কোপা আমেরিকার অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন কানাডা কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৪: ০৬
Thumbnail image

২০২৪ কোপা আমেরিকা শেষের দিকে। মায়ামির হার্ডরকে পরশু আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে ২৫ দিনের এই টুর্নামেন্ট। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কানাডা কোচ হেসে মার্শ। 

এবারের কোপা আমেরিকা অনেক বেশি সমালোচিত উরুগুয়ে-কলম্বিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচের কারণে। ক্যারোলিনার ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামকে পরশু ফুটবল মাঠ নয়, যেন ‘কুরুক্ষেত্র’ মনে হচ্ছিল। ম্যাচ শেষে উরুগুয়ে-কলম্বিয়ার খেলোয়াড়, সাপোর্টিং স্টাফরা হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন। এমনকি ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের মারামারির ঘটনাও ঘটে। উরুগুয়ের অধিনায়ক হোসে মারিয়া হিমেনেজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গ্যালারিতে ফুটবলারদের পরিবারও এসেছিল ম্যাচ দেখতে। পরিবারের সদস্যদের রক্ষার্থেই এমন বেপরোয়া হয়েছেন বলে দাবি হিমেনেজের।  

কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া উরুগুয়েকে এখন খেলতে হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামেই আগামীকাল সান্ত্বনামূলক ম্যাচে মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে-কানাডা। সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মার্শ বলেন, ‘ম্যাচের পর কী হয়েছে আমি দেখেছি। আমাদের ছেলেদের পরিবারের কেউ এমন পরিস্থিতিতে পড়ুক, সেটা চাই না। টুর্নামেন্টটা আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। আচরণগত দিক থেকে অনেক ঝামেলা রয়েছে।’ 

সামাজিক মাধ্যম হোক বা বাস্তব জীবন—ফুটবলে বর্ণবাদী আক্রমণের বিষাক্ত থাবা রয়েছে সবখানেই। মার্শের দাবি, তাঁদের সঙ্গে এই ঝামেলা টুর্নামেন্ট-জুড়ে হয়েছে। তাঁদের দল নিয়েও অনেকে নানা রকম অভিযোগ তুলেছেন বলে জানিয়েছেন মার্শ। কানাডা কোচ বলেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টজুড়ে বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছি। সরাসরি, সামাজিক মাধ্যম সব জায়গাতেই হয়েছে সেটা। আমাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি আমরা। মাঝে মাঝে একটু আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষ দলের কোচদের থেকে অভিযোগ শুনেছি।’ 

উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দ্বিতীয় সেমিফাইনাল নিয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন কনমেবল এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সহিংসতার ব্যাপারে তদন্তের কথা জানিয়ে গত পরশু রাতে কনমেবল এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘কী ঘটেছে, সেটা বুঝতে এরই মধ্যে কনমেবল তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে যাঁরা সহিংসতায় জড়িয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে। বিশ্ব ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন ন্যক্কারজনক কাজ কখনো বরদাস্ত করব না। খেলার আবেগ যখন সহিংসতায় পরিণত হয়, তখন সেটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত