চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা কীভাবে রাখতে হয়, সেটা শহীদুল ইসলামকে না দেখে বোঝার উপায় নেই। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারের বিশাল চাপ সামলেছেন দারুণভাবে। রাজশাহীর বিপক্ষে ঢাকা মহানগরকে এনে দিয়েছেন রুদ্ধশ্বাস এক জয়।

এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আজ ঢাকার এক দল জিতলেও একই দিনে হেরেছে আরেক ঢাকা। সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে রংপুরের কাছে পাত্তাই পায়নি ঢাকা। আলোক স্বল্পতার কারণে ঢাকার ইনিংসের দৈর্ঘ্য ২০ ওভার থেকে কমে ১৭ ওভারে এসেছে। ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ঢাকাকে ২১ রানে হারিয়েছে রংপুর।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫ রানেই ভেঙে যায় রাজশাহীর উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাব্বির হোসেনকে এলবিডব্লিউ করেন রাকিবুল ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন হাবিবুর রহমান সোহান ও প্রীতম কুমার। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে সোহানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শহীদুল ইসলাম। ২৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন সোহান।

এই জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। ১৫.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৮ রানে পরিণত হয় দলটি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ফরহাদ রেজা। শেষ ওভারে হাতে ২ উইকেট নিয়ে যখন রাজশাহীকে করতে হতো ১০ রান, তখনো দলের আশা হয়ে ছিলেন ফরহাদ। তবে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ফরহাদকে যখন শহীদুল ফেরান, তখন রাজশাহীর জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। পুরো ২০ ওভার খেলে ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।

রাজশাহীর ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ফরহাদ। ৩৫ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৭ চার ও ৩ ছক্কা।ঢাকা মহানগরের ৮ রানের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন শহীদুল। ৪ ওভারে ২৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর আগে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং নেন রাজশাহী অধিনায়ক প্রীতম। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া ঢাকা মহানগর ১৯.৫ ওভারে ১৬২ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মহানগর অধিনায়ক নাঈম শেখ। ২৩ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন তিনি।

সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে অপর ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং নিয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক সাইফ হাসান। রংপুর ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে পুরো ২০ ওভার। ৫ উইকেটে ১৪০ রান করেছে দলটি। আলোক স্বল্পতার কারণে ১৭ ওভারে ১৩৪ রানের লক্ষ্য হয়েছে ঢাকার সামনে। এই ১৭ ওভার ব্যাটিং করেই ৯ উইকেটে ১১২ রান করে দলটি। রংপুরের ডিএলএস আইনে ২১ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাদের অলরাউন্ডার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেন তিনি।