নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুরো ম্যাচে পুলিশ এফসির আক্রমণ ছিল হাতে গোনা দুই থেকে তিনটি। তাতেই বদলে গেল ম্যাচের ফল। ভেনেজুয়লার ফরোয়ার্ড এডুয়ার্ড মরিয়ো একাই যেন খেললেন পুরো বসুন্ধরা কিংস একাদশের বিপক্ষে। তাঁর জোড়া গোলে এবারের লিগের ১৫ তম ম্যাচে এসে প্রথম হার দেখেছে টানা চতুর্থ লিগ জয়ের পথে থাকা বসুন্ধরা।
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে বসুন্ধরার হার ২-১ গোলে। এক বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই বসুন্ধরার কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল পুলিশ। সেই হারের ঐতিহাসিক শোধ তুলেছে দলটি। হেরেও অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বসুন্ধরার কারণ পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা দল আবাহনীও ফায়দা তুলতে পারেনি বসুন্ধরার হারের। উল্টো চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ও শেখ জামাল লড়াই শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।
হারলেও ১৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা লিগের শিরোপা পথেই আছে। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোটামুটি নিশ্চিতই আবাহনীর। ২২ ও ২১ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় স্থানে শেখ রাসেল, চতুর্থ স্থানে শেখ জামাল। শেখ রাসেল অবশ্য কম খেলেছে এক ম্যাচ। বসুন্ধরাকে হারিয়েও ২০ পয়েন্টে পাঁচেই আছে পুলিশ। বড় লাভটা হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। আবাহনীকে হারিয়ে অবনমন ঠেকানোর লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে গেছে চট্টগ্রাম।
এবারের লিগে প্রথমবারের মতো হারা বসুন্ধরা মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ঠিক এক ম্যাচ আগে, ফেডারেশন কাপে। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মোহামেডানের কাছে হারের ধাক্কায় টালমাটাল দলটা পুলিশের বিপক্ষে শুরু থেকেই ছিল এলোমেলো। আর তাতেই এল টানা দুই ম্যাচে হার।
বল পায়ে দাপট দেখালেও পুলিশের অর্ধে আক্রমণটা বারবার খেই হারাচ্ছিল বসুন্ধরার। উল্টো ৩২ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে পুলিশকে এগিয়ে নেন এডুয়ার্ড মুরিয়ো। একাই ড্রিবলিং করে ঢুকে পড়েন বসুন্ধরার ডি বক্সে। বাঁ পোস্ট দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের শট জালে জড়ালে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর।
প্রথমার্ধেই সমতা ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন বসুন্ধরার দরিয়েলতন গোমেজ। তাঁর শট অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। বিরতির পরই অবশ্য সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। ৪৭ মিনিটে রবসন রবিনহোর দারুণ থ্রু পাস ধরে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন রাকিব হোসেন।
সমতায় ফেরার পর আক্রমণের গতি বাড়ায় বসুন্ধরা। তবে পুলিশ গোলরক্ষক নেহাল ছিলেন দেয়াল হয়ে। আক্রমণের জন্য বারবার ওপরে উঠে যাচ্ছিলেন বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা। সেই সুযোগটাকে লাগিয়ে পুলিশকে ৬২ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন মুরিয়ো। বক্সে থাকা ডিফেন্ডারকে দৃষ্টিনন্দনভাবে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান এই ভেনেজুয়েলার ফরোয়ার্ড। মুরিয়োর এই গোল আর শোধ করতে পারেনি বসুন্ধরা। অতিরিক্ত ১৬ মিনিট পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি অস্কার ব্রুজোনের দল।
হেরেছে আবাহনীও
মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কোণঠাসা চট্টগ্রামের কাছে কুপোকাত হয়েছে আবাহনী। ম্যাচের ৭ মিনিটে বক্সে জটলার ভেতর থেকে টোকায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে এগিয়ে নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড ওজুকু।
জবাবে ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরে আবাহনী। দানিয়েল কলিনদ্রেসের কর্নারে হেডে সমতা ফেরান ইউসুফ মোহাম্মদ। ৩৫ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ফ্রি কিক থেকে হেড দলকে আবারও এগিয়ে নেন ইকবাল হোসেন। পাঁচ মিনিট পর সতীর্থের লম্বা পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল জড়ান ওজুকু।
৬৪ মিনিটে কর্নারের পর বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান ইউসুফ। ঠাণ্ডা মাথায় জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিশরীয় ডিফেন্ডার ইউসুফ। এই গোলের পরও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি আবাহনীর।
পুরো ম্যাচে পুলিশ এফসির আক্রমণ ছিল হাতে গোনা দুই থেকে তিনটি। তাতেই বদলে গেল ম্যাচের ফল। ভেনেজুয়লার ফরোয়ার্ড এডুয়ার্ড মরিয়ো একাই যেন খেললেন পুরো বসুন্ধরা কিংস একাদশের বিপক্ষে। তাঁর জোড়া গোলে এবারের লিগের ১৫ তম ম্যাচে এসে প্রথম হার দেখেছে টানা চতুর্থ লিগ জয়ের পথে থাকা বসুন্ধরা।
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে বসুন্ধরার হার ২-১ গোলে। এক বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই বসুন্ধরার কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল পুলিশ। সেই হারের ঐতিহাসিক শোধ তুলেছে দলটি। হেরেও অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বসুন্ধরার কারণ পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা দল আবাহনীও ফায়দা তুলতে পারেনি বসুন্ধরার হারের। উল্টো চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ও শেখ জামাল লড়াই শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।
হারলেও ১৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা লিগের শিরোপা পথেই আছে। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোটামুটি নিশ্চিতই আবাহনীর। ২২ ও ২১ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় স্থানে শেখ রাসেল, চতুর্থ স্থানে শেখ জামাল। শেখ রাসেল অবশ্য কম খেলেছে এক ম্যাচ। বসুন্ধরাকে হারিয়েও ২০ পয়েন্টে পাঁচেই আছে পুলিশ। বড় লাভটা হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। আবাহনীকে হারিয়ে অবনমন ঠেকানোর লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে গেছে চট্টগ্রাম।
এবারের লিগে প্রথমবারের মতো হারা বসুন্ধরা মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ঠিক এক ম্যাচ আগে, ফেডারেশন কাপে। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মোহামেডানের কাছে হারের ধাক্কায় টালমাটাল দলটা পুলিশের বিপক্ষে শুরু থেকেই ছিল এলোমেলো। আর তাতেই এল টানা দুই ম্যাচে হার।
বল পায়ে দাপট দেখালেও পুলিশের অর্ধে আক্রমণটা বারবার খেই হারাচ্ছিল বসুন্ধরার। উল্টো ৩২ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে পুলিশকে এগিয়ে নেন এডুয়ার্ড মুরিয়ো। একাই ড্রিবলিং করে ঢুকে পড়েন বসুন্ধরার ডি বক্সে। বাঁ পোস্ট দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের শট জালে জড়ালে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর।
প্রথমার্ধেই সমতা ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন বসুন্ধরার দরিয়েলতন গোমেজ। তাঁর শট অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। বিরতির পরই অবশ্য সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। ৪৭ মিনিটে রবসন রবিনহোর দারুণ থ্রু পাস ধরে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন রাকিব হোসেন।
সমতায় ফেরার পর আক্রমণের গতি বাড়ায় বসুন্ধরা। তবে পুলিশ গোলরক্ষক নেহাল ছিলেন দেয়াল হয়ে। আক্রমণের জন্য বারবার ওপরে উঠে যাচ্ছিলেন বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা। সেই সুযোগটাকে লাগিয়ে পুলিশকে ৬২ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন মুরিয়ো। বক্সে থাকা ডিফেন্ডারকে দৃষ্টিনন্দনভাবে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান এই ভেনেজুয়েলার ফরোয়ার্ড। মুরিয়োর এই গোল আর শোধ করতে পারেনি বসুন্ধরা। অতিরিক্ত ১৬ মিনিট পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি অস্কার ব্রুজোনের দল।
হেরেছে আবাহনীও
মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কোণঠাসা চট্টগ্রামের কাছে কুপোকাত হয়েছে আবাহনী। ম্যাচের ৭ মিনিটে বক্সে জটলার ভেতর থেকে টোকায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে এগিয়ে নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড ওজুকু।
জবাবে ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরে আবাহনী। দানিয়েল কলিনদ্রেসের কর্নারে হেডে সমতা ফেরান ইউসুফ মোহাম্মদ। ৩৫ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ফ্রি কিক থেকে হেড দলকে আবারও এগিয়ে নেন ইকবাল হোসেন। পাঁচ মিনিট পর সতীর্থের লম্বা পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল জড়ান ওজুকু।
৬৪ মিনিটে কর্নারের পর বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান ইউসুফ। ঠাণ্ডা মাথায় জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিশরীয় ডিফেন্ডার ইউসুফ। এই গোলের পরও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি আবাহনীর।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
২৩ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেইচ্ছে প্রকাশ করেও সাকিব আল হাসান মিরপুরে খেলতে পারেননি তাঁর বিদায়ী টেস্ট ৷ দুবাইয়ে এসেও ঢাকায় আসতে পারেননি ৷ আজ বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেও।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
৩ ঘণ্টা আগে