ক্রীড়া ডেস্ক
একটি ভুল সারা জীবনের কান্না—এমন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে সমাজে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসের পর এমনটিই মনে হচ্ছে হয়তো মুজিব উর রহমানের। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারের ক্যাচ মিসের মাশুল যে পুরো আফগানিস্তান দলকে দিতে হয়েছে।
ম্যাক্সির ক্যাচ মিস করায় দুঃখটা মুজিবকেই বেশি তাড়া করবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। গতকাল ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়াকে একদম বাগে পেয়েছিল আফগানরা। ৯১ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারানোর এমন দুর্দান্ত সুযোগ আগে কখনো পায়নি রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা।
এমন ধ্বংসস্তূপের সময়ই ভুল করে বসেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। নূর আহমদের বল ফাইন লেগে মারতে গিয়ে মুজিবের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারলেন না আফগান স্পিনার। এমন সহজ ক্যাচ মিস করবেন তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। ক্যাচটি লুফে নিতে পারলে ম্যাক্সির ইনিংস ৩৩ রানেই মাটিচাপা পড়ে যেত। সঙ্গে অজিদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনও।
৩৩ রানে জীবন পেয়ে আর ফিরে তাকাননি ম্যাক্সওয়েল। এমনকি পায়ের পেশির টানও তাঁকে আটকাতে পারেনি। ডান পায়ে চিড় ধরলেও মনে ধরতে দেননি ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটার। এরপর সতীর্থ প্যাট কামিন্সকে নিয়ে বিধ্বংসী এক ইনিংস খেললেন তিনি। অজি অধিনায়ককে ১২ রানে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি খেললেন দানবীয় ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১২৮ বলের ইনিংসে ২১ চারের বিপরীতে হাঁকিয়েছেন ১০ ছক্কা। সেটিও আবার এক পায়ে ভর করে। ডান পায়ের কোনো রকমের সহায়তা ছাড়াই অবলীলায় যেন বলকে পাঠাচ্ছিলেন গ্যালারিতে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসাবে ডাবল সেঞ্চুরি করে দলকে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতালেন ম্যাক্সওয়েল। কামিন্সের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে গড়লেন রেকর্ড অপরাজিত ২০২ রানের জুটি। ১৭৯ রানই এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ম্যাক্সিকে এভাবে একাই ম্যাচ জেতানো বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে দেখে নিশ্চয়ই ক্যাচ ছাড়ার মুহূর্তটি আরও বহুদিন তাড়া করবে মুজিবকে। ম্যাচ শেষে জীবন পাওয়ার বিষয়কে স্মরণও করেছেন অজি ব্যাটার।
বিশ্বকাপে মুজিবই যে প্রথম ক্যাচ ছেড়ে মাশুল দিয়েছেন এমনটা নয়। এমন ঘটনা আরও অনেক আছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্টিভ ওয়াহর সহজ ক্যাচ ছেড়ে তো বিশ্বকাপই হারিয়েছেন হার্শেল গিবস। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার গিবস বল ধরার আগেই উদ্যাপন করতে গিয়ে ফেলে দেন ওয়াহর ক্যাচ। পরে জীবন পেয়ে অপরাজিত ১২০ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সুপার সিক্সের ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন তখনকার অজি অধিনায়ক।
মারলন স্যামুয়েলসকেও হয়তো এখনো তাড়া করে ২০১৫ বিশ্বকাপে মার্টিন গাপটিলের সহজ ক্যাচ ছাড়ার দুঃস্বপ্ন। ৪ রানে জীবন পেয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার খেলেন বিশ্বকাপের সেরা ইনিংস। ২৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।
একটি ভুল সারা জীবনের কান্না—এমন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে সমাজে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসের পর এমনটিই মনে হচ্ছে হয়তো মুজিব উর রহমানের। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারের ক্যাচ মিসের মাশুল যে পুরো আফগানিস্তান দলকে দিতে হয়েছে।
ম্যাক্সির ক্যাচ মিস করায় দুঃখটা মুজিবকেই বেশি তাড়া করবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। গতকাল ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়াকে একদম বাগে পেয়েছিল আফগানরা। ৯১ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারানোর এমন দুর্দান্ত সুযোগ আগে কখনো পায়নি রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা।
এমন ধ্বংসস্তূপের সময়ই ভুল করে বসেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। নূর আহমদের বল ফাইন লেগে মারতে গিয়ে মুজিবের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারলেন না আফগান স্পিনার। এমন সহজ ক্যাচ মিস করবেন তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। ক্যাচটি লুফে নিতে পারলে ম্যাক্সির ইনিংস ৩৩ রানেই মাটিচাপা পড়ে যেত। সঙ্গে অজিদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনও।
৩৩ রানে জীবন পেয়ে আর ফিরে তাকাননি ম্যাক্সওয়েল। এমনকি পায়ের পেশির টানও তাঁকে আটকাতে পারেনি। ডান পায়ে চিড় ধরলেও মনে ধরতে দেননি ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটার। এরপর সতীর্থ প্যাট কামিন্সকে নিয়ে বিধ্বংসী এক ইনিংস খেললেন তিনি। অজি অধিনায়ককে ১২ রানে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি খেললেন দানবীয় ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১২৮ বলের ইনিংসে ২১ চারের বিপরীতে হাঁকিয়েছেন ১০ ছক্কা। সেটিও আবার এক পায়ে ভর করে। ডান পায়ের কোনো রকমের সহায়তা ছাড়াই অবলীলায় যেন বলকে পাঠাচ্ছিলেন গ্যালারিতে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসাবে ডাবল সেঞ্চুরি করে দলকে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতালেন ম্যাক্সওয়েল। কামিন্সের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে গড়লেন রেকর্ড অপরাজিত ২০২ রানের জুটি। ১৭৯ রানই এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ম্যাক্সিকে এভাবে একাই ম্যাচ জেতানো বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে দেখে নিশ্চয়ই ক্যাচ ছাড়ার মুহূর্তটি আরও বহুদিন তাড়া করবে মুজিবকে। ম্যাচ শেষে জীবন পাওয়ার বিষয়কে স্মরণও করেছেন অজি ব্যাটার।
বিশ্বকাপে মুজিবই যে প্রথম ক্যাচ ছেড়ে মাশুল দিয়েছেন এমনটা নয়। এমন ঘটনা আরও অনেক আছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্টিভ ওয়াহর সহজ ক্যাচ ছেড়ে তো বিশ্বকাপই হারিয়েছেন হার্শেল গিবস। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার গিবস বল ধরার আগেই উদ্যাপন করতে গিয়ে ফেলে দেন ওয়াহর ক্যাচ। পরে জীবন পেয়ে অপরাজিত ১২০ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সুপার সিক্সের ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন তখনকার অজি অধিনায়ক।
মারলন স্যামুয়েলসকেও হয়তো এখনো তাড়া করে ২০১৫ বিশ্বকাপে মার্টিন গাপটিলের সহজ ক্যাচ ছাড়ার দুঃস্বপ্ন। ৪ রানে জীবন পেয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার খেলেন বিশ্বকাপের সেরা ইনিংস। ২৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
২১ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেইচ্ছে প্রকাশ করেও সাকিব আল হাসান মিরপুরে খেলতে পারেননি তাঁর বিদায়ী টেস্ট ৷ দুবাইয়ে এসেও ঢাকায় আসতে পারেননি ৷ আজ বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেও।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
৩ ঘণ্টা আগে