নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ লড়াই করে ড্র। পাল্লেকেলেতেই দ্বিতীয় টেস্টে বাজে ব্যাটিংয়ে সেই পুরোনো ফল–হার। বাংলাদেশ আসলে কোথায় পিছিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কার চেয়ে? তামিমদের হারের ময়নাতদন্ত করলে ঘুরেফিরে আসবে নিচের কারণগুলোই—
টস হার
প্রথম টেস্টে টস হেরেও আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর তাতে ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের মতো দিন কাটিয়েছিলেন তামিমরা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে সেই ‘ভুল’ করেননি করুনারত্নে। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে আড়াই দিন ব্যাটিং করে ক্লান্ত বানিয়েছেন মুমিনুলদের। তৃতীয় দিন বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং করতে নামল, ততক্ষণে ভাঙতে শুরু করেছে উইকেট। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে লঙ্কান দুই স্পিনার ছড়ি ঘুরিয়ে গেলেন তামিমদের ওপর। এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা আরও কঠিন। সেই কঠিনকে জয় করতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ শেষে তাই টস হার নিয়েই বেশি আক্ষেপ ঝরেছে মুমিনুলের কণ্ঠে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই টেস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল টস। এই টেস্টের ৫০ শতাংশ ফল টসের সময়েই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল।’
পরিকল্পনায় ভুল
লঙ্কানরা যেখানে টেস্টের আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন উইকেট স্পিনবান্ধব হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ নামে ‘পেস শক্তি’ নিয়ে। তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার। এই টেস্টে দুই পেসার আর অতিরিক্ত আরেকজন স্পিনার নাঈম হাসানকে খেলানো গেলে হয়তো বাঁহাতি ব্যাটসম্যানসমৃদ্ধ লঙ্কানদের পরীক্ষা আরও কঠিন হতো। তবে মুমিনুল বিষয়টিকে এভাবে দেখতে চান না, ‘দুই স্পিনারই যথেষ্ট।’
প্রথম টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করা দুই লঙ্কান ওপেনার করুনারত্ন–থিরিমান্নেকে আটকানোর কার্যকর পরিকল্পনা চোখে পড়েনি দ্বিতীয় টেস্টে। দ্বিতীয় টেস্টেও দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। উল্টো দিকে প্রথম ইনিংসে তামিম দারুণ খেললেও ব্যর্থ হয়েছেন অন্য ওপেনার সাইফ। ওপেনিং জুটি বড় না হওয়ায় চাপ বেড়েছে মিডল অর্ডারের ওপর। দ্বিতীয় ইনিংসে তো তামিম ব্যর্থ হওয়ার পর ভেঙে পড়ল পুরো ব্যাটিং লাইনআপই।
ইনিংস বড় করতে না পারা
দ্বিতীয় টেস্টে এক তামিম ইকবাল ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটির দেখা পাননি। অথচ সবাই ফিরেছেন থিতু হয়েই। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল ও মুশফিক ফিরেছেন ৪৯ ও ৪০ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাইফ হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ–সবাই ফিরেছেন ৪০–এর ঘরে। অবশ্য এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতাকে আড়াল করে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমরা যদি আগে ব্যাটিং করতাম, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো। আজ শ্রীলঙ্কার জায়গায় আমরা থাকতাম। তাঁদের জায়গায় আমরা।’
রিভিউ ও বাজে ফিল্ডিং
দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই অন্তত চারটি ক্যাচ ছেড়েছেন নাজমুল–তাইজুলরা। এর সুযোগ ষোলো আনাই তুলে নিয়েছেন করুনারত্নরা। আবার দ্বিতীয় দিন তাসকিনের বল ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের হাতে গেলেও কোনো ফিল্ডারই সেভাবে আবেদন করেননি। আম্পায়ারও তাই আঙুল তোলেননি। অথচ রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে তখন ফেরানো যেত ম্যাথুসকে।
সাকিবের অনুপস্থিতি
টেস্ট জিততে প্রতিপক্ষকে অলআউট করতেই হবে। এখানেই পিছিয়ে থেকেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই টেস্টের চার ইনিংসের একটিতেও অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে দুবার। একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে—ঘরের বাইরে সাকিব ছাড়া বাংলাদেশ দল কখনো ২০ উইকেট নিতে পারেনি। এই সিরিজে সাকিবের উপস্থিতি বারবার অনুভব হয়েছে।
ঢাকা: সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ লড়াই করে ড্র। পাল্লেকেলেতেই দ্বিতীয় টেস্টে বাজে ব্যাটিংয়ে সেই পুরোনো ফল–হার। বাংলাদেশ আসলে কোথায় পিছিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কার চেয়ে? তামিমদের হারের ময়নাতদন্ত করলে ঘুরেফিরে আসবে নিচের কারণগুলোই—
টস হার
প্রথম টেস্টে টস হেরেও আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর তাতে ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের মতো দিন কাটিয়েছিলেন তামিমরা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে সেই ‘ভুল’ করেননি করুনারত্নে। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে আড়াই দিন ব্যাটিং করে ক্লান্ত বানিয়েছেন মুমিনুলদের। তৃতীয় দিন বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং করতে নামল, ততক্ষণে ভাঙতে শুরু করেছে উইকেট। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে লঙ্কান দুই স্পিনার ছড়ি ঘুরিয়ে গেলেন তামিমদের ওপর। এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা আরও কঠিন। সেই কঠিনকে জয় করতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ শেষে তাই টস হার নিয়েই বেশি আক্ষেপ ঝরেছে মুমিনুলের কণ্ঠে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই টেস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল টস। এই টেস্টের ৫০ শতাংশ ফল টসের সময়েই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল।’
পরিকল্পনায় ভুল
লঙ্কানরা যেখানে টেস্টের আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন উইকেট স্পিনবান্ধব হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ নামে ‘পেস শক্তি’ নিয়ে। তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার। এই টেস্টে দুই পেসার আর অতিরিক্ত আরেকজন স্পিনার নাঈম হাসানকে খেলানো গেলে হয়তো বাঁহাতি ব্যাটসম্যানসমৃদ্ধ লঙ্কানদের পরীক্ষা আরও কঠিন হতো। তবে মুমিনুল বিষয়টিকে এভাবে দেখতে চান না, ‘দুই স্পিনারই যথেষ্ট।’
প্রথম টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করা দুই লঙ্কান ওপেনার করুনারত্ন–থিরিমান্নেকে আটকানোর কার্যকর পরিকল্পনা চোখে পড়েনি দ্বিতীয় টেস্টে। দ্বিতীয় টেস্টেও দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। উল্টো দিকে প্রথম ইনিংসে তামিম দারুণ খেললেও ব্যর্থ হয়েছেন অন্য ওপেনার সাইফ। ওপেনিং জুটি বড় না হওয়ায় চাপ বেড়েছে মিডল অর্ডারের ওপর। দ্বিতীয় ইনিংসে তো তামিম ব্যর্থ হওয়ার পর ভেঙে পড়ল পুরো ব্যাটিং লাইনআপই।
ইনিংস বড় করতে না পারা
দ্বিতীয় টেস্টে এক তামিম ইকবাল ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটির দেখা পাননি। অথচ সবাই ফিরেছেন থিতু হয়েই। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল ও মুশফিক ফিরেছেন ৪৯ ও ৪০ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাইফ হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ–সবাই ফিরেছেন ৪০–এর ঘরে। অবশ্য এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতাকে আড়াল করে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমরা যদি আগে ব্যাটিং করতাম, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো। আজ শ্রীলঙ্কার জায়গায় আমরা থাকতাম। তাঁদের জায়গায় আমরা।’
রিভিউ ও বাজে ফিল্ডিং
দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই অন্তত চারটি ক্যাচ ছেড়েছেন নাজমুল–তাইজুলরা। এর সুযোগ ষোলো আনাই তুলে নিয়েছেন করুনারত্নরা। আবার দ্বিতীয় দিন তাসকিনের বল ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের হাতে গেলেও কোনো ফিল্ডারই সেভাবে আবেদন করেননি। আম্পায়ারও তাই আঙুল তোলেননি। অথচ রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে তখন ফেরানো যেত ম্যাথুসকে।
সাকিবের অনুপস্থিতি
টেস্ট জিততে প্রতিপক্ষকে অলআউট করতেই হবে। এখানেই পিছিয়ে থেকেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই টেস্টের চার ইনিংসের একটিতেও অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে দুবার। একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে—ঘরের বাইরে সাকিব ছাড়া বাংলাদেশ দল কখনো ২০ উইকেট নিতে পারেনি। এই সিরিজে সাকিবের উপস্থিতি বারবার অনুভব হয়েছে।
অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করেছিল বল। ভেতরে ঢুকে মুখে লাইনে না গিয়েই খেলতে গেলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে তাসকিনের সেই বল লাগল ব্যাটারের প্যাডে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রথম সেশন বেশ ভালো কাটল বাংলাদেশের। মধ্যাহ্নভোজের আগে নিয়েছে ২ উইকেট। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
৪ ঘণ্টা আগেপেপ গার্দিওলাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কদিন আগে রোনালদো নাজারিও জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের আগামী নির্বাচনে সভাপতি হলে সেলেসাওদের জন্য নিয়ে আসবেন স্প্যানিশ কোচকে। তবে আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না গার্দিওলা। থাকছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই।
৫ ঘণ্টা আগেউয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। মুখোমুখি হবে চারবারের দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি-জার্মানি।
৫ ঘণ্টা আগে