Ajker Patrika

বাংলাদেশের এই তিন কিশোরের চোখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়ার স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ১০: ৪০
বাংলাদেশের এই তিন কিশোরের চোখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়ার স্বপ্ন

মাইকেল নেরি যখন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করছিলেন, তখন তাঁর সামনে হাত-পা ছড়িয়ে বসা একদল কিশোর। সেরাদের নাম যখন উঠে এল, তখন সবার চোখ-মুখে অবিশ্বাস। এই কিশোরদের মধ্য থেকে যখন তিনজন সেরা ফুটবলারের নাম উঠে এল, তখন তারা ঘোরের মধ্যে। 

অ্যাপোলো টায়ার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যৌথ উদ্যোগে ‘ইউনাইটেড উই প্লে’ নামের ট্রায়ালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে দুই দিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিল ৫০০ খুদে ফুটবলার। এত শত ফুটবলারের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে যাওয়ার স্বপ্ন থেকে এক ধাপ দূরে সিরাজগঞ্জের সাদমান সাজিদ অয়ন, জয়পুরহাটের পাপন রায় ও গাইবান্ধার রাহাত শেখ। ৫০০ ফুটবলারের মধ্যে এই তিন ফুটবলারকে বেছে নিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সকার স্কুলের হেড অব কোচিং মাইকেল নেরি। তিন সেরার হাতে রেড ডেভিলদের জার্সি তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গোলরক্ষক অয়ন, মিডফিল্ডার পাপন আর রাহাত আগামী জুলাইয়ে যাবে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। সেখান থেকে একজনের ভাগ্যে জুটবে তিন দিনের জন্য ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা দেখা, প্রশিক্ষণ ও ঘোরাঘুরির সুযোগ। 

গোলরক্ষক অয়ন, মিডফিল্ডার পাপন দুজনেই শেখ জামাল ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ফুটবলার। নিজের পাসিং ও গ্রিপিং নিয়ে সন্তুষ্ট এই গোলরক্ষকের আশা, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি, চেষ্টা থাকবে নিজের সেরাটা দিতে।’ বাবা কাজল রায়ের সঙ্গে ফুটবল খেলা পাপনের স্বপ্ন, ‘ভারতে যাব, সেখানে গিয়ে চেষ্টা করব দেশকে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার।’ এই ট্রায়ালের জন্য গাইবান্ধা থেকে উড়ে আসা রাহাতের প্রত্যয়, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে চাই। সে জন্য যা করার সবই করব।’ 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়ে বড় কিছুর স্বপ্নে বিভোর এই তিন কিশোর। ২০১২ ও ২০১৪ সালে একই স্বপ্ন নিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়েছিল বাংলাদেশের ২৪ কিশোর। প্রতিভাবান এই কিশোরেরা কেউই শেষ পর্যন্ত ফুল হয়ে ফোটেনি। ঝরে পড়েছে অকালে। এই তিন কিশোরের ভাগ্যেও কী তেমন কিছু আছে? ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সকার স্কুলের হেড অব কোচিং মাইকেল নেরি দিলেন এই পরামর্শ, ‘এই ছেলেদের কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ভালো একটা ক্লাবেও এদের জুড়ে যেতে হবে। ম্যানইউ থেকে যে শিক্ষা ওরা নিয়ে আসবে, সেটা যেন সারা জীবন তাদের সঙ্গে থাকে।’ জামাল ভূঁইয়াও বললেন প্রায় একই কথা, ‘এই ছেলেদের মনোযোগ ধরে রাখতেই হবে। পাশাপাশি বলেছি পড়ালেখাও যেন তারা মনোযোগ দিয়ে করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত