কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের অ্যাস্ট্রো টার্ফে ফেডারেশন কাপ হলে নাম সরিয়ে নেওয়া হবে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) চিঠিতে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। এর মধ্যে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ফরম্যাট বা কাঠামো পাল্টানোও পছন্দ হয়নি ক্লাবটির। দুই ঘটনার জেরে আজ তাই ফেডারেশন কাপ থেকে নিজেদের নামই সরিয়ে নিয়েছে বসুন্ধরা। এখন পর্যন্ত খবর, মুক্তিযোদ্ধাও নাম সরিয়ে নিচ্ছে।

অ্যাস্ট্রো টার্ফে খেলানো এবং হুট করে ফরম্যাট পাল্টানোকে নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন বলছে বসুন্ধরা কিংস। আজ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে উদ্দেশ করে নাম সরিয়ে নেওয়ার কথাটি জানিয়েছে বসুন্ধরা। 

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ফেডারেশন ড্রয়ের সময় বলা হয়েছিল, কোয়ার্টার ফাইনালে এ গ্রুপের খেলা হবে সি গ্রুপের দুই দলের সঙ্গে। কিন্তু সূচিতে দেখা যাচ্ছে, এ গ্রুপের দুই দল খেলবে বি গ্রুপের দুই দলের সঙ্গে। সি খেলবে ডি গ্রুপের বিপক্ষে। ক্লাবগুলোকে খসড়া না দেখিয়ে সরাসরি সূচি নির্ধারণ গুরুতর নিয়মের লঙ্ঘন। আর বসুন্ধরা আগেই বাফুফেকে জানিয়ে রেখেছিল, কমলাপুরে খেলা হলে বসুন্ধরা কমলাপুরে খেলবে না। বাফুফে এই সূচি নির্ধারণে একাধিকবার ভুল করেছে, যা অন্য দলগুলোকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। আর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম পেশাদার লিগ ফুটবল পরিচালনার জন্য নিবন্ধিতও নয়। দুই কারণে ২০২১ ফেডারেশন কাপ থেকে নাম সরিয়ে নিচ্ছে বসুন্ধরা কিংস।’ 

শুধু বসুন্ধরাই নয়, কমলাপুরের অ্যাস্ট্রো টার্ফে আপত্তি জানিয়েছিল দুই দল উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এই টার্ফের মাঠে খেলতে গিয়ে স্বাধীনতা কাপে বড়-ছোট চোট পেয়েছেন প্রায় সব দলের খেলোয়াড়ই। সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে বসুন্ধরা। চোটের কারণে স্বাধীনতা কাপে দলটি হারিয়েছে রক্ষণে তাদের দুই ভরসা তপু বর্মণ ও তারিক কাজীকে। বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ম্যাচে চোট পান বসুন্ধরার আক্রমণের প্রাণ জোনাথন ফার্নান্দেজ। স্বাধীনতা কাপের আগে কমলাপুরে খেলতে আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠায় মোহামেডান  ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে কমলাপুরেই খেলা চালিয়ে যেতে গোঁ ধরে ছিল বাফুফে। বসুন্ধরা সরে যাওয়ায় এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে বাফুফে সরে আসবে কি না, সেটাই এখন দেখার।