস্টের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
সপ্তম উইকেটে ৭০ রানে দারুণ এক জুটি গড়েন ফিলিপস ও স্যান্টনার। ৪০ রানে ফিলিপস ও ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। এর আগে টম লাথাম ২৫, কেন উইলিয়ামসন ১১ ও ড্যারিল মিচেল ফিরেছেন ১৯ রানে। এ ছাড়া বাকি ব্যাটাররা উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি ও তাইজুল নিয়েছেন দু টি উইকেট।০
তার আগে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৮ রান। কিউইদের ২০০-২২০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আজ চতুর্থ দিনও ভালো শুরু করেছিল তারা। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও জাকির ৩৩ রানের একটি জুটিও গড়েন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল। প্যাটেলের বড় টার্ন করা ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগেনি, সরাসরি বল প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলতে সময় নেননি আম্পায়ার। ১০ রানে ফেরেন মুমিনুল।
এরপরই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস। দ্রুত ফেরেন মুশফিকুর রহিমও (৯)। টিম সাউদির জায়গায় বোলিং আক্রমণে এসেই মুশফিককে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। মুশফিকের ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে স্লিপে ড্যারিল মিচেলের হাতে। ৬ নম্বর ব্যাটিংয়ে নামা শাহাদাত হোসেন দিপুকেও (৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে আউট করেন স্যান্টনার। জাকিরের পরামর্শে রিভিউ নেন দিপু। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পে আঘাত করত। তাই আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
এরপরে এক এক করে ফেরেন মিরাজ (৩), নুরুল হাসান সোহান (০), নাইম হাসান (৯) ও শরীফুল ইসলাম (৮)। শেষ সাত ব্যাটারের মধ্যে ছয়জনই দুই অঙ্কের রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। শেষ দিকে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ২ রান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন ১৫ রানে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে প্যাটেল ৬টি ও স্যান্টনার ৩টি উইকেট নিয়েছেন।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
৩ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নেপালের জন্য সেটা ছিল ‘প্রতিশোধের’ মিশন। রঙ্গশালায় শেষ হাসি হেসেছে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। নারী সাফের দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চায় বাংলাদেশ।
৪ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বহু বাধা। কখনো দল নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কারও বাগড়া, কখনো ড্রেসিংরুমে অশান্তির আগুন। মুখ বুঝেই সব সয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত গতকাল সাবিনারা ট্রফি হাতে নেওয়ার পরই বলে দিলেন গুডবাই। যদিও এই ইংলিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম
৫ ঘণ্টা আগেদুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আবারও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতবারের মতো এবারও সাবিনা খাতুনদের বাংলাদেশ দলকে বরণ করা হবে ছাদখোলা বাসে।
৫ ঘণ্টা আগে